রবিবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে পঞ্জাব কিংসের কোনও প্লেয়ার হাফ সেঞ্চুরিও করেনি। তবু দু'শোর উপর রান তাড়া করে জিতেছে মায়াঙ্ক আগরওয়ালের টিম। সেই সঙ্গে আইপিএলের ইতিহাসে গড়ে ফেলেছেন নতুন নজিরও।
কোনও প্লেয়ার ৫০রানও করেননি, তবু ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৮ রান করেছে পঞ্জাব। কোনও প্লেয়ার হাফ সেঞ্চুরি না করার পরেও এই ২০৮ রানের ইনিংস আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৯ সালে আরসিবি-র বিরুদ্ধেই কলকাতা নাইট রাইডার্স ৫ উইকেটে ২০৬ রান করেছিল। সে বারও কেকেআর-এর কোনও প্লেয়ার হাফ সেঞ্চুরি করেননি। কিন্তু টিম গেমের সুবাদে দু'শোর গণ্ডি টপকেছিল কেকেআর। একই ভাবে ২০০৮ সালে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ৭ উইকেটে ২০২ রান করেছিল। সে বারও মুম্বইয়ের কোনও প্লেয়ার ৫০ রান না করলেও, দু'শো রানের গণ্ডি টপকেছিল তারা।
রবিবার টসে জিতে ব্যাঙ্গালোরকে ব্যাট করতে পাঠান মায়াঙ্ক। দুরন্ত শুরু করেন ফাফ। ২০ বলে ২১ করে অনুজ রাওয়াত আউট হলে ফাফ এবং কোহলি ১১৮ রানের অসাধারণ পার্টনারশিপ গড়েন। ৫৭ বলে ৮৮ রান করেন ফাফ। বিরাট কোহলি ২৯ বলে অপরাজিত ৪১ রান করেন। দীনেশ কার্তিক ১৪ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন। ২ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান করেছিলেন আরসিবি। তবু জেতা হল না তাদের। শুধুমাত্র পঞ্জাবের টিম গেমের কাছেই হার মানল ফাফের টিম।
পঞ্জাবের হয়ে ৪৩ করে করেছেন শিখর ধাওয়ান এবং ভানু রাজাপক্ষে। শিখর ২৯ বলে আর রাজাপক্ষে ২২ বলে ৪৩ করেন। এটাই তাদের সর্বোচ্চ স্কোর। এ ছাড়া ২৪ বলে ৩২ করেছেন মায়াঙ্ক। ১০ বলে ১৯ করেছেন লিয়াম লিভিংস্টোন। শাহরুখ খান ২০ বলে ২৪ করেছেন। ওডেন স্মিথ ৮ বলে ২৫ রানের ঝড়ো একটি ইনিংস খেলে পঞ্জাবের জয় এনে দেন। ১৯ ওভারেই ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৮ রান করে পঞ্জাব। ৬ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় তারা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।