খেলতে নামবে দুই দল। তবে সেই ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকবে আরও সাতটি দল। প্লে-অফের অঙ্কে সবমিলিয়ে আটটি দলই (দিল্লি-সহ) আজ দিল্লি ক্যাপিটালসের ভক্ত হয়ে উঠবে। রাজস্থান রয়্যালস ‘একা’ হয়ে যাবে।
বুধবার সন্ধ্যায় আইপিএলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে দিল্লি এবং রাজস্থান। যদি রাজস্থান সেই ম্যাচে জিতে যায়, তাহলে ১২ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফের দিকে একটা পা বাড়িয়েই ফেলবে। দিল্লি জিতে গেলে ১২ ম্যাচে ঋষভ পন্তদের পয়েন্ট দাঁড়াবে ১২। সেই পরিস্থিতিতে দিল্লি জিতলে কোন কোন দলের সুবিধা হবে, তা দেখে নিন -
দিল্লি ক্যাপিটালস: বুধবার দিল্লি জিতে গেলে পন্তদের ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট হবে। সেক্ষেত্রে প্লে-অফে ওঠার লড়াইয়ে আরও কিছুটা আশা বাড়বে। যদিও রাজস্থান ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর যদি কোনও ম্যাচে ধাক্কা খায়, তবেই দিল্লির সুযোগ আসবে। সেক্ষেত্রে নেট রানরেটের বিচারে প্লে-অফের টিকিট পেতে পারে দিল্লি (বাকি ম্যাচগুলি জিতবে ধরে)। তবে রাজস্থান এবং ব্যাঙ্গালোর নিজেদের বাকি ম্যাচগুলি জিতলেই দিল্লির কোনও আশা থাকবে না।
আরও পড়ুন: RR-এ হেতমায়েরের জায়গা সামলাবে কে? দেখুন DC-র ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচের সম্ভাব্য একাদশ
গুজরাট টাইটানস: ইতিমধ্যে পাকা হয়ে গিয়েছে প্লে-অফের টিকিট (১২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট)। রাজস্থান হেরে গেলে প্রথম দুইয়ে শেষ করার পথ আরও প্রশস্ত হবে। তবে রাজস্থানের জয়ের উপর তেমন নির্ভরশীল নয় গুজরাট। চেন্নাই সুপার কিংস (১৫ মে) বা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের (১৯ মে) বিরুদ্ধে একটি ম্যাচ জিতলেই প্রথম দুইয়ে শেষ করবেন হার্দিকরা পান্ডিয়ারা।
লখনউ সুপার জায়েন্টস: রাজস্থান হারলে লাভবান হবে লখনউ (১২ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট)। তবে হার্দিকদের মতোই নিজেদের হাতেই আছে কে এল রাহুলদের ভাগ্য। রাজস্থান রয়্যালস (১৫ মে) এবং কলকাতা নাইট রাইডার্সের (১৮ মে) বিরুদ্ধে জিতে গেলে এমনিতেই প্রথম দুইয়ে শেষ করবেন তাঁরা।
রয়্যাল চ্যাালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর: আপাতত ১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট আছে। রাজস্থান হারলে যে অত্যন্ত লাভ হবে, তেমনটা নয়। কারণ রাজস্থান ও ব্যাঙ্গালোর আপাতত লিগ তালিকায় যথাক্রমে তিন এবং চার নম্বরে আছে। ফলে রাজস্থান পয়েন্ট খোয়ালে তেমন লাভ নেই। কারণ তিন (রাজস্থান ১১ ম্যাচ খেলে ১৪ পয়েন্ট) বা চারে শেষ করলে এলিমিনেটরে খেলতে হবে।
আবার অন্য অঙ্কে প্রথম দুইয়ে শেষের জন্য কিছুটা রাজস্থানের হারের প্রার্থনা করবে ব্যাঙ্গালোর। কারণ রাজস্থানের হারের পর লখনউ যদি পয়েন্ট হারায় এবং ভাগ্য ভালো থাকে, তাহলে প্রথম দুইয়ে শেষ করতে পারবেন বিরাট কোহলিরা। কাজটা বেশ কঠিন। কারণ রাজস্থানের (+০.৩২৬) থেকে নেট রানরেট অনেকটাই কম বিরাটদের (-০.১১৫)।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: দিল্লির মতো ১১ ম্যাচ খেলে ১০ পয়েন্টে আছে। তাই আজ রাজস্থান হেরে গেলে দিল্লির মতোই প্লে-অফের একটা হালকা সুযোগ তৈরি হবে। তবে সানরাইজার্সের নিজেদের হাতে প্লে-অফের চাবিকাঠি নেই। বাকি তিন ম্যাচে (কেকেআর, মুম্বই এবং পঞ্জাব) জেতার পরও রাজস্থান, ব্যাঙ্গালোর, দিল্লির দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো নেট রানরেটও (-০.০৩১) কম।
কলকাতা নাইট রাইডার্স: মাইক্রোস্কোপ দিয়ে খুঁজলে তবেই রাজস্থানের জয়ে লাভের আশা দেখতে পাবে কেকেআর। এই ম্যাচে রাজস্থান হেরে গেলে প্লে-অফের লড়াইটা কিছুটা জমে যাবে। কিন্তু চারে শেষ করতে গেলেও কেকেআরের পক্ষে এতগুলি ম্যাচের ফলাফল যেতে হবে যে চাঁদে ঘুরে আসার পরিকল্পনাও করতে পারে নাইট ব্রিগেড। আপাতত ১২ ম্যাচে ঝুলিতে ১০ পয়েন্ট আছে নাইটদের। নেট রানরেট -০.০৫৭। বাকি দুটি ম্যাচে (সানরইজার্স এবং লখনউ) জিতলেও কেকেআরের প্লে-অফের টিকিট নিশ্চিত হবে না।
পঞ্জাব কিংস: ১১ ম্যাচে পয়েন্ট ১০ আছে। ব্যাঙ্গালোর, দিল্লি এবং সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে খেলবে। তিনটি ম্যাচে জিতলে প্লে-অফে যাওয়ার কিছুটা সুযোগ হতে পারে। তাতে দিল্লি, সানরাইজার্সের থেকেও কাজটা কঠিন হবে। কারণ পঞ্জাবের নেট রানরেট আরও খারাপ (-০.২৩১)। ফলে রাজস্থানের হারে যে খুব লাভ হবে, তেমন নয়। কারণ আজ হেরে গিয়েও ১৮ পয়েন্টে শেষ করতে পারবে রাজস্থান। ১৮ পয়েন্টে শেষ করতে পারবে ব্যাঙ্গালোরও। সেখানে পঞ্জাবের সর্বোচ্চ পয়েন্ট হতে পারে ১৬।
চেন্নাই সুপার কিংস: চেন্নাই কার্যত কেকেআরের জায়গায় আছে। আপাতত ১১ ম্যাচে পয়েন্ট আট। বাকি তিনটি ম্যাচ জিতলে সর্বোচ্চ ১৪ পয়েন্ট হতে পারে। কেকেআরের মতোই এতগুলি ম্যাচের ফলাফল সিএসকের পক্ষে যেতে হবে যে চাঁদে ঘুরে আসার পরিকল্পনাও করতে পারেন মহেন্দ্র সিং ধোনিরা। ফলে কেকেআরের মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করতে পারে চেন্নাইও।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।