ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে অভিশপ্তই থেকে গেল। এই মাঠে নাইট রাইডার্সের রেকর্ড রীতিমতো হতাশাজনক। আর সেই রেকর্ডই এ বারও ধরে রাখল ইয়ন মর্গ্যান বাহিনী। চেন্নাই সুপার কিংস এবং রাজস্থান রয়্যালসের কাছে পরপর দু'ম্যাচ হেরে।
আইপিএলে পাতা ওলাল্টে দেখা যাবে, এই মাঠে শাহরুখ খানের কলকাতা জিততেই পারে না। মোট ১১টা ম্যাচের মধ্যে একটায় জিতেছে নাইট রাইডার্স। বাকি দশটা ম্যাচই হেরেছে। এ বার আইপিএলেও ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে দু'টি ম্যাচই হারতে হল তাদের। চেন্নাইয়ে তাও একটি ম্যাচে জয় পেয়েছিল। তবে সেখানেও বাকি দু' ম্যাচে হেরেছিল। মোদ্দা কথা, এই বছর কেকেআর-এর পারফরম্যান্স অত্যন্ত খারাপ। বোলিং, ব্যাটিং, ফিল্ডিং. অধিনায়কের এলোমেলো সিদ্ধান্ত, সব মিলিয়ে যেন পারফরম্যান্সের গ্রাফটা একেবারে তলানীতে এসে ঠেকেছে। ওয়াংখেড়েতে এসে আইপিএল তালিকার লাস্টবয়ের তকমাটুকুও জুটে গেল কলকাতার।
ওয়াংখেড়ের সঙ্গে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সম্পর্কটা কোনও দিনই মিষ্টি মধুর নয়। শুধু ম্যাচ হারের ক্ষেত্রেই নয়। কেকেআর-এর কর্ণধার শাহরুখ খানের সঙ্গেও এই স্টেডিয়ামের সম্পর্ক ভাল নয়। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ানোর কারণে কিং খানকে ব্যান করেছিল ওয়াংখেড়ে। সব মিলিয়ে আরব সাগরের তীরে স্টেডিয়ামের সঙ্গে যেন কেকেআর-এর আড়ি হয়ে রয়েছে। কবে ভাব হবে কে জানে!
এই মাঠে ভাগ্যিস আর ম্যাচ নেই কেকেআর-এর। পরের পঞ্জাব কিংস ম্যাচ আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে। দেখার. মোতেরায় গিয়ে নাইটদের ভাগ্য বদলায় কিনা!
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।