গত মরশুমে মোটেও আহামরি পারফরম্যান্স করতে পারেনি রাজস্থান রয়্যালস। ১৪টি ম্যাচের মধ্যে ৯টিতেই হেরেছিল তারা। মাত্র ৫টি ম্যাচে কোনও মতে জয় পেয়েছিল। ৮ দলের টুর্নামেন্টে লিগ তালিকার সাত নম্বরে থেকে শেষ করেছিল তারা। এ বার অবশ্য নতুন দল, নতুন চ্যালেঞ্জ। সঞ্জু স্যামসনের নেতৃত্বেই ২৯ মার্চ থেকে আইপিএল অভিযান শুরু করবে রাজস্থান। প্রতিপক্ষ সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
আইপিএল চ্যাম্পিয়ন: ২০০৮ সালে আইপিএলের উদ্বোধনী বছরেই সদ্য প্রয়াত কিংবদন্তি শেন ওয়ার্নের নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রাজস্থান।
দলের শক্তি: এই বছর তারুণ্যই রাজস্থানের আসল শক্তি। দেবদূত পাডিক্কালের মতো তরুণকে দলে নিয়েছে রাজস্থান। যার আইপিএলের পারফরম্যান্স নজর কাড়া। যশস্বী জয়সওয়ালকে রিটেন করেছে তারা। যাঁর আইপিএলে একাধিক রেকর্ড রয়েছে। তাছাড়া শিমরন হেতমায়ের, জস বাটলার রাসি ভ্যান ডার দাসেন, ডারিল মিচেলের মতো বিদেশিদের নিলামে কেনা হয়েছে। হেতমায়েররা আবার ম্যাচের রং বদলাতে ওস্তাদ।
বোলারদের কথা আসলে, প্রথমেই বলতে হয়, ভারতের দুই তারকা স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিনের নাম। যারা দলের বড় শক্তি। সঙ্গে ট্রেন্ট বোল্টের মতো তারকা পেসার রয়েছেন। তরুণ প্রসিধ কৃষ্ণ রয়েছেন। যাঁরা বিপক্ষে ব্যাটারদের ত্রাস।
দলের দুর্বলতা: অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের অভিজ্ঞতা অনেকটাই কম। টি-টোয়েন্টি হলেও, এই টুর্নামেন্টে ক্যাপ্টেনের অভিজ্ঞতা থাকাটা খুবই জরুরি। সে দিক থেকে গত বারই সঞ্জুর অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। গত বার কিন্তু এই অভিজ্ঞতার অভাবের কারণেই বারবার ধাক্কা খেতে হয়েছে রাজস্থানকে। তা ছাড়া বহু তারকা প্লেয়ার রয়েছেন, তাঁদের ঠিক করে ব্যবহার করাটাওএকটা বড় চ্যালেঞ্জ। সেটা সঞ্জু আদৌ করতে পারেন কিনা, তা দেখার।
সম্ভাব্য একাদশ: যশস্বী জসওয়াল, জস বাটলার (উইকেটকিপার), দেবদূত পাডিক্কাল, সঞ্জু স্যামসন (অধিনায়ক), হেতমায়ের, করুণ নায়ার, জিমি নিশাম, অশ্বিন, ট্রেন্ট বোল্ট, যুজবেন্দ্র চাহাল, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।