ইডেন গার্ডেন্সের ডি-ব্লকের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন আন্দ্রে রাসেল। গ্যালারি দিকে ভেসে আসছিল তাঁর ভক্তদের পাগলের মতো চিৎকার, ‘রাসেল স্যার, একটা সেলফি প্লিজ!’ কলকাতা নাইট রাইডার্সের বাকি খেলোয়াড়রা তখনও নেটে ঘাম ঝরাচ্ছেন। কিন্তু রাসেল ততক্ষণে বেশ কিছু ডেলিভারিতে নিজের মারমুখী ছন্দে অনুশীলন সেরে ফেলেছেন। তবে কলকাতার আবেগ তখনও কেন্দ্রীভূত রাসেলকে ঘিরেই।
গ্যালারির সামনে আসতেই ভক্তদের আব্দারে সেলফি তোলা শুরু হয়ে যায়। এর মাঝেই সাংবাদিকরাও নিজেদের প্রশ্নের ঝুলি নিয়ে হাজির ক্যারিবিয়ান তারকার সামনে। রাসেলের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ইডেনে ফিরে তাঁর কেমন লাগছে? আগের মতোই কি ব্যাটে-বলে হচ্ছে? রাসেল স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘ব্যাটে আগের মতোই বল লাগছে। খুব ভালো লাগছে ফিরে এসে। এ বার ইডেনের বাইশ গজে ফের দাপট দেখাতে হবে। দেখা যাক, তোমাদের খুশি করতে পারি কি না। তোমাদের কিন্তু আমার জন্য গলা ফাটাতে হবে।’ সেই সময় এক সাংবাদিক বলেন, ‘আমরা তো প্রেসবক্সে থাকব।’ রাসেল জবাবে বলেন, ‘প্রেসবক্স থেকে বেরিয়ে এসো। আমি কিংবদন্তি। আমার ব্যাটিং দেখবে না?’
আরও পড়ুন: পন্তের জার্সি নম্বর নিজেদের টুপি, টি-শার্টে ব্যবহার করার কথা ভাবছেন DC কোচ
আন্দ্রে রাসেলের উপর ২০২৩ আইপিএলের চাপ এবং দায়িত্ব অন্যান্য মরশুমের তুলনায় বেশি হতে পারে। আসলে কেকেআর এখনও অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারের চোটের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনও ঘোষণা করেননি। একাধিক রিপোর্ট অনুসারে, ডানহাতি ব্যাটসম্যান পুরো মরশুমের জন্যই পিঠের চোটের কারণে বাদ পড়েছেন।
শ্রেয়স আইয়ার যদি এ বারের আইপিএলে অংশ নিতে না পারেন, তা হলে কেকেআর-কে অন্য রকম কিছু ভাবতে হবে। সমস্যা হল, স্কোয়াডে তাদের খুব বেশি বিকল্প নেই। শীর্ষ পর্যায়ে নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা রয়েছে শুধু মাাত্র টিম সাউদি এবং শাকিব আল হাসানের। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের পেসার এবং বাংলাদেশ অলরাউন্ডার- দুই প্লেয়ারই দলের কম্বিনেশনের কারণে প্রতিটা ম্যাচেই যে একাদশে থাকবেনই, সেটা নাও হতে পারে। ভারতীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে নীতিশ রানা এবং বেঙ্কটেশ আইয়ার রয়েছেন। তবে আইপিএলে নেতৃত্ব দেওয়ার অনভিজ্ঞতা তাঁদের বিপক্ষেই যাবে।
আরও পড়ুন: বুমরাহর ঠিক কী হয়েছে, জানেন একমাত্র লক্ষ্মণ- রিপোর্ট
আর এ ক্ষেত্রেই উঠছে আন্দ্রে রাসেলের নাম। সুনীল নারিনের সঙ্গে তিনি গত কয়েক মরশুম ধরে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হয়ে উঠেছেন। রাসেল সিপিএলে জামাইকা তালাওয়াজের নেতৃত্ব দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি কেকেআর-এর অন্যতম বড় ম্যাচ উইনারও।
রাসেল কলকাতায় সাংবাদিকদের আরও বলেছেন, ‘আমি আপনাদের সবাইকে খুশি করার চেষ্টা করব। ব্যাট থেকে যে ভাবে বল বের হচ্ছে তাতে আমি সন্তুষ্ট। আশা করি, এই আইপিএল-এও আমি সেটাই করতে পারব।’
গত বছর কেকেআর-এর পারফরম্যান্স আহামরি কিছু ছিল না। তবে রাসেল ১৭৪.৪৮ স্ট্রাইক রেটে ৩৩৫ রান করেছিলেন। তিনি কেকেআর-এর শীর্ষ পারফর্মারদের একজন ছিলেন। ৩২টি ছক্কা মেরেছিলেন রাসেল। বল হাতেও তিনি ১৭টি উইকেট নিয়েছিলেন।এটি আইপিএলে তাঁর নেওয়া সর্বাধিক উইকেট নেওয়ার নজির। প্রসঙ্গত, এ বারের আইপিএলে ১ এপ্রিল মোহালিতে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে নাইটরা তাদের অভিযান শুরু করবে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।