বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট নম্বর বোলার। লাল বল হাতে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের নিয়েও ছেলেখেলা করেন। কিন্তু আইপিএলে তেমন কোনওদিন দাগ কাটতে পারেন না। এবার তো তাঁর অবস্থা আরও শোচনীয়। এখনও চার ম্যাচে ১৫.৫ ওভার করেছেন। দিয়েছেন ১৯০ রান। নিয়েছেন মাত্র চারটি উইকেট। ইকোনমি রেট ১২।
পাকিস্তান সফরের পর মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে নামেন কামিন্স। বল হাতে খুব একটা খারাপ শুরু করেননি। প্রথম তিন ওভারে ২৬ রান দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ ওভারে ২৩ রান খরচ করেছিলেন। তবে সেইসময় ভাগ্যেরও সহায়তা পাননি। কায়রন পোলার্ডের ব্যাটের কাণায় বল লেগে বাউন্ডারি বাইরে গিয়েছে। শেষপর্যন্ত সেই ম্যাচে দু'উইকেটে ৪৯ রান দিয়েছিলেন। তবে বোলিংয়ের সেই খারাপ পারফরম্যান্স ঢেকে দিয়েছিলেন বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে। ১৫ বলে ৫৬ রান কেকেআরকে জিতিয়েছিলেন ৭.৫ কোটি টাকার কামিন্স।
আরও পড়ুন: RR vs KKR: ডেথ ওভারে জঘন্যতম ইকোনমি রেট কামিন্সের, প্রথম চারে মোট ২ নাইট ও ১ KKR প্রাক্তনী
কিন্তু ব্যাট হাতে যে ছন্দ পেয়েছিলেন, তা বোলিংয়ে আনতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলের অধিনায়ক। দ্বিতীয় ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে চার ওভারে ৫১ রান দিয়েছিলেন। কোনও উইকেট পাননি। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ৩.৫ ওভারে ৪০ ওভার দিয়েছিলেন। অথচ প্রথম ওভারে ভালো বল করেছিলেন। প্রথম ওভারেই নিয়েছিলেন এক উইকেট। সোমবারও সেই বাজে পারফরম্যান্সে ইতি পড়েনি। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে চার ওভারে দেন ৫০ রান। জুটেছে মাত্র এক উইকেট। তাও এবারের আইপিএলের উইকেটে যথেষ্ট সাহায্য আছে পেসারদের জন্য।
চার ম্যাচে ইকোনমি রেট
সেই পরিস্থিতিতে এখনও পর্যন্ত এবারের আইপিএলে চার ম্যাচে ১৫.৫ ওভার বল করেছেন কামিন্স। অর্থাৎ ৯৫ টি বল করেছেন। দিয়েছেন ১৯০ রান। তারপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কামিন্সকে 'রান মেশিন' হিসেবে কটাক্ষ করা হচ্ছে। নেটিজেনদের বক্তব্য, টিম সাউদি ভালো বল করছিলেন। সেখানে কামিন্স তো শুধু রান খরচ করে যাচ্ছেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।