অঙ্কের নিরিখে জমে উঠেছে আইপিএলের প্লে-অফের লড়াই (IPL 2022 Playoffs Race)। সেই পরিস্থিতিতে আজ মুখোমুখি হচ্ছে রয়্যাল চ্যাালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর এবং পঞ্জাব কিংস (RCB vs PBKS)। সেই ম্যাচের দিকে একাধিক দল তাকিয়ে থাকবে। নিজেদের স্বার্থে কোন দল কাকে সমর্থন করবে, দেখে নিন সেই অঙ্ক-
রয়্যাল চ্যাালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর: আপাতত ১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট আছে। আজ জিতলে কার্যত পাকা হয়ে যাবে প্লে-অফের টিকিট। সেক্ষেত্রে শেষ ম্যাচে গুজরাট টাইটানসের বিরুদ্ধে হেরে গেলেও শেষ চারে উঠে যেতে পারে। তবে দিল্লি ক্যাপিটালস, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, রাজস্থান রয়্যালস (সর্বাধিক ১৮ পয়েন্ট) এবং লখনউ সুপার জায়েন্টস (সর্বাধিক ২০ পয়েন্ট) ১৬ পয়েন্ট বা তার বেশি পয়েন্টে শেষ করতে পারে। তাই কোনওভাবে শেষ ম্যাচে হেরে গেল ব্যাঙ্গালোরকে নেট রানরেটের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে (দিল্লি, হায়দরাবাদ ও রাজস্থান (ন্যূনতম) ১৬ পয়েন্টে শেষ করবে ধরে)।
পঞ্জাব কিংস: প্লে-অফের দৌড়ে টিকে থাকতে আজ ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচ খেলতে নামছে পঞ্জাব। আপাতত ১১ ম্যাচে পঞ্জাবের পয়েন্ট ১০। আজ হেরে গেলে সর্বাধিক ১৪ পয়েন্টে শেষ করবে। সেক্ষেত্রে খাতায়কলমে প্লে-অফের দৌড়ে টিকে থাকলেও আদতে বাড়ি ফেরার তোড়জোড় সারতে হবে মায়াঙ্ক আগরওয়াল।
আরও পড়ুন: IPL 2022: RCB-তে ফ্যাফের সিদ্ধান্তই শেষ কথা, এক-দু কথায় স্পষ্ট জানালেন প্রাক্তন নেতা বিরাট
গুজরাট টাইটানস: ইতিমধ্যে পাকা হয়ে গিয়েছে প্লে-অফের টিকিট (১২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট)। চেন্নাই সুপার কিংস (১৫ মে) বা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের (১৯ মে) বিরুদ্ধে একটি ম্যাচ জিতলেই প্রথম দুইয়ে শেষ করবেন হার্দিকরা পান্ডিয়ারা। তাই ব্যাঙ্গালোর বা পঞ্জাব - তাতে ছিঁটেফোটা ভ্রূপেক্ষ করবেন না।
লখনউ সুপার জায়েন্টস: সরাসরি কোনও লাভ হবে না। তবে প্রথম দুইয়ে থাকার ক্ষেত্রে যাতে ব্যাঙ্গালোর পথের কাঁটা না হয়ে দাঁড়ায়, সেজন্য বিরাট কোহলিদের হার প্রার্থনা করবেন কে এল রাহুলরা। আপাতত ১২ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট আছে। ব্যাঙ্গালোর বাকি দুটি ম্যাচ জিতলে (আজ পঞ্জাবের ম্যাচ ধরে) সর্বাধিক ১৮ পয়েন্ট পৌঁছাতে পারবে।
