শেষ পাঁচ ওভারে গুজরাট টাইটানসের জিততে দরকার ছিল ৪৮ রান। ১৬তম ওভারে কায়রন পোলার্ডের দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকান বি সাই সুদর্শন। ওভারের শুরুটা দারুণ করেছিলেন। তবে সেই ওভারের শেষ বলেই তিনি হিট উইকেট হয়ে যান। পোলার্ডের এই শর্ট বলটিতে পুল মারতে গিয়েছিলেন। স্লোয়ার থাকায় ব্যাটে-বলে সংযোগ ঘটেনি। কিন্তু এর পরই ভারসাম্য রাখতে না পেরে সুদর্শন হিট উইকেট করে বসেন। ফলো থ্রুতে তাঁর ব্যাট ঘুরে গিয়ে লাগে উইকেটে। ১টি চার ও ১টি ছয়ের সাহায্যে ১১ বলে ১৪ রান করে আউট হন সুদর্শন।
সেই সঙ্গে তিনি করে ফেলেন দুর্ভাগ্যজনক নজির। আইপিএলের ইতিহাসে ১৪তম প্লেয়ার হিসেবে সাই সুদর্শন হিট উইকেট হয়ে আউট হন। তবে চলতি আইপিএলে এটিই প্রথম হিট উইকেট। আইপিএলে হিট উইকেটের তালিকাটা বেশ বড়। দেখে নিন এক নজরে:
ড্যানিয়েল স্যামসের শেষ ওভারে ৯ রান তুলতে না পেরে আইপিএলের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা গুজরাট টাইটানস দশে থাকা মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে ৫ রানে পরাস্ত হয়। রোহিত শর্মাদের চলতি আইপিএলে এটি দ্বিতীয় জয়। গুজরাট টাইটানসের অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়া ম্যাচ হারের পর বলেছেন, ১৯.২ ওভার পর্যন্ত ম্যাচে থেকেও, মূলত ব্যাটিং ব্যর্থতা জন্যই হারতে হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, সাই সুদর্শনের দুর্ভাগ্যজনক আউট হওয়াটাই এই হারের বড় ফ্যাক্টর হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: আত্মতুষ্টি না ক্লান্তি, নাকি অন্য কিছু, GT-এর আছাড় খাওয়ার কারণ কী?
ক্রিজে তখনও ছিলেন অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়া। তিনি তখন অপরাজিত ৯ বলে ১৪ রানে। শেষ চার ওভারে দরকার ছিল ৪০। শেষ পর্যন্ত গুজরাট ম্যাচ হেরে যাওয়ায় দলের সমর্থকদের আক্ষেপ, উইকেটে টিকে যাওয়া সাই সুদর্শন দুর্ভাগ্যের শিকার না হলে ম্যাচের ফল অন্য রকম হতেই পারতো।