মঙ্গলবার রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ জয় ছিনিয়ে নিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। আর তার পরেই উচ্ছ্বসিত আরসিবি ব্রিগেড ড্রেসিংরুমে সেলিব্রেশনে মেতে ওঠে। প্লেয়াররা তাঁদের দলের গান গেয়ে উৎসবে মেতে ওঠেন। ফাফ ডু'প্লেসি থেকে বিরাট কোহলি, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল প্রত্যেকেই খোলা গলায় গান গাইতে থাকেন। আসলে পরপর দু'ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসটাও বেড়েছে ব্যাঙ্গালোরের।
গানের কথাগুলো বাংলায় অনুবাদ করলে খানিকটা এ রকম হতো, ‘প্যান্টটি লাল। শার্টটি নীল। সোনার সিংহের মধ্যে দিয়ে জ্বলজ্বল করছে। আমরা আরসিবি। আমরা সাহস দেখিয়ে খেলছি। আমরাই ফাইনালে যাব……. অন্য দলগুলো বিরক্ত করে না। আরসিবি-র জন্য গর্বিত।’
আইপিএলে শুরুটা পঞ্জাব কিংসের কাছে হার দিয়ে শুরু করেছিল আরসিবি। কিন্তু এর পর কলকাতা নাইট রাইডার্সকে তারা হারায়। আর মঙ্গলবার তারা রাজস্থানের বিরুদ্ধে ৫ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায়।
টসে জিতে রাজস্থানকেই ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল আরসিবি। জস বাটলার ৪৭ বলে ঝড়ো ৭০ রানের ইনিংস খেলেছেন। পাশাপাশি শিমরন হেতমায়ের করেছেন ৩১ বলে ৪২ রান। ২৯ বলে ৩৭ করেন দেবদূত পাডিক্কাল। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান করে রাজস্থান। ব্যাঙ্গালোরের ডেভিড উইলি, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, হার্ষাল প্যাটেল ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৬২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসেছিল আরসিবি। ফাফ, কোহলি, অনুজ রাওয়াত, ডেভিড উইলিরা পরপর সাজঘরে ফিরে গিয়েছিলেন। তার পর শেরফান রাদারফোর্ডও আউট হয়ে গেলে সাত নম্বরে ব্যাট করতে আসেন দীনেশ কার্তিক। এর পর শাহবাজ আহমেদ এবং কার্তিক মিলে দলের হাল ধরেন। ২৬ বলে ৪৫ রানের দুরন্ত একটি ইনিংস খেলেন শাহবাজ। আর কার্তিক ২৩ বলে অপরাজিত ৪৪ করে দলকে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন। এই দুই ক্রিকেটারই চাপের মাঝেও ম্যাচ বের করে আনে। আর ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতে উচ্ছ্বাসে ভেসে আরসিবি শিবির।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।