পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স সবার আগে ছিটকে গিয়েছে আইপিএল ২০২২-এর প্লে-অফের লড়াই থেকে। চারবারের চ্যাম্পিয়ন তথা টুর্নামেন্টের সব থেকে ধারাবাহিক ফ্র্যাঞ্চাইজি চেন্নাই সুপার কিংস দ্বিতীয় দল হিসেবে শেষ চারে যাওয়ার হাল ছেড়ে দেয়। জোড়া খেতাবজয়ী তথা গতবারের রানার্স কলকাতা নাইট রাইডার্স তৃতীয় দল হিসেবে প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে যায়।
সুতরাং, আইপিএলের ইতিহাসে সবে থেকে সফল তিনটি দল এবছর ক্রমানুসারে একে একে বিদায় নিশ্চিত করে। অন্যদিকে নবাগত ২টি দল গুজরাট টাইটানস ও লখনউ সুপার জায়ান্টস সবার আগে প্লে-অফের টিকিট পকেটে পোরে। কী এমন হল যে, চলতি আইপিএলে রোহিত-ধোনিরা যেটা করে দেখাতে পারলেন না, সেই কাজটাই নতুন দু'টি দল করে দেখাল অতি সহজে?
কারণ খুঁজতে গেলে একাধিক বিষয় সামনে উঠে আসবে। তবে এমন উলটপুরাণের জন্য প্রত্যাশার চাপকে দায়ি করা যেতে পারে।
প্রথমত, মুম্বই, চেন্নাই, কলকাতার মতো দলগুলির ফ্যানবেস বিপুল। স্বাভাবিকভাবেই সমর্থকদের ছাড়াও ফ্র্যাঞ্চাইজিরও প্রত্যাশার চাপ থাকে টিম ম্যানেজমেন্ট ও ক্রিকেটারদের উপর। চেন্নাই-মুম্বইয়ের কাছে চাপ ছিল সুনাম অনুযায়ী ধারাবাহিকতা বজায় রাখার। কলকাতা দীর্ঘদিন ট্রফি জেতেনি। তাই তাদের সামননে চাপ ছিল ট্রফি খরা কাটানোর। বিশেষ করে গতবার ফাইনালে উঠেও চ্যাম্পিয়ন হতে না পারায় এবার নিজেদের আরও একধাপ উপরে তুলে নিয়ে যাওয়াটাই ছিল কেকেআরের আসল চ্যালেঞ্জ। তিন দলই প্রত্যাশার সেই চাপ সামলে উঠতে পারেনি।
অন্যদিকে নবাগত দুই দলের সামনে তেমন কোনও চাপ ছিল না। আসলে প্রথমবার খেলতে নামা কোনও দলের কাছ থেকে খুব বেশি প্রত্যাশা করে না কেউই। তাছাড়া নতুন দলের এখনও কোনও ফ্যানবেস নেই। হতে পারে লোকেশ রাহুল-হার্দিক পান্ডিয়াদের অনুরাগীর সংখ্যা নেহাৎ কম নয়। তবে তাদের সঙ্গে এখনও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বা পঞ্জাব কিংসের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে।
সুতরাং, ভালো কিছু করে দেখাতে হবে, এমন কোনও প্রত্যাশা না থাকায় নতুন দু'টি দল খোলা মনে মাঠে নামে। যার প্রভাব দেখা যায় তাদের পারফর্ম্যান্সে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।