এক দিকে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি চলছে। অন্য দিকে চলছে মহিলা প্রিমিয়ার লিগ। তার মাঝেই ধীরে ধীরে উত্তেজনা বাড়ছে আইপিএলকে ঘিরেও। এ বারের আইপিএলে ঢাকে কাঠি পড়বে ৩১ মার্চ। তার আগেই দলগুলির সাজসাজ রব। বহু দল ফ্রি-প্লেয়ারদের নিয়ে ক্যাম্প শুরু করে দিয়েছে।
কলকাতা নাইট রাইডার্স অবশ্য ২১ মার্চ শহরে আসবে। তবে তারা প্রথম তিন দিন অনুশীলন করবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেক ক্যাম্পাসে। সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় সঙ্গে জানিয়েছেন, নাইটরা নাকি ১০ জন নেট বোলার চেয়েছে।
আরও পড়ুন: WTC ফাইনাