কলকাতা নাইট রাইডার্স দলটি এই মরশুমেও প্লে অফে জায়গা পাওয়ার জন্য লড়াই করছে। টানা পাঁচটি ম্যাচে হারের পরে রাজস্থানের বিরুদ্ধে জয় পেয়েছে কলকাতা। চলতি আইপিএল-এ কেকেআর এখনও পর্যন্ত কোনও ভাল ওপেনিং জুটি খুঁজে পায়নি এবং এটি তাদের পরাজয়ের মূল কারণও হয়েছে সেটা। এখন পর্যন্ত ১০ ম্যাচে পাঁচবার ওপেনিং জুটি বদল করেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ার এবং টিম ম্যানেজমেন্ট বারবার দলের ওপেনিং জুটিকে বদল করেছেন। কখনও বেঙ্কটেশ আইয়ার তো কখনওঅজিঙ্কা রাহানে, স্যাম বিলিংস, অ্যারন ফিঞ্চ এবং বাবা ইন্দ্রজিৎকে ওপেনার হিসাবে দেখা গিয়েছে। কিন্তু ফিঞ্চ ছাড়া, কেউ এখনও পর্যন্ত খুব বেশি কিছু করতে পারেনি। রাজস্থানের বিরুদ্ধে ফিঞ্চ ও ইন্দ্রজিৎ দুজনেই ব্যর্থ হয়েছিলেন। এই ম্যাচে তরুণ বেঙ্কটেশ আইয়ারকে প্লেয়িং একাদশ থেকে বাদ দেওয়া হয়। তার জায়গায় অনুকুল রায়কে জায়গা দেওয়া হয়।
গত মরশুমে বেঙ্কটেশ আইয়ারকে আইপিএলের জন্য বিশ্ব ক্রিকেট চিনে ছিল। তিনি তার দুর্দান্ত ইনিংসের কারণে কলকাতাকে ফাইনালে তুলে ছিলেন। তবে এই মরশুমে তিনি রান করতে হিমশিম খাচ্ছেন, লড়াই করছেন। তাঁর ব্যাটে বল ঠিকমতো আসছে না এবং তিনি উইকেটে ঠিকমতো সময় দিতে পারছে না। এই কারণেই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে কেকেআরকে। এবার কিংবদন্তি ক্রিকেটার এবং ধারাভাষ্যকার সুনীল গাভাসকর কলকাতার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুললেন।
গাভাসকর বলেন,‘অলরাউন্ডার বেঙ্কটেশ‘সেকেন্ড সিজন সিনড্রোমে’ভুগছেন।’ এই মরশুমে তিনি নয়টি ম্যাচে ১৩২ রান করেছেন। যেখানে বেঙ্কটেশ গত মরশুমে ১০ ম্যাচে ৩৭০ রান করেছিলেন। এ ছাড়া বেঙ্কটেশ এই মরশুমে বোলিংয়ে তেমন কিছু করতে পারেননি এবং মাত্র তিন ওভার বল করেছেন এবং কোনও উইকেট পাননি।’
গাভাস্কার বলেন,‘কলকাতার দল জিততে পারেনি, তাই তাদের কিছু পরিবর্তন করতে হয়েছে। বেঙ্কটেশ এই মরশুমে ৯-১০ম্যাচ খেলেছেন এবং এখনও পর্যন্ত বিশেষ কিছু করতে পারেননি। ব্যাট বা বল হাতে বেঙ্কটেশের পারফরম্যান্স বিশেষ কিছু দেখা যায়নি। এই কারণেই অধিনায়ক শ্রেয়স মাঠে নামিয়েছিলেন অনুকূল রায়কে। অনুকুলও একজন দারুণ ফিল্ডার।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।