নিজেদের প্রথম মরশুমেই আইপিএলের প্লে-অফে কোয়ালিফাই করেছিল লোকেশ রাহুলের নেতৃত্বাধীন লখনউ সুপার জায়ান্টস। লিগে তিন নম্বরে শেষ করলেও, বুধবার (২৫ মে) রয়্যাল চ্য়ালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে এলিমিনেটরে ১৪ রানে পরাস্ত হয়ে এ বারের মতো আইপিএল অভিযান শেষ হয়েছে নবাবদের শহরের ফ্রাঞ্চাইজির।
এলিমিনেটরে রজত পতিদারের অপরাজিত ১১২ রানে ভর করে আরসিবি প্রথম ইনিংসে চার উইকেটের বিনিময়ে ২০৭ রান তোলে। জবাবে লখনউ অধিনায়ক লোকেশ রাহুল ৭৯ রান করলেও নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটে ১৯৩ রানের বেশি তুলতে পারিনি লখনউ। ফলে তাদের কোয়ালিফায়ার ২-এ আর ওঠা হল না। ইডেন গার্ডেন্স থেকেই ব্যাগপত্র গুছিয়ে বাড়ি ফিরবেন রাহুলরা।
লখনউয়ের এবারের আইপিএল রেকর্ড দেখলেও একটি জিনিস কিন্তু সাফ হয়ে যাবে। তুলনামূলক ‘দুর্বল’গুলিকেই হারাতে পেরেছে লখনউ। গ্রুপ পর্বে লখনউয়ের নয়টি জয়ের সবকয়টিই এসেছে যে সব দলগুলি প্লে-অফে উঠতে পারেনি, তাদের বিরুদ্ধে। এলিমিনেটরেও আরসিবির কাছে হারায় প্লে-অফের বাকি তিন দলগুলির বিরুদ্ধে ছয়টি ম্যাচেই হারল লখনউ। এরকম অদ্ভুত রেকর্ড হয়তোই এর আগে আইপিএলে দেখা গিয়েছে। পরের মরশুমে কিন্তু খেতাব জিততে গেলে এই বিষয়টা মাথায় রাখতেই হবে লখনউকে।