আইপিএল ২০২১-এর প্রথমার্ধের ম্যাচগুলি ভারতে আয়োজিত হলেও কোনও দলই হোম অ্যাডভান্টেজ পায়নি। আসলে কোনও দলকেই নিজেদের ঘরের মাঠে ম্যাচ খেলার সুযোগ দেয়নি বিসিসিআই। যেহেতু নির্দিষ্ট কতকগুলি স্টেডিয়ামে আইপিএলের ম্যাচগুলি আয়োজন করেছিল বিসিসিআই, তাই নিরপেক্ষতা বজায় রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বোর্ড।
এবার আইপিএল আয়োজনের গণ্ডি আরও গুটিয়ে আনতে বাধ্য হয়েছে বিসিসিআই। গোটা টুর্নামেন্ট আয়োজিত হবে মহারাষ্ট্রে। মুম্বইয়ের তিনটি স্টেডিয়াম ওয়াংখেড়ে, ব্র্যাবোর্ন ও ডিওয়াই পাতিল এবং পুণের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে খেলা হবে লিগের ৭০টি ম্যাচ।
বিসিসিআই এক্ষেত্রে সব দলকে সমান সুযোগ করে দিতেই নির্দিষ্ট করে দিয়েছে প্রতিটি দল কোন স্টেডিয়ামে কতগুলি করে ম্যাচ খেলবে। ওয়াংখেড়ে ও ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে খেলা হবে লিগের ২০টি করে ম্যাচ। ব্র্যাবোর্ন স্টেডিয়াম ও পুণেতে খেলা হবে ১৫টি করে ম্যাচ।
এক্ষেত্রে বিসিসিআই স্থির করেছে যে, প্রতিটি দল ওয়াংখেড়ে ও ডিওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে ৪টি করে ম্যাচ খেলবে। ব্র্যাবোর্ন ও পুণেতে প্রতিটি দল খেলবে ৩টি করে ম্যাচ।
সব দলকে সমান সুযোগ সুবিধা দেওয়ার বিসিসিআইয়ের এমন প্রচেষ্টা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তবে এক্ষেত্রে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বাড়তি সুবিধা পেয়েই যাবে। প্রথমত, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স পুণের ৩টি ম্যাচ বাদ দিয়ে লিগের ১১টি ম্যাচ খেলবে নিজেদের শহরে। তার উপর রোহিতরা ৪টি ম্যাচ খেলবেন নিজেদের হোম গ্রাউন্ড ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে। স্বাভাবিকভাবেই হোম অ্যাডভান্টেজ পাওয়া থেকে মুম্বইকে আটকানো যাবে না কোনওভাবেই।
আইপিএলের বেশ কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ওয়াংখেড়েতে ম্যাচ খেলা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল বলে খবর শোনা গিয়েছিল। বাস্তবে ধোপে টেকেনি তাদের প্রতিবাদ।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।