গ্রুপ লিগের ৭০টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় মহারাষ্ট্রের চারটি মাঠে। স্বাভাবিকভাবেই প্রতিটি মাঠের বাইশগজ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা তৈরি হয়ে গিয়েছিল দলগুলির। তবে প্লে-অফের ম্যাচগুলিতে চারটি দলকে খেলতে হচ্ছে অচেনা পিচে।
ইডেনের বাইশগজে যথেচ্ছ রান তোলেন ব্যাটসম্যানরা। যদিও তার পরেও ম্যাচ হেরে রাজস্থান দলনায়ক সঞ্জু স্যামসন নাক সিঁটকেছিলেন ইডেনের পিচ নিয়ে। এবার আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের বাইশগজ রীতিমতো চমকে দেয় বিশেষজ্ঞদের।
নতুন পিচে টস জিতে ব্যাট করার সাহস দেখাননি স্যামসন। টসের সময় তিনি দাবি করেন যে, পিচ একটু চটচটে মনে হচ্ছে। তবে আরসিবি দলনায়ক ফ্যাফ ডু'প্লেসির দাবি ছিল, পিচ ব্যাটিংয়ের জন্য দুর্দান্ত।
রাজস্থান রয়্যালস বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ম্যাচের লাইভ আপডেটে চোখ রাখতে ক্লিক করুন
ম্যাচ শুরু হওয়ার পরেই বোঝা যায় বাইশগজের প্রকৃত গতিপ্রকৃতি। যে রকম গতি ও বাউন্স দেখা যায় আমদাবাদের পিচে, তাতে ম্যাথিউ হেডেন তো বলেই ফেলেন যে, ম্যাচটি কি ওয়াকায় খেলা হচ্ছে?
বাস্তবিকই যে রকম বাউন্স ও স্যুইং আদায় করে নেন বোল্ট, প্রসিধ, ম্যাকয়রা, তা সচরাচর পারথের পিচে দেখা যায়। কোহলি ও ডু'প্লেসি-সহ আরসিবির বেশিরভাগ ব্যাটসম্যান বাউন্সের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন। বেশ কয়েকবার উইকেটকিপারও পরাস্ত হন বাউন্স ও স্যুইংয়ে।
আরও পড়ুন:- Eliminator-এ শতরান, Qualifier-এ ৫০, অনন্য নজির আনক্যাপড পতিদারের, ছুঁলেন রায়নাকে
পিচ থেকে সাহায্য মিলতেই প্রসিধ-ম্যাকয়রা অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন। প্রসিধ ৪ ওভারে ২২ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট দখল করেন। ম্যাকয় ৪ ওভারে ২৩ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট পকেটে পোরেন। বোল্ট ৪ ওভারে ২৮ রান খরচ করে ১টি উইকেট নেন।
তুলনায় স্পিনাররা খরুচে প্রমাণিত হন। অশ্বিন ৪ ওভারে ৩১ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট নেন। চাহাল ৪ ওভারে ৪৫ রান খরচ করেও কোনও উইকেট পাননি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।