সোমবার দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে ১৩ রান দরকার ছিল। প্রথম তিন বলে উঠেছিল মাত্র ২ রান। চতুর্থ বলে ৬ মারেন সঞ্জু স্যামসন। ২ বলে আর ৫ রান করতে হত। পঞ্চম বলে ১ রান নেওয়ার সুযোগ থাকলেও সিঙ্গল নেননি রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক। শেষ বলে ছক্কা হাঁকানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ক্যাচ আউট হয়ে যান সঞ্জু। আর এটাই ম্যাচ শেষে তাঁর সবচেয়ে বড় আফসোস।
৬৩ বলে ১১৯ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস খেলেন সঞ্জু। আইপিএলের অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হওয়ার পরই প্রথম ম্যাচে শতরানের রেকর্ড কারও নেই। স্বাভাবিক ভাবেই অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডও সঞ্জুর দখলেই চলে গেলে। এর আগে ২০১৮ সালে অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচে শ্রেয়স আইয়ার ৯৩ রানের রেকর্ড করেছিলেন।
নিজের ইনিংসের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সঞ্জু বলছিলেন, ‘এর আগে যত ম্যাচে খেলেছি, আমার ইনিংসের দ্বিতীয়া পর্বটা সেরা ছিল। প্রথম পর্বে আমার টাইমিং ঠিকঠাক হচ্ছিল না। আমি সে কারণে সময় নিয়েছিলাম। বোলারদেরও পরখ করছিলাম এবং এক রান করে নিয়ে নিজের ছন্দে ফিরছিলাম। তার পরে দ্বিতীয় পর্বে আমি নিজের শট খেলতে শুরু করি।’
তবে নিজের শতরানের চেয়ে হারের যন্ত্রণাটা যেন বড় বেশি। তাই উচ্ছ্বাসের বদলে দীর্ঘশ্বাসই এখন সঙ্গী সঞ্জুর। তিনি বলছিলেন, ‘এই হার নিয়ে সত্যি কিছু বলার নেই। একেবারে ক্লোজগেম ছিল। খুবই অল্পের জন্য হেরেছি। দূর্ভাগ্যজনক। আমার মনে হয় না, এর চেয়ে বেশি কিছু আমি করতে পারতাম।’ একদম শেষ বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে আউট হন সঞ্জু। আর এই আফসোসটাই তাঁকে প্রতি মুহূর্তে কুড়েকুড়ে খাচ্ছে। সঞ্জু বলছিলেন, ‘আমার টাইমিং ভাল ছিল। কিন্তু ডিপে একজনকে কাটাতে পারলাম না। এটা খেলার অঙ্গ। তবে টিম খুবই ভাল খেলছে।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।