পাঞ্জাব কিংস এবং রাজস্থান রয়্যালস দুই দলই এখন একই নৌকায় রয়েছে। দুই দলেরই ১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট করে। তবে রাজস্থানের রানরেট কিছুটা বেশি। তাই পয়েন্ট টেবলের ছয়ে রয়েছে তারা। পঞ্জাব রয়েছে আটে।
বৃহস্পতিবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর আবার ৮ উইকেটে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে দেয়। যার ফলে রাজস্থান, পঞ্জাব এবং লিগ টেবলের সাতে থাকা কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্লে-অফে ওঠার আশা ক্ষীণ হয়ে গিয়েছে। মারাত্মক জটিল অঙ্কের ধাঁধায় ফেঁসে রয়েছে এই তিন দলের প্লে-অফের সমীকরণ। তবে অঙ্কের হিসেব যাই হোক না কেন, সবার আগে তিন দলকেই শেষ ম্যাচ জিততে হবে। শুক্রবার যেমন পঞ্জাব এবং রাজস্থানের মধ্যে যারা জিতবে, তাদের ক্ষীণ আশাটুকু বেঁচে থাকবে। আর যারা হারবে, তারা ছিটকে যাবে।
দুই দলই এই মরশুমে বেশ কিছু ম্যাচে কয়েকটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ পঞ্জাব কিংসের বাঁ-হাতি ফিঙ্গার স্পিনার হরপ্রীত ব্রার স্পিন-সহায়ক চিপকে একটিও বল করেননি। অথচ ধর্মশালার পিচে পেস, বাউন্স, সুইং সবই ছিল, সেই পিচে অর্শদীপ সিং, কাগিসো রাবাডার ওভার বাকি থাকা সত্ত্বেও শেষ ওভারে বাঁ হাতি স্পিনার হরপ্রীত ব্রারকে আক্রমণে আনেন পঞ্জাব কিংস অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান। তখন ক্রিজে ছিলেন দিল্লির সেট ব্যাটার বাঁ হাতি রিলি রসৌ। শুধু শেষ ওভার বললে ভুল হবে। ১৬, ১৮তম ওভারেও তাঁকে বোলিং করানো হয়। হরপ্রীতের শেষ তিন ওভারে এসেছে ৩৯ রান।
আরও পড়ুন: রোহিতরা যাবেন নাকি কোহলিরা, ঠিক হবে রবিবার, আশা ক্ষীণ KKR, RR, PBKS-এর
ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রেও দেখা যায়, প্রথম ওভারেই মেডেন। পরের ওভারের প্রথম বলেই আউট অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান। তার পরেও পঞ্জাব শিবিরের তিন বিধ্বংসী ব্যাটার জিতেশ শর্মা, স্যাম কারান এবং শাহরুখ খানকে অপেক্ষা করে যেতে হল। ২০০ প্লাস রান তাড়া করতে নেমে অথর্ব তাইদে সেট হয়েও গিয়ার শিফ্ট করতে পারেননি। তিনি রিটায়ার্ড আউট না হলে ম্যাচ এতটাও ক্লোজ হত কীনা সন্দেহ। কার্যত একার হাতে পঞ্জাবকে জয়ের সামনে পৌঁছে দিয়েছিলেন লিয়াম লিভিংস্টোন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি।
রাজস্থান রয়্যালসের আবার ধারাবাহিকতার চূড়ান্ত অভাব রয়েছে। জেসন হোল্ডারকে বেশির ভাগ ম্যাচে সুযোগই দেওয়া হয়নি। আর যে ম্যাচে সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তাঁর ব্যাটিং দক্ষতাকে কাজে লাগানো হয়নি। এই ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার বিধ্বংসী ব্যাটিংও করতে পারেন, সেটা যেন ভুলেই গিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস টিম ম্যানেজমেন্ট। তেমনই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অন্যতম সেরা অস্ত্র ওবেদ ম্যাকয়েকেও সেই অর্থে ব্যবহার করেনি রাজস্থান।
আরও পড়ুন: জিততেই হবে, জ্বলে উঠলেন ফ্যাফ-কোহলি, ঘরের বাইরে সবচেয়ে বড় রান তাড়া করার নজির গড়ল RCB
এ দিনের ম্যাচের আগে দুই দলেরই এখনও ফিটনেস নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। লেগস্পিনার অ্যাডাম জাম্পার জায়গায় রয়্যালস দলে ফিরতে পারেন ট্রেন্ট বোল্ট।
রান তাড়া করলে পঞ্জাব কিংস একজন সিমারের জায়গায় তাদের ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে প্রভসিমরান সিং-কে একাদশে রাখতে পারে। আর উল্টোটা হলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে পরে প্রভসিমরন সিং-কে পরে দলে নিয়ে আসতে পারে তারা।
ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের ক্ষেত্রে রাজস্থান রয়্যালস কোনও ধারাবাহিকতা মানেনি। তারা একেক দিন এক রকম স্ট্র্যাটেজি এ ক্ষেত্রে নিয়েছে।
ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার সহ পঞ্জাব কিংসের সম্ভাব্য দ্বাদশ: শিখর ধাওয়ান (অধিনায়ক), প্রভসিমরান সিং, অথর্ব তাইদে, লিয়াম লিভিংস্টোন, জিতেশ শর্মা (উইকেটরক্ষক), শাহরুখ খান, স্যাম কারান, হরপ্রীত ব্রার, রাহুল চাহার, কাগিসো রাবাদা/সিকান্দার রাজা, নাথান এলিস, আর্শদীপ সিং।
ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার সহ রাজস্থান রয়্যালসের সম্ভাব্য দ্বাদশ: যশস্বী জয়সওয়াল, জস বাটলার, সঞ্জু স্যামসন (অধিনায়ক, উইকে), দেবদত্ত পাডিক্কাল, জো রুট, শিমরন হেতমায়ের, ধ্রুব জুরেল, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, অ্যাডাম জাম্পা/ট্রেন্ট বোল্ট, যুজবেন্দ্র চাহাল, সন্দীপ শর্মা, কেএম আসিফ।