কলকাতা নাইট রাইডার্সের ইনিংসের ১৬তম ওভারে তখন আগুনে মেজাজে কুলদীপ যাদব। প্যাট কামিন্সের পর সুনীল নারিনকে তিনি তখন সাজঘরে ফিরিয়ে দিয়েছেন। ওই ওভারের শেষ বলে উমেশ যাদব হটকারী ভাবে ব্যাট চালিয়ে ক্যাচ তোলেন। বলটা অনেক উপরে উঠেছিল। কিন্তু দূরে যাইনি। সেই বল লক্ষ্য করেই ছুটে গিয়ে ক্যাচটি নেন কুলদীপ।
একেবারেই সহজ ক্যাচ ছিল না। একটুর জন্য মিসও হয়ে যেতে পারত। বেশ কিছুটা দূরে পড়ছিল বলটি। কিন্তু কুলদীপ লক্ষ্যচূত হননি। কিছুটা শরীর ভাসিয়ে দু'হাত একেবারে সামনের দিকে বাড়িয়ে ক্যাচটি ধরেন কুলদীপ। সেই সঙ্গে কলকাতার জয়ের আশাতেও জল ঢেলে দেন দিল্লি ক্যাপিটালসের তারকা স্পিনার। কুলদীপের এই দুরন্ত ক্যাচ না দেখে থাকলে কিন্তু বড় মিস করে যাবেন।
ক্যাচটি সম্পর্কে কুলদীপ বলেছেন, ‘আসলে আমি ক্যাচটি নিয়ে খুব একটা কিছু ভাবিনি। আমি অনুভব করেছি যে আমাকে ক্যাচটি নিতেই হবে। এবং দিনের শেষে এটি আমারই উইকেট ছিল।’
আসলে ১৬তম ওভারে কুলদীপ বল করতে এসেই নাইটদের জেতার ক্ষীণ আশাটুকুও শেষ করে দেন। প্রথমে ১৫.৩ ওভারে প্যাট কামিন্সকে এলবিডব্লিউ করেন তিনি। ৩ বল খেলে ৪ করে আউট হন কামিন্স। এর পর ১৫.৫ ওভারে ২ বলে ৪ রান করে কুলদীপের বলে পাওয়েলের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন সুনীল নারিন। ১৫.৬ ওভারে নিজের বলেই দুরন্ত ক্যাচ ধরে উমেশ যাদবকে প্যাভিলিয়নে ফেরান কুলদীপ। প্রথম বলেই ডাক করে আউট হন উমেশ। এই ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে নাইটদের হাত থেকে ম্যাচ বের হয়ে যায়।
টসে জিতে দিল্লিকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল কলকাতার অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পৃথ্বী শ' (২৯ বলে ৫১ রান), ডেভিড ওয়ার্নার (৪৫ বলে ৬১ রান), ঋষভ পন্ত (১৪ বলে ২৭ রান), শার্দুল ঠাকুর (১১ বলে অপরাজিত ২৯ রান), অক্ষর প্যাটেলদের (১৪ বলে অপরাজিত ২২ রান) সৌজন্যে ২১৫ রানের বড় ইনিংস গড়ে দিল্লি। ২ উইকেট নেন কেকেআর-এর সুনীল নারিন। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন উমেশ যাদব, বরুণ চক্রবর্তী এবং আন্দ্রে রাসেল।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২ বল বাকি থাকতে ১৭১ রানেই অল আউট হয়ে যায় কলকাতা নাইট রাইডার্স।
শ্রেয়স আইয়ারের ৩৩ বলে ৫৪, নীতিশ রানার ২০ বলে ৩০ এবং আন্দ্রে রাসেলের ২১ বলে ২৪- এই হল কলকাতার তিন ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ রান। বাকিরা কেউ সে ভাবে প্রতিরোধই গড়ে তুলত পারেননি। কুলদীপ একাই নেন ৪ উইকেট। ৩ উইকেট নিয়েছেন খালিল আহমেদ। ২ উইকেট নেন শার্দুল ঠাকুর। ১ উইকেট নিয়েছেন ললিত যাদব। ৪৪ রানে ম্যাচটি জিতে যায় দিল্লি।
জিতে যায় দিল্লি ক্যাপিটালস।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।