দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের মহসিন খান। ৪ ম্যাচ খেলে ৮টি উইকেট তিনি নিয়ে ফেলেছেন। রবিবার দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ৪ ওভার বল করে ১৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন। দিল্লি ক্যাপিটালসের ব্যাটিং অর্ডারের কোমর ভেঙে দিয়েছেন মহসিন। ম্যাচটি লখনউকে তিনি ৬ রানে জিততেও সাহায্য করেছেন।
অথচ বছর তিনেক আগেই ছবিটি ছিল একেবারে অন্য রকম। হতাশ হয়ে নিজের কোচ বদরুদ্দিন সিদ্দিকিকে ফোন করে মহসিন বলেছিলেন, ‘স্যার, মুঝে ইয়ে লোগ খিলা নেহি রহে হ্যায়, মে পরেশান হোগায়া হুঁ (ওরা আমাকে দলে অন্তর্ভুক্ত করছে না, আমি হতাশ হয়ে পড়েছি)।’
তারকা খচিত মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের প্লেয়িং ইলেভেনে জায়গা না পেয়ে সে সময় হতাশ হয়েছিলেন মহসিন। আগের তিন বছর ধরে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও, একটি ম্যাচেও খেলার সুযোগ পাননি। সেই হতাশা থেকেই কোচকে ফোন করেছিলেন তিনি।
পুরনো কথা মনে করে বদরুদ্দিন বলছিলেন, ‘সে সময়ে আমি ওকে বলেছিলাম, বোকার মতো ভেব না। জহির খান এবং লাসিথ মালিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলো। ওঁদের থেকে শেখার চেষ্টা করো। মাথা খেয়ে ফেলে ওদের থেকে শিখে নাও ভালো করে। পরবর্তীতে তুমি দেখবে, আরও ভালো বোলার হয়ে উঠেছো’
বদরুদ্দিন সিদ্দিকি, যিনি মহম্মদ শামিরও কোচ ছিলেন, বলেছেন, এমনও দিন ছিল যখন মহসিন অনুশীলন বাদ দিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে টেনিস-বল ক্রিকেট খেলতেন। কাঁধে চোট পেলে কোচের কাছে বকাও খেতেন।
বদরুদ্দিন বলেছেন,‘আমি ওকে বলেছিলাম, যদি উচ্চতর ক্রিকেট খেলতে চাও, তবে সিরিয়াস হতে হবে। তুমি এই টেনিস-বল গেম খেলতে পারো, তবে নিয়মিত নয়। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ওকে দলে নিলে পরিস্থিতি বদলে যায়।’
লকডাউনের সময়,মহম্মদ শামির খামারবাড়িতে তাঁর সঙ্গে প্রশিক্ষণ করেন মহসিন। বদরুদ্দিন বলেছেন যে শামির সঙ্গে এই সময় কাটানোই মহসিনকে বদলে দিয়েছিল। কারণ তিনি রিভার্স সুইং এবং সিমে বল ডেলিভারি করার শিল্প শামির থেকে শিখেছিলেন।
বদরুদ্দিন বলেছেন, ‘শামি ওকে বলেছিল যে, মহসিন ওর চেয়ে ভাল বোলার। শুধু আরও ফোকাস দরকার। লকডাউনের সময় আমি ওকে ফোন করে বলেছিলাম, শামির কাছ থেকে যতটা পারো শিখে নাও। তার পরে বিষয়গুলি পাল্টাতে শুরু করে।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।