শিখর ধাওয়ান ৫০ বা তার বেশি রান করলেই স্বস্তিতে থাকতে পারে তাঁর টিম পঞ্জাব কিংস। কারণ পরিসংখ্য়ান বলছে, তিনি হাফসেঞ্চুরি পেলেই তাঁর টিমের জয় কার্যত পাকা। শিখর শেষ যে দশটি হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন, তার মধ্যে তাঁর টিম ন'টি ম্যাচই জিতেছে। একটিতে হেরেছে। এবং তাঁর হাফসেঞ্চুরি করার পর যে ন'টি ম্যাচ জিতেছে শিখরের টিম, তার মধ্যে তিনি নিজে আপরাজিত ছিলেন ৪ ম্যাচে।
যেমন মঙ্গলবারই গুজরাট টাইটানসের বিরুদ্ধে শিখর ৫৩ বলে অপরাজিত ৬২ রান করেন। আর ম্যাচটি পঞ্জাব জিতেও যায় ৮ উইকেটে। এর থেকেই পরিষ্কার পঞ্জাবের জয় কার্যত নিশ্চিত করতে, শিখরকে অন্তত হাফ সেঞ্চুরি প্রতিটি ম্যাচে করতেই হবে।
আরও পড়ুন: ‘রান তাড়া করে জিতছি, কমফোর্ট জোন থেকে বেরোতে ব্যাটিং নিয়েছিলাম’-সাফাই হার্দিকের
মঙ্গলবার টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। সাই সুদর্শনের ৫০ বলে ৬৫ রান বাদ দিলে, সে ভাবে কেউই রান পাননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ঋদ্ধিমান সাহার। ১৭ বলে তিনি ২১ করেন। তৃতীয় সর্বোচ্চ অতিরিক্ত রান। পঞ্জাব ১৪ রান অতিরিক্ত দিয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই নির্দিষ্ট ২০ ওভারে কোনও মতে ৮ উইকেটে ১৪৩ রান তোলে পঞ্জাব। একাই ৪ উইকেট নেন কাগিসো রাবাডা।
জবাবে পঞ্জাব ব্যাট করতে নামলে তাদের ওপেনার জনি বেয়ারস্টো মাত্র ১ রান করে আউট হয়ে যান। তখন আর এক ওপেনার শিখর ধাওয়ান আবার ভানুকা রাজাপক্ষেকে নিয়ে দলের হাল ধরেন। শিখর ৬২ করে অপরাজিত থাকেন। রাজাপক্ষে করেন ২৮ বলে ৪০ রান। চারে নেমে ১০ বলে ৩০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন লিয়াম লিভিংস্টোন। অনেকটা শেষ পাতে মিষ্টি মুখের মতো। ৪ ওভার বাকি থাকতেই ২ উইকেটে ১৪৫ রান করে ম্যাচ পকেটে পুড়ে ফেলে পঞ্জাব।