২৩ ডিসেম্বর কোচিতে আইপিএল নিলামে ঝড় তুলতে পারেন ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটের এক গুচ্ছ তারকা। এর মধ্যে কিছু খেলোয়াড়কে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি ছেড়ে দিয়েছে, অন্যরা এখনও টুর্নামেন্টে খেলেননি। যাইহোক এঁরা প্রত্যেকেই কিন্তু এখনও পর্যন্ত ভারতের ঘরোয়া মরশুমে কঠোর পরিশ্রম করেছেন।
1/6শিবম মাভি প্রতি ঘণ্টায় ১৪০ কিমি গতিতে বল করতে পারেন। নতুন বলে সুইং করতে পারেন এবং পাওয়ারপ্লেতে একজন উইকেট শিকারী। যাইহোক শেষ আইপিএলে মাভি চোট এবং ফর্মের সমস্যায় জর্জরিত ছিলেন। তিনি ছ'টি খেলায় মাত্র পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন এবং কলকাতা নাইট রাইডার্সের জন্য আইপিএল ২০২২-এ তার ইকোনমি রেট ছিল ১০.৩১। কেকেআর তাঁকে আইপিএলের মেগাল নিলামে ৭.২৫ কোটি দিয়ে কিনেছিল। তবে মাত্র ২৪ বছরের তারকার আইপিএল এবং ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার বড় অভিজ্ঞতা রয়েছে। মাভি বাউন্সার এবং ইয়র্কার সহ তার ভিন্নতা নিয়ে কাজ করেছেন। সেই সঙ্গে তাঁর ডেথ-বোলিং দক্ষতার কারণে তাঁর চাহিদা থাকবে নিলামে।
2/6বাংলার মুকেশ কুমার ২৯ বছরের তারকা ফাস্ট বোলার। ব্যাক-টু-ব্যাক ইন্ডিয়া এ সিরিজে (নিউজিল্যান্ড এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে) খেলেছেন এবং ভালো পারফরম্যান্স করেছেন। তিনি সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হোম সিরিজের জন্য ভারতের ওয়ানডে দলেরও অংশ ছিলেন। এটা বিশেষ ভাবে চিত্তাকর্ষক যে, তিনি ঘরোয়া পারফরম্যান্সের মাধ্যমে এই জায়গায় পৌঁছেছেন। তিনি কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও আইপিএল খেলেননি। কোনও আইপিএল দলেই নাম লেখাননি। মুকেশ ভাল লেন্থে বল করে। গত বছর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর তাঁকে নেট বোলার হিসেবে ডেকেছিল। কিন্তু কোভিড-১৯-এর কারণে তিনি বাদ পড়েছিলেন। বাংলার জার্সিতেও তাঁর পারফরম্যান্স কিন্তু নজর কাড়া। এই নিলামে তাঁর দিকে নজর থাকবে।
3/6যশ ঠাকুর বিদর্ভের পেসাদের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তিনি তাঁর ডেথ বোলিংয়ে সকলকে মুগ্ধ করেছেন। এবং একটি সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে নজর কেড়েছেন। সেই টুর্নামেন্টে ১০ ম্যাচে ১৫ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন তিনি। এবং তাঁর ইকোনমি রেট ছিল ৭.১৭। ২৪ বছরের তারকা নেট বোলার হিসেবে একাধিক আইপিএল খেলেছেন। এবং সম্প্রতি পাঞ্জাব কিংস দলের অংশও ছিলেন।
4/6আকাশ বশিষ্ট মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন দেখেন। আকাশ হিমাচল প্রদেশকে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির ফাইনালে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন। তিনি একজন অলরাউন্ডার। ব্যাট হাতে যেমন তিনি ভালো পারফরম্যান্স করছিলেন, তেমনই তিনি একজন ভালো স্পিনারও। বাঁ-হাতি ব্যাটার হিসেবে তিনি বড় বিকল্প। টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে হিমাচলের হয়ে সর্বোচ্চ স্কোর করেছিলেন অকাশ। ১৬৩.৬৩ স্ট্রাইক রেটে তিনি ২১৬ রান করেন। বাঁহাতি স্পিন বোলিং করেন।
5/6পঞ্জাবের সনভীর সিং ঘরোয়া মরশুমে দুরন্ত পারফরম্যান্স করে নতুন ভারতীয় সিম-বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে নজর কেড়েছেন। যে কারণে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির তাঁর দিকে নজর থাকবে। লোয়ার অর্ডারে ব্যাটিং করে সনভীর সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে ২০৫.১৭ (যে কোনও ব্যাটসম্যানের জন্য সর্বোচ্চ, সর্বনিম্ন ১০০ রান) একটি দুর্দান্ত স্ট্রাইক রেটে পাঁচ ইনিংসে ১১৯ রান করেছেন। যদিও সনভীর টি-টোয়েন্টিতে দলের হয়ে বল হাতে নিয়মিত পারফরম্যান্স করতে পারেননি। ডানহাতি সিমার বিজয় হাজারে ট্রফিতে সাত উইকেট নিয়েছিলেন। ২৬ বছরের এই তারকা ক্যারিয়ারের সেরা অপরাজিত ৮৪ সহ ১৫৬ রানও করেছিলেন। সনভীরের বেস প্রাইস ২০ লাখ টাকা।
6/6স্টাম্পের পিছনে এমএস ধোনির উপস্থিতির কারণে চেন্নাই সুপার কিংসে এন জগদীসান বেশি খেলার সময় পাননি এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি তাঁকে মাত্র ২০ লাখ টাকায় কেনা সত্ত্বেও, ২০২৩ আইপিএল নিলামের আগে তাঁকে ছেড়ে দেয়। ২৭ বছরের জগদীসান রেকর্ড-ব্রেকিং পাঁচটি ব্যাক-টু-ব্যাক লিস্ট এ সেঞ্চুরি করেছেন - বিশ্বের একমাত্র ব্যাটসম্যান যিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন। রঞ্জি ট্রফিতেও বিধ্বংসী মেজাজে পাওয়া যায় জগদীসানকে। য়দরাবাদের বিপক্ষে ৭৭ বলে করেছিলেন সেঞ্চুরি। তিনি ইতিমধ্যেই আইপিএল চ্যাম্পিয়ন টিম গুজরাট টাইটান্সে ট্রায়াল দিয়েছে। গুজরাট ঋদ্ধিমান সাহার পরে দ্বিতীয় ভারতীয় উইকেটরক্ষকের সন্ধানে রয়েছে।