ঘোর বিপাকে পাঁচ বারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নরা। চলতি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সই একমাত্র দল, যারা এখনও পয়েন্টের খাতা খুলতে পারেনি। লিগে অর্ধেকের বেশি ম্যাচ খেলে ফেলেছে তারা। অথচ রোহিত শর্মারা এখনও একটিও ম্যাচ জেতেননি। ৮টি ম্যাচের সবগুলিতেই হারতে হয়েছে মুম্বইকে।
এর ফলে তাদের প্লে-অফে ওঠার স্বপ্ন কার্যত শেষ হয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত গত বারও মুম্বই প্লে-অফে উঠতে পারেনি। পাঁচে শেষ করেছিল। এ বার অবশ্য তিনে শেষ করেছে তারা।
২০০৮ এবং ২০০৯ সালে প্রথম দু'টি আইপিএল মরশুমেও প্লে-অফে উঠতে পারেনি মুম্বই। ২০০৮ সালে তারা পাঁচে শেষ করেছিল। আর ২০০৯ সালে সাতে শেষ করেছিল। তবে এ বার এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে খারাপ হাল মুম্বইয়ের। সেই সঙ্গে ২০০৮ ও ২০০৯ সালের পর ফের ২০২১ ও ২০২২ সালেও মুম্বই আইপিএল টেবলের প্রথম তিনে জায়গা করে নিতে পারল না। বাকি ২০১০-২০২০ সাল পর্যন্ত তারা টানা প্রথম তিনে জায়গা করে নিতে সমর্থ হয়েছিল।
আইপিএলের প্রথম ৮ ম্যাচেই টানা এ ভাবে হারের নজির কোনও দলেরই নেই। টুর্নামেন্টের প্রথম থেকে টানা ৮ ম্যাচে হারের লজ্জার নজির গড়ল মুম্বই। এর আগে শুরু থেকে টানা ৬ ম্যাচে হারের নজির ছিল। তবে একটানা ১১টি আইপিএল ম্যাচ হারের রেকর্ড রয়েছে রাইজিং পুণে ওয়ারিয়র্স ইন্ডিয়া ও দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের। তবে সেটা অবশ্য দু'টি মরশুম মিলিয়ে। পুণে ২০১২ সালের শেষ ৯টি ম্যাচ এবং ২০১৩ আইপিএলের প্রথম ২টি ম্যাচে পরাজিত হয়েছিল। দিল্লি ২০১৪ আইপিএলের শেষ ৯টি ও ২০১৫ আইপিএলের প্রথম ২টি ম্যাচে হারে। এক মরশুমে টানা ৯ ম্যাচ হারের রেকর্ড অবশ্য পুণে এবং দিল্লি করেছে। তবে অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, মুম্বইয়ের এ বার যা বেহাল দশা, তাতে এক মরশুমে টানা হারের নজির এ বার রোহিত শর্মার টিমই গড়ে ফেলবে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।