প্রকৃত টিমম্যান বোধহয় একেই বলে। সতীর্থ জিমি নিশামকে বাঁচাতে রান আউটের বোঝা নিজের কাঁধে নিয়ে মাঠ থেকে হনহন করে বের হয়ে যাচ্ছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। কিন্তু তাঁকে আটকান ফিল্ড আম্পায়ার। কারণ নিজে রান আউট হতে চাইলেও, ক্রিকেট নিয়মে সেটা সম্ভব হয়নি।
রবিবার লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালস তাদের ইনিংসের ১৮তম ওভারে ব্যাট করছিল। সেই ওভারের প্রথম বলেই রিয়ান পরাগকে সাজঘরে ফিরিয়েছিলেন রবি বিষ্ণোই। আর চতুর্থ বলে রান আউটের ঘটনাটি ঘটে। তখন স্ট্রাইকে ছিলেন অশ্বিন।
আরও পড়ুন: ব্যাটসম্যানের সঙ্গে লুকোচুরি, আম্পায়ারের আড়াল থেকে 'বোলিং' অশ্বিনের
তাঁর শটটি সরাসরি লখনউ অধিনায়ক কেএল রাহুলের হাতে চলে যায়। এ দিক রান নেওয়ার জন্য নন স্ট্রাইকিং জোন থেকে বেরিয়ে ক্রিজের অর্ধেকের বেশি পার করে গিয়েছিলেন নিশাম। কিন্তু অশ্বিন প্রথমে ছোটেননি। পরে নিশামের জন্য তিনি ছুটতে শুরু করলেও রান আউট নিশ্চিত ছিল। কারণ অশ্বিন সময় মতো কোনও ভাবেই ক্রিজে অপর প্রান্তে পৌঁছতে পারতেন না। রাহুল বলে পেয়েই বিষ্ণোইকে ছুঁড়ে দেন। উইকেট ভাঙতে দেরী করেননি রবি বিষ্ণোই। আর রান আউট হতে দেখেই সোজা সাজঘরের দিকে হাঁটা লাগান অশ্বিন।
রান আউটের ভিডিয়ো দেখতে ক্লিক করুন এখানে:
কিন্তু আম্পায়ারের মধ্যে দ্বিধা ছিল, আউটটা আসলে অশ্বিন হয়েছেন, না নিশাম। সেই কারণেই অশ্বিনকে আটকানো হয়। রিপ্লেতে দেখা যায়, যখন বিষ্ণোই উইকেট ভাঙছেন, সেই সময়ে নিশাম ক্রস করতে পারেননি অশ্বিনকে। তাই নিয়ম অনুযায়ী, আউট হন নিশাম। অশ্বিন নন। তবে অশ্বিনের এই টিমম্যান সুলভ আচরণ মন কেড়েছে সকলের। ক্রিকেটমহলও তাঁর এই আচরণের প্রশংসা করেছে।
নিশামের উইকেট পড়ার পর ১৭.৪ ওভারে রাজস্থানের রান ছিব ৬ উইকেটে ১৫২। সেখান থেকে নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ করে রাজস্থান রয়্যালস। জবাবে ব্যাট করতে নামলে নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৮ উইকেটে লখনউ করে ১৫৪ রান। ২৪ রানে ম্যাচটি জিতে যায় রাজস্থান। সেই সঙ্গে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে হারিয়ে প্লে-অফ কার্যত নিশ্চিত করে ফেলল রাজস্থান রয়্যালস।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।