চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে হারের পর সাময়িক ভাবে মুষড়ে পড়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। কিন্তু ইয়ন মর্গ্যানের ভোক্যাল টনিকের পর ফের তারা চনমনে। নাইট অধিনায়ক ম্যাচের পর তাঁর টিমকে ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে মাঠ ছাড়তে বলেছিলেন।আর তারই জের পড়েছে গোটা দলের উপর। প্যাট কামিন্স যেমন বলে দিয়েছেন, রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে পরের ম্যাচেই তাঁরা ঘুরে দাঁড়াবেন।
মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ৩৪ বলে ৬৬ রানে অপরাজিত ছিলেন প্যাট কামিন্স। তবু একটা যন্ত্রণা তাঁকে কুরেকুরে খাচ্ছিল। এত লড়াইয়ের পরও চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ১৮ রানে হারটা কিছুতেই তিনি মানতে পারছিলেন না। সিএসকে-র ২২০ রান তাড়া করতে নেমে কলকাতা নাইট রাইডার্স থেমে যায় ২০২ রানে। তবে ড্রেসিংরুমে মর্গ্যান ভোক্যাল টনিকের পর কামিন্স বরং বলে দিয়েছেন, ‘৩১ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরেও ২০২ রান করেছি আমরা। এর থেকেই বোঝা যায় আমাদের দলের মধ্যে লড়াকু মনোভাবের অভাব নেই। এ বার বিপক্ষকে সেটা শুধু বুঝিয়ে দেওয়ার সময় এসেছে। আমি মনে করি, চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে এই হার থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা মানসিক ভাবে নিজেদের আরও চাঙ্গা করেছি।’
৩১ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর নাইটদের পিঠ যখন দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছিল, সেই সময়ে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন আন্দ্রে রাসেল। ২২ বলে ৫৪ রান করে দলকে লড়াইয়ে ফেরাব তিনি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য স্যাম কারানের বলে আউট হয়ে যান রাসেল। এই জায়গা থেকেই আবার লড়াই শুরু করেছিলেন কামিন্স। যদিও এই দুই ক্রিকেটারের লড়াই ব্যর্থ হয়ে যায়। ২০২ রানে অল আউট হয়ে যায় নাইটরা।
কামিন্স মনে করেন ‘দ্রে রাস’ শেষ পর্যন্ত থাকলে এই ম্যাচটা তাঁরা জিতে যেতে পারত। কামিন্স অবশ্য মজা করে বলছিলেন, ‘রাসেলকে বল করতে হয় না বলে, আমি নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করি। গত ম্যাচে ও যে মেজাজে খেলেছে, সেটাই ওর আসল পরিচয়।’ এর সঙ্গেই কামিন্স যোগ করেছেন, ‘ও শেষ পর্যন্ত থাকলে আমরাই ম্যাচটা জিতে মাঠ ছাড়তাম। তবে এটাও সত্যি রাসেলের এই ইনিংস আমাদের মনোবল অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।