মুম্বই-চেন্নাইয়ের টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ দিয়ে আমিরশাহিতে আইপিএলের দ্বিতীয় ভাগ শুরু হয়ে গিয়েছে। দুই সেরা দলের মধ্যেকার মরশুমের দ্বিতীয় ম্যাচও ছিল প্রথমটার মতোই রোমহর্যক। ম্যাচের শুরুতেই মুম্বই ইন্ডিয়ান্স পাওয়রা প্লেতেই চেন্নাই সুপার কিংসের ২৪ রানে চার উইকেট তুলে নিয়ে হলুদ ব্রিগেডকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিলেও তরুণ রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের অনবদ্য ইনিংস সিএসকে-কে ম্যাচে ফেরায়।
এমন এক পিচে যেখান বাকি কোন ব্যাটসম্যানই খুব বড় রান করতে পারেননি, রুতুরাজ ৫৮ বলে ৮৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে চেন্নাইকে ১৫৬ রান তুলতে সাহায্য করেন। অবশেষে ২০ রানে হলুদ ব্রিগেড ম্যাচ জিতে নেয়। স্বভাবতই রুতুরাজের অনবদ্য ব্যাটিং পারফরম্যান্স সকলেরই প্রশংসা কুড়িয়ে নেয়। সেই তালিকায় সামিল সিএসকে কোচ স্টিফেন ফ্লেমিংও। তরুণ ওপেনারের চাপের মুখে রান করার দক্ষতা দেখে অভিভূত কিউয়ি।
ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে ফ্লেমিং বলেন, ‘আজকের ইনিংসটা খুবই স্পেশাল। হাই স্কোরিং ম্যাচে দাপুটে ইনিংস খেলাই যায়। তবে যখন তুমি নিজের ইনিংসের মাধ্যমে দলকে প্রায় একাহাতে জয়ের সুযোগ করে দাও, তখন তা নিঃসন্দেহে অধিক স্পেশাল। ও শুরুর দিকে চাপ সামলে ইনিংসের শেষের দিকে রানের গতি বাড়ায়। একমাত্র ওর জন্যই আমরা প্রতিপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে সক্ষম হই। ওর এই ইনিংসটা এক কথায় অনবদ্য়।’
তবে রুতুরাজ দুরন্ত ইনিংস খেললেও দলের মিডল অর্ডারের স্তম্ভ আম্বাতি রায়াডু হাতে বল লাগার পরেই রিটায়ার্ড হার্ট হতে বাধ্য হন। সেই প্রসঙ্গে আশ্বস্ত করলেন ফ্লেমিং। ‘রায়াডুর এক্স-রেতে কোন সমস্যা ধরা পড়েনি। তো ওইসময় বল জোড়ে লাগায় ওর ব্যাট গ্রিপ করতে অসুবিধা হচ্ছিল এই যা। আমরা প্রাথমিকভাবে ওর হাত ভেঙে গেছে কি না, সেই নিয়ে ভয় পাচ্ছিলাম। তবে এটা একটা সুখবর যে এমন কিছুই হয়নি।’ পাশাপাশি দীপক চাহারেরও কোনকিছু গুরুতর নয় বরং সাধারণ ক্র্যাম্প ধরেছিল বলে জানান ফ্লেমিং।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।