জল্পনা চলছিলই, আর সেই জল্পনাকে সত্যি করেই মরশুমের মাঝপথে অধিনায়ক বদলে ফেলল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। মরশুমের প্রায় অর্ধেক পথ অতিক্রম করে, ধারাবাহিক ব্যর্থতার জেরে লিগ তালিকায় লাস্টবয় নিজামের শহর। তাই ভাগ্য ফেরাতে ডেভিড ওয়ার্নারকে সরিয়ে কেন উইলিয়ামসনের কাঁধে দায়িত্ব তুলে দিল সানরাইজার্স কর্তৃপক্ষ।
মরশুমের মাঝপথে অধিনায়ক বদলের সিদ্ধান্ত নতুন কিছু নয়। এর আগেও ব্যর্থতার দায় নিয়ে একাধিকবার দলের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বহু ক্রিকেটার। কিন্তু ঠিক কতটা যুক্তিযুক্ত এই সিদ্ধান্ত? উদাহরণ খুঁজতে খুব বেশিদূর যেতে হবে না, গত মরশুমে একই ঘটনার সাক্ষী থাকে কলকাতা নাইট রাইডার্স। দীনেশ কার্তিকের ইস্তফায় দলের দায়িত্ব ওঠে ইয়ন মর্গ্যানের কাঁধে। তবে লাভের লাভ কিছুই হয়নি। প্রথম সাত ম্যাচে চার জয়ের সাথে ভাল জায়গায় থাকলেও শেষ চারের টিকিট পাকা করতে ব্যর্থ হয় নাইট শিবির।
হায়দরাবাদের ছয়ের মধ্যে এক ম্যাচ জিতে বর্তমান অবস্থা আরও খারাপ। তবে তাঁর বেশিরভাগটাই ওয়ার্নারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। দলের মিডল অর্ডার এখনও অবধি ব্যর্থ, তাঁর ওপর অনভিজ্ঞ। একটা তরুণ দলে ধারাবাহিকতার অভাব থাকাটা খুবই স্বাভাবিক। তাঁর ওপর দলের অন্যতম প্রধান ভরসা কেন উইলিয়ামসন চোটের কবলে পড়ায় খেলতে পারেননি বেশ কিছু ম্যাচ। হায়দরাবাদের বরাবরের শক্তিশালী বোলিং বিভাগে রশিদ খান ফর্মে থাকলেও ছন্দে নেই ভুবনেশ্বর কুমার। পাশাপাশি চোট পেয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছেন টি নটরাজন। দলের ভারসাম্য, মিডল অর্ডারের ব্যর্থতা বা বিদেশীদের সঠিক সমীকরণ ঠিক করতে না পারা, এই সবের জন্য কোনভাবেই দায় অজি ওপেনারের একার নয়। তাঁর ওপর হঠকারিতায় এমন সিদ্ধান্ত অনেক সময়েই দলের মনোবলে আঘাত করতে পারে। তাই ভবিষৎ-র দিকে না তাকিয়েও অচিরেই বলা যেতে পারে মরশুমের মাঝপথে সানরাইজার্সের আইপিএল জয়ী অধিনায়ককে ছেঁটে ফেলার এই সিদ্ধান্তে লাভের থেকে ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।