বর্তমানে স্বপ্নের ফর্মে রয়েছন সূর্যকুমার যাদব। চেন্নাইয়ের উইকেটে যখন তাবড় তাবড় ব্যাটসম্যানরা দ্রুত গতিতে রান করতে নাকানি-চোবানি খাচ্ছেন, তখন ১৫৫. ৫৫ স্ট্রাইক রেট নিয়ে ৩৬ বলে ৫৬ রানের এক অনবদ্য ইনিংস বেরিয়ে আসে তাঁর ব্যাট থেকে। ১০ নম্বর ওভারের শেষ বলে প্যাট কামিন্সকে হাঁকানো তাঁর ছক্কা হতবাক করে দেয় দর্শক থেকে সতীর্থ সকলকেই।
বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলারকে সূর্য অনায়াসে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেন ৯৯ মিটারের এক লম্বা ছক্কায়। প্রায় নটরাজের মত ভঙ্গিমায় কামিন্সকে মারা তাঁর ছয় নজর কেড়েছেন দর্শকদের। কিন্তু কোথায় শিখলেন এমন শট? ম্যাচ শেষের পর ট্রেন্ট বোল্টের সঙ্গে কথোপকথনে সেই তথ্য নিজেই ফাঁস করলেন তিনি।
সূর্য বলেন, ‘ছোটবেলায় আমি চামড়ার বল দিয়ে অনেক ক্রিকেট খেলেছি। ওখানে একপাশের বাউন্ডারি হত প্রায় ৯০-৯৫ মিটার। আমার এই শট খেলা আমি ওখানেই প্রথম শুরু করি। ওখান থেকেই শেখা এই শট। তাছাড়া নেটে আমি প্রতিদিন ওই শট খেলার অনুশীলন করি। বর্তমানে আমি নিজের খেলা খুবই উপভোগ করছি। আশা করি নিজের ফর্ম ধরে রেখে দলের জন্য আরও ভালো করব।’
পরে অবশ্য সূর্য মজার ছলে বলেন বোল্টের কাছ থেকেও ওই ফ্লিক খেলতে নেটে পরামর্শ পান তিনি। বোল্টকেও আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে বহুবার ফাস্ট বোলারদের বিপক্ষে পা হাওয়ায় রেখে এমন শট মারতে দেখা গেছে অতীতে। তবে তাঁর থেকে ফ্লিক খেলতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলের তিন নম্বর ব্যাটসম্যান যে অনেক পটু, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এই প্রথম নয়, এর আগেও বারংবার ৩০ বছর বয়সী মুম্বইকরকে অনেকটা অতীতের ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানদের মতো নটরাজ ফ্লিক খেলতে দেখা গেছে। আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট অভিষেকে প্রথম বলেই প্রায় একই ভঙ্গিমায় মাঠের বাইরে ফেলেছিলেন জোফ্রা আর্চারের ধেয়ে আসা বাউন্সারকে। দর্শকরা আশা করবেন ভবিষৎ যেন তিনি আরও অভূতপূর্ব সব শট খেলতে থাকেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।