বেঙ্গল রঞ্জি দলের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত ভাল পারফর্ম করেও জায়গা মেলেনি কলকাতা নাইট রাইডার্স দলে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরোর হয়ে নিজের দক্ষতার প্রমাণ দিচ্ছেন শাহবাজ আহমেদ। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ম্যাচ বদলানো এক ওভারই তাঁকে এনে দিয়েছে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে।
১৫০ রান তাড়া করতে নেমে ডেভিড ওয়ার্নার ও মণীশ পাণ্ডের দাপটে লক্ষ্যের দিকে সহজেই এগোচ্ছিল সানরাইজার্স। কিন্তু তাঁর এক ওভারই ম্যাচের রং বদলে দেয়। ১৭তম ওভারে অধিনায়ক বিরাট কোহলি বল তুলে দেন শাহবাজের হাতে। তিন ওভারে জয়ের জন্য দরকার ৩৫ রান, হাতে আটটি উইকেট। এমন অবস্থায় মাত্র এক রান খরচ করে তিনটি উইকেট তুলে নেন শাহবাজ। ভেঙে দেন সানরাইজার্স মিডল অর্ডারের কোমর। তাঁর স্পিন জালে আবদ্ধ হয়ে একে একে সাজঘরে ফেরেন জনি বেয়ারস্টো, মণীশ, আব্দুল শামাদ।
ম্যাচ শেষে তাঁর ওপর ভরসা দেখানোর জন্য অধিনায়ক কোহলিকে কৃতজ্ঞতা জানান বাংলার অল-রাউন্ডার। তিনি বলেন, ‘কঠিন পরিস্থিতিতে অধিনায়ক কোহলি আমার ওপর ভরসা দেখান। নিজের দক্ষতার ওপর আমার পূর্ণ আস্থা ছিল এবং আমি আরেক ওভার বল করতে মুখিয়ে ছিলাম। তবে সিরাজও অসাধারণ বোলিং করছিলেন। আমার বদলে ওর হাতে বল উঠলে অবাক হওয়ার কিছুই ছিল না। উইকেটে স্পিনারদের সহায়ক ছিল এবং আমি সেটাকেই কাজে লাগানোর চেষ্টা করি। বেয়ারস্টোর উইকেটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ওর ক্যাচটা ধরতে পেরে আমি খুব খুশি।’
তবে শুধু বল হাতেই নয়, ব্যাটসম্যান শাহবাজের ওপরও অগাধ ভরসা কোহলির। সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামেন শাহবাজ। ১০ বলে ১৪ রানের বেশি করতে না পারলেও একটি ছক্কা হাঁকান বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। গোটা মরশুমেই ভাল খেলে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করতে মরিয়া শাহবাজ।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।