তীরে এসেও ডুবল তরী। মুম্বই জুজু কাটতে পারল না কলকাতা নাইট রাইডার্স। মরশুমের দ্বিতীয় ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ১০ রানে হেরে বসল নাইট বাহিনী। এরপরেই কেকেআর তারকাযুগল আন্দ্রে রাসেল ও দীনেশ কার্তিককে নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বীরেন্দ্র সেহওয়াগ।
জয়ের জন্য ২৮ বলে প্রয়োজন ৩১ রানের, হাতে পাঁচ উইকেট। এমন সময়ে ক্রিজে কার্তিককে সঙ্গ দিতে আসেন রাসেল। আইপিএলের সর্বকালের ইতিহাসে ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বাধিক স্ট্রাইক রেটের মালিক ড্রে রাস। অপরদিকে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে মাত্র দিন দুয়েক আগে ৯ বলে ২২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে আইপিএল মরশুম শুরু করেছেন কার্তিক। নাইট যুগলের কাছে এমন এক পরিস্থিতি বিন্দুমাত্র চিন্তার কারন হওয়ার কথা নয়।
সবাইকে অবাক করে স্বভাববিরুদ্ধ ভঙ্গিমায় ১৫ বল খেলে মাত্র ৯ রানই করতে পারেন রাসেল। কার্তিক করেন ১১ বলে ৮। এরপরেই নাইটদের অভিজ্ঞ দুই তারকার দিকে আঙুল তুলেছেন সেহওয়াগ। নিজের সোজাসাপটা জবাব ও মজার স্বভাবের জন্য পরিচিত বীরু নাইট যুগলের মন্থর গতিতে রান করাকে পরাজয়ের অন্যতম কারণ হিসাবে সনাক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘গত ম্যার পর ইয়ন মর্গ্যান আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে খেলার কথা বলেন। ইয়ন মর্গ্যান, শাকিব আল হাসান, শুভমন গিল বা নীতিশ রানা, সকলেই ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে ব্যাট করতে নেমেছিলেন। তবে আন্দ্রে রাসেল বা দীনেশ কার্তকের ব্যাটিংয়ে তা বিন্দুমাত্র চোখে পড়েনি। ওদের খেলা দেখে মনে হচ্ছিল শুরুতে একটু সামলে খেলে ওরা ম্যাচের শেষ ওভারে জয় সুনিশ্চত করতে চায়। তবে তা সম্ভব হয়নি।’
মুম্বই তাঁদের ইনিংসের শেয পাঁচ ওভারে সাত উইকেট হারায় ও মাত্র ৩০ রান মতোই করতে পারে। বীরু মনে করেন মুম্বইয়ের ইনিংস থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত ছিল কেকেআরের। সেট হয়ে যাওয়ার পরে রানা বা গিল ম্যাচের শেষ অবধি টিকে থাকলে ম্যাচের ফলাফল অন্যরকম হতেই পারত। জয়ের পথে ফেরার লক্ষ্যে কেকেআরের পরের প্রতিপক্ষ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।