প্লে-অফের লড়াইয়ের পাশা পুরো পালটে দিল পঞ্জাব কিংস। শুক্রবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে ৫৪ রানে উড়িয়ে দিলেন মায়াঙ্ক আগরওয়ালরা। সেই জয়ের ফলে নেট রানরেটও বেড়ে গেল পঞ্জাবের। শুধু তাই নয়, প্লে-অফের লড়াইয়ে ‘হট ফেভারিট’ হয়ে উঠল।
রয়্যালস চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর: প্রথম দুইয়ে থাকার আশা কার্যত শেষ হয়ে গেল। আপাতত ১৩ ম্যাচে পয়েন্ট ১৪ আছে। এমনকী নেট রানরেট এতটাই খারাপ যে শেষ ম্যাচে গুজরাট টাইটানসের বিরুদ্ধে জিতলেও ছিটকে যেতে পারেন বিরাট কোহলিরা। কারণ ১৬ পয়েন্ট বা তার বেশি পয়েন্টে থাকতে পারে পাঁচ দল (গুজরাট ইতিমধ্যে উঠে গিয়েছে)। ফলে বাকি তিনটি স্থানের জন্য চারটি দলের (লখনউ সুপারজায়েন্টস, রাজস্থান রয়্যালস, দিল্লি ক্যাপিটালস/সানরাইজার্স হায়দরাবাদ/পঞ্জাব কিংস এবং ব্যাঙ্গালোর) লড়াই হলেও পিছিয়ে থাকবে ব্যাঙ্গালোর। কারণ বিরাটদের নেট রানরেট -০.৩২৩। বাকিদের নেট রাননেট প্লাসে আছে।
আরও পড়ুন: RCB vs PBKS: বেয়ারস্টো-লিভিংস্টোন ঝড়ে উড়ে গেল কোহলিরা, জিতল পঞ্জাব
পঞ্জাব কিংস: শুক্রবারের জয়ের ফলে প্লে-অফের লড়াইয়ে প্রবলভাবে ফিরে এল পঞ্জাব। ১২ ম্যাচে পয়েন্ট ১২। বাকি দুটি ম্যাচ জিতলে ১৬ পয়েন্টে পৌঁছে যাবেন মায়াঙ্ক আগরওয়ালরা। পরের দুটি ম্যাচে পঞ্জাবের প্রতিপক্ষ হল - দিল্লি ক্যাপিটালস এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। যে দু'দলই প্লে-অফের লড়াইয়ে আছে। পঞ্জাব দুটি ম্য়াচ জিতলেই ওই দুটি দল প্লে-অফের দৌড় থেকে (কার্যত) ছিটকে যাবে। সেক্ষেত্রে শেষ ম্যাচে ব্যাঙ্গালোর জিতলেও চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফে চলে যাওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবে পঞ্জাব (রাজস্থান একটি ম্যাচ জিতলেই ১৬ পয়েন্টে পৌঁছে যাবে)। কারণ পঞ্জাবের নেট রানরেট ০.০২৩। বাকি দুটি ম্যাচ জিতলে সেটা আরও ভালো হবে।
গুজরাট টাইটানস: ইতিমধ্যে পাকা হয়ে গিয়েছে প্লে-অফের টিকিট (১২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট)। চেন্নাই সুপার কিংস (১৫ মে) বা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের (১৯ মে) বিরুদ্ধে একটি ম্যাচ জিতলেই প্রথম দুইয়ে শেষ করবেন হার্দিকরা পান্ডিয়ারা। তাই ব্যাঙ্গালোর বা পঞ্জাব ম্যাচের ফলাফল নিয়ে হার্দিকদের ছিঁটেফোটা ভ্রূপেক্ষ নেই।