সেক্ষেত্রে লখনউ বাকি দুটি ম্যাচের (১৫ মে রাজস্থান রয়্যালস এবং ১৮ মে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে) মধ্যে একটিতে হেরে গেলে নেট রানরেটের অঙ্ক চলে আসবে। যদিও তাতে সহস্র মাইল এগিয়ে লখনউ। রাহুলদের নেট রানরেট যেখানে +০.৩৮৫। ব্যাঙ্গালোরের তা -০.১১৫।
রাজস্থান রয়্যালস: আপাতত ১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট আছে। নেট রানরেট +০.২২৮। সেই পরিস্থিতিতে ব্যাঙ্গালোর হারলে লাভ হবে রাজস্থানের। তবে সেটা বিশাল লাভ নয়। কারণ দুই দল তিন এবং চার নম্বরে শেষ করার দৌড়ে আছে। নিয়ম অনুযায়ী, তিন বা চারে শেষ করলে ‘এলিমিনেটর’ খেলতে হবে।
সেইসঙ্গে ব্যাঙ্গালোর হারলে (সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৬ পয়েন্ট হবে বিরাটদের) দ্বিতীয় দল হিসেবে শেষ করার লড়াইয়ে কিছুটা সুবিধা হবে রাজস্থানের (রাজস্থান বনাম লখনউ খেলা আছে। রাজস্থান সেই ম্যাচ জিতলে সর্বোচ্চ ১৮ পয়েন্টে শেষ করবেন সঞ্জুরা)। তবে ব্যাঙ্গালোরের থেকে রাজস্থানের নেট রানরেট ঢের ভালো। তাই প্রথম দুইয়ে থাকার লড়াই হলে এমনিতেই বিরাটদের থেকে এগিয়ে থাকবেন সঞ্জুরা। একইভাবে দুই দলই যদি ১৬ পয়েন্টে শেষ করে, তাতেও অ্যাডভান্টেজ রাজস্থানের (অবিশ্বাস্য ব্যবধানে না হারলে)।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: চোখ বুজে ব্যাঙ্গালোরের হার চাইবে। আপাতত ১১ ম্যাচ খেলে ১০ পয়েন্টে আছে কেন উইলিয়ামসনদের। তাঁরা আশা করবেন, লিগের শেষ ম্যাচে ‘টপার’ গুজরাটের বিরুদ্ধে হেরে গেলে ১৪ পয়েন্টেই থমকে থাকবে ব্যাঙ্গালোর। আর বাকি তিন ম্যাচ জিতে ১৬ পয়েন্টে পৌঁছাতে পারলে প্লে-অফের লড়াইয়ে সুবিধা হবে সানরাইজার্সের। ব্যাঙ্গালোর গুজরাটের বিরুদ্ধে জিতলেও কিছুটা লড়াইয়ে থাকবেন কেনরা।
আজ পঞ্জাব জিতে গেলে মায়াঙ্করাও ১৬ পয়েন্টে শেষ করতে পারবেন। তাও পঞ্জাবের জয় চাইবে সানরাইজার্স। কারণ পঞ্জাবের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচ খেলবে কমলা বাহিনী। তাতে জিতে পঞ্জাবকে হারিয়ে নিজেরাই মায়াঙ্কদের আশা শেষ করতে পারবেন কেনরা।
কলকাতা নাইট রাইডার্স: আপাতত ১২ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট আছে। রীতিমতো ধর্মসংকটে পড়ে গিয়েছে কেকেআর। সুযোগ থাকলে দু'দলেরই হার চাইত নাইট বাহিনী। কীভাবে?
ব্যাঙ্গালোরের জয়ে লাভের আশা দেখতে পারে কেকেআর। ব্যাঙ্গালোর শেষ দুটি ম্যাচ হেরে ১৪ পয়েন্টে আটকে থাকবে। সেক্ষেত্রে কেকেআরের নেট রানরেট বেশি থাকবে (আপাতত -০.০৫৭ আছে, বাকি দুটি ম্যাচ জিতবে ধরে)। তাই ১৪ পয়েন্টে লড়াই হলে ব্যাঙ্গালোরের থেকে অ্যাডভান্টেজ থাকবে কেকেআরের। আবার পঞ্জাব জিতলে সর্বাধিক ১৬ পয়েন্টে শেষ করতে পারে। যা শেষ পেরেক পুঁতে দিতে পারে নাইটদের কফিনে।