চেনা রোগে ফের আক্রান্ত সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে কার্যত জেতা ম্যাচ আবারও হাতছাড়া করলেন ডেভিড ওয়ার্নাররা। ১৩ রানে মরশুমের তৃতীয় ম্যাচে হারের পর দলের ব্যাটসম্যানদেরই দুষছেন সানরাইজার্স অধিনায়ক। ৩৪ বলে ৩৬ রান করে হার্দিক পান্ডিয়ার দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের সুবাদে রান-আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় ওয়ার্নারকে।
সেট হয়েও ম্যাচ শেষ করতে না পারায় আক্ষেপের সুর ধরা পড়ল তাঁর গলায়। ম্যাচের পর হতাশ ওয়ার্নার বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না এই পরাজয়কে কীভাবে ব্যাখ্যা করব। দলের পারফরম্যান্সে খুবই হতাশ। আমরা (জনি বেয়ারস্টো এবং ওয়ার্নার) ক্রিজে সেট হয়ে গিয়েছিলাম। ম্যাচের শেষ অবধি টিকে থাকাই আমার লক্ষ্য ছিল। তবে দুর্দান্ত ফিল্ডিং করে হার্দিক। ক্রিকেট খেলায় এমনটা হয়েই থাকে। খুব সহজেই ১৫০ রান তাড়া করা যায়। প্রয়োজন শুধমাত্র পার্টনারশিপ তৈরি করার এবং দু'জন ব্যাটসম্যানের অন্তত একজনের ম্যাচের শেষ অবধি টিকে থাকার।’
ওয়ার্নার রান-আউট হয়ে সাজঘরের ফেরার পর জেতার জন্য সানরাইজার্সের প্রয়োজন ছিল ৫১ বলে ৬১ রান। হাতে ছিল সাত উইকেট। তবে গত দু'ম্যাচের মতই আবারও তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে সানরাইজার্সের মিডল অর্ডার। চেন্নাইয়ের মাঠে এ ঘটনা নতুন নয়।
রান তাড়া করে একমাত্র মরশুমের প্রথম ম্যাচে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে জয়লাভ করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। সেই ম্যাচের প্রায় শেষ অবধি ব্যাট হাত ক্রিজে উপস্থিত ছিলেন এবি ডি'ভিলিয়র্স, যা ওয়ার্নারের মন্তব্যকে সঠিক প্রমাণ করতে যথেষ্ট। মাঝের ওভার ব্যাটসম্যানদের আরও চতুর হওয়ার আর্জি জানিয়েও মুম্বই ম্যাচে ব্যবহৃত পিচ আগেরদিনের থেকেও মন্থর ছিল বলে দাবি করেন ওয়ার্নার। হারের হ্যাটট্রিক করার পর এখন লিগ তালিকায় সবচেয়ে নীচে সানরাইজার্স।