রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেও হারতে হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। মাত্র ১২৮ রানের পুঁজি নিয়ে বোলারদের দারুণ লড়াইয়ে শেষ ওভার পর্যন্ত ম্য়াচ নিয়ে যায় কেকেআর। তবে বেশিরভাগ বোলারই ভাল বল করলেই চিন্তার বিষয় আন্দ্রে রাসেলের ফর্ম।
যেখানে দুই দলের সব বোলারই প্রায় দাপট দেখিয়েছে, সেখানে রাসেল মাত্র আরসিবির বিরুদ্ধে ২.২ ওভারে ৩৬ রান দেন। প্রথম ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে রাসেল এক উইকেট নিলেও ৩৮ রান খরচ করেছিলেন। তাঁর বোলিং ফর্ম নিয়ে নিঃসন্দেহে চিন্তায় থাকবে কেকেআর। উপরন্তু বোলিং করলে নিরন্তর চোট পাওয়ার ভয়ও রয়েছে। এই সমস্যার সমাধানের জন্য সাইমন ডুলের দাবি রাসেলকে চার ওভার না করিয়ে তার সঙ্গে বেঙ্কটেশ আইয়ার ও নীতিশ রানাকে মিলিয়ে চার ওভার পূর্ণ করানো উচিত।
তাও যদি চাপ লাগে তাহলে রাসেলকে স্রেফ ব্যাটার হিসাবেই খেলতে দেখতে চান তিনি। Cricbuzz-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘বেঙ্কটেশ আইয়ার এবং আন্দ্রে রাসেল মিলে চার ওভার করতেই পারে এবং প্রয়োজনে তো নীতিশ রানাও রয়েছে। এ টুর্নামেন্টে পাঁচ বোলার খুব কম দলেরই রয়েছে, যাদের মধ্যে কেউ ব্যাট করতে পারে। টি-টোয়েন্টিতে এমন পাওয়াটাই মুশকিল। আমি জানি রাসেল ডাইভ মারলেই সবাই চাপে পড়ে যান। তবে এমনভাবে খেলা যায় না। যদি এতই ভয় থাকে, তাহলে হয় ওকে বাদ দিতে হবে নয়তো ওকে দিয়ে বল করানো যাবে না।’
কিউয়ি প্রাক্তনীর মতে রাসেলকে দেখে মনে হচ্ছে ওর চোট পাওয়াটা সময়ের অপেক্ষামাত্র। তাই কেকেআরের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘ওদের আশা করা উচিত যাতে রাসেল ব্যাট হাতে ওদের তিনটি ম্যাচ জিতিয়ে দেয়। একজন খেলোয়াড়ের থেকে সবাই এটাই চাইবে। এটাই সম্ভাব্য রাস্তা। বল হাতে ও দাগ কাটতে পারছে না। ওর হয়তো ১০৫ থেকে ১০৮ কেজি মতো ওজন হবে। ওই চেহরা, ওত পেশির ওপর দিয়ে বারবার এরকম (বোলিংয়ের) চাপ যাওয়াটা একেবারেই সহজ নয়। ওর চোট পাওয়াটা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। সত্যি বলতে এটা খুবই হতাশাজনক, কারণ আমি ওর ব্যাটিং, বোলিং, সবটাই দারুণ উপভোগ করি।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।