লখনউ সুপার জায়েন্টস: সরাসরি কোনও লাভ হল না। তবে প্রথম দুইয়ে থাকার ক্ষেত্রে যাতে ব্যাঙ্গালোর পথের কাঁটা না হয়ে দাঁড়ায়, সেজন্য বিরাট কোহলিদের হারে লাভ হল কে এল রাহুলদের। আপাতত ১২ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট আছে লখনউয়ের ঝুলিতে। ব্যাঙ্গালোর এবার সর্বাধিক ১৬ পয়েন্ট পৌঁছাতে পারবে।
সেক্ষেত্রে লখনউ বাকি দুটি ম্যাচের (১৫ মে রাজস্থান রয়্যালস এবং ১৮ মে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে) মধ্যে একটিতে হেরে গেলেও প্লে-অফে উঠে যাবে।
রাজস্থান রয়্যালস: আপাতত ১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট আছে। নেট রানরেট +০.২২৮। সেই পরিস্থিতিতে বড় ব্যবধানে ব্যাঙ্গালোর হেরে যাওয়ায় লাভ হল রাজস্থানের। সেই পরিস্থিতিতে নিজেদের একটি ম্যাচে হারে, তাহলেও প্লে-অফে ওঠার লড়াইয়ে প্রবলভাবে থাকবে (সেক্ষেত্রে ব্যাঙ্গালোর ও রাজস্থান সর্বোচ্চ ১৬ পয়েন্টে শেষ করতে থাকবে)। শুধু তাই নয়, নেট রানরেটের নিরিখে ব্যাপক অ্যাডভান্টেজ থাকবে। কারণ ব্যাঙ্গালোরের নেট রানরেট +০.৩২৩।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: চোখ বুজে ব্যাঙ্গালোরের হার চাইছিল সানরাইজার্স। ঠিক সেটাই হল। আপাতত ১১ ম্যাচ খেলে ১০ পয়েন্টে আছে কেন উইলিয়ামসনদের। তাঁরা আশা করবেন, লিগের শেষ ম্যাচে ‘টপার’ গুজরাটের বিরুদ্ধে হেরে গেলে ১৪ পয়েন্টেই থমকে থাকবে ব্যাঙ্গালোর। আর বাকি তিন ম্যাচ জিতে ১৬ পয়েন্টে পৌঁছাতে পারলে প্লে-অফের লড়াইয়ে সুবিধা হবে সানরাইজার্সের। ব্যাঙ্গালোর গুজরাটের বিরুদ্ধে জিতলেও কিছুটা লড়াইয়ে থাকবেন কেনরা।
আরও পড়ুন: IPL Points Table: হেরে চাপ বাড়ল RCB-র, সুবিধে পেল PBKS, প্লে-অফের অঙ্ক ঘেটে ঘ
তবে পঞ্জাব জিতে যাওয়ায় মায়াঙ্করাও ১৬ পয়েন্টে শেষ করতে পারবেন। তাতেও পঞ্জাবের জয়ে খুশি হবে সানরাইজার্স। কারণ পঞ্জাবের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচ খেলবে কমলা বাহিনী। সেই ম্যাচে জিতে পঞ্জাবকে হারিয়ে নিজেরাই মায়াঙ্কদের আশা শেষ করতে পারবেন কেনরা।
কলকাতা নাইট রাইডার্স: এই ম্যাচের ফলাফলে কেকেআরের বিশেষ কোনও লাভ হল না। কারণ বর্তমান পরিস্থিতি থেকে ১৬ পয়েন্টে শেষ করতে পারবে পঞ্জাব এবং ব্যাঙ্গালোর (বাকি ম্যাচগুলি জিতবে ধরলে)। ইতিমধ্যে ১৬ পয়েন্ট বা তার বেশি আছে দু'দলের। যত বেশি দল ১৪ পয়েন্ট বা কম পয়েন্টে থাকবে, তত সুযোগ বাড়বে কেকেআরের। সেক্ষেত্রে কেকেআর ১৪ পয়েন্ট (বাকি দুটি ম্যাচ জিতলে সেই পয়েন্টে পৌঁছাবে) থেকে নেট রানরেটের খেলার প্লে-অফে ওঠার সুযোগ পাবে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।