লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে মহম্মদ শামি শুরু থেকেই একেবারে আগুনে মেজাজে ধরা দিয়েছেন। এ দিন টসে জিতে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন গুজরাট টাইটানসের অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়া। আর শুরুতেই লখনউকে বড় ধাক্কা দেন শামি।
৫ ওভারের মধ্যে এ দিন গুজরাটের ৪ উইকেট পড়ে যায়। তার মধ্যে মহম্মদ শামি একাই নেন ৩ উইকেট। ৩ ওভার বল করে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তিনি। প্রতি ওভারে ১টি করে উইকেট নেন শামি। সেই সময়ে হার্দিক চেয়েছিলেন, শামিকে দিয়ে চতুর্থ ওভারেও বল করাতে। যাতে শামি সেই আগুনে মেজাজে আরও এক-আধটা উইকেট নিয়ে নেন। কিন্তু হার্দিককে শান্ত করে শামি তখন বলেছিলেন, ‘হার্দিক আমার থেকে জানতে চেয়েছিল, আমি চতুর্থ ওভার টানা বল করব কিনা? আমি ওকে বলেছিলাম, শান্ত হও, এটা অনেক বড় ম্যাচ।’ এর পর শামি ১৮তম ওভারে বল করতে আসেন। সেই ওভারে ক্রুনাল পাণ্ডিয়া এবং আয়ুশ বাদোনি মিলে ৩টি চার মারেন। প্রথম ৩ ওভারে শামি মোট ১০ রান দিয়েছিলেন। আর এই একটি ওভারে তিনি দেন ১৫ রান।
তবে ম্যাচের শুরুতে শামি যে ভাবে বল করে লখনউ-এর ভিত নড়িয়ে দিয়েছেন, তাতে সোমবার আইপিএলের ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন ভারতের তারকা পেসারই। প্রথম বলেই কেএল রাহুলকে ফেরান শামি। শূন্য করে আউট হন লখনউয়ের অধিনায়ক। রাহুল ছাড়াও কুইন্ট ডি'কক-কে (৯ বলে ৭ রান) বোল্ড করেন শামি। এর পর শামির ওভারেই ৫ বলে ৬ করে বোল্ড হন মণীশ পাণ্ডেও। এভিন লুইস অবশ্য ৯ বলে ১০ রান করে বরুণ অ্যারনের বলে শুভমন গিলের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। পাওয়ার প্লে-তেই ৪ উইকেট হারিয়ে শুরুতে চাপে পড়ে যায় লখনউ।
এই কঠিন পরিস্থিতিতে লখনউ জায়ান্টসের হাল ধরেন দীপক হুডা এবং ২২ বছরের তরুণ আয়ুশ বাদোনি। বাদোনির এই ম্যাচেই অভিষেক হয়। এই জুটি পঞ্চম উইকেটে ৮৭ রান যোগ করেন। দীপক হুডা ৪১ বলে ৫৫ করে আউট হন। তাঁকে ফেরান রশিদ খান। বাদোনিকে ফেরান বরুণ অ্যারন। তিনি আবার ৪১ বলে ৫৪ করেছেন। সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ক্রুনাল পাণ্ডিয়া করেন ১৩ বলে ২১ রান। লখনউ সুপার জায়েন্টস শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ১৫৮ রান করে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় গুজরাট টাইটানস। মাত্র ৩ বল খেলে শূন্যতে আউট হন শুভমন গিল। তাঁকে ফেরান দুষমন্ত চামেরা। এর পরেই চামেরার বলে মাত্র ৬ রান করে আউট হন বিজয় শঙ্করও। দলের ১৫ রানের মাথায় ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় গুজরাট। কিন্তু এর পর দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন ম্যাথু ওয়েড এবং হার্দিক পাণ্ডিয়া। ২৮ বলে ৩৩ রান করে ক্রুণাল পাণ্ডিয়ার বলে মণিশ পাণ্ডের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন হার্দিক। হার্দিক আউট হওয়ার পরেই ২০ বলে ৩০ করে দীপক হুডার বলে বোল্ড হন ম্যাথু ওয়েডও।
পঞ্চম উইকেটে হাল ধরেছিলেন ডেভিড মিলার এবং রাহুল তেওয়াটিয়া। ২১ বলে ৩০ রান করে আবেশ খানের বলে কেএল রাহুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন মিলার। কিন্তু হাল ধরে থাকেন তেওয়াটিয়া। ২৪ বলে অপরাজিত ৪০ রান করে দলকে জয় এনে দেন। ৭ বলে ১৫ রান করে অভিনব মনোহর তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করেন। ১৯.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬১ রান করে গুজরাট। ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় হার্দিকের টিম।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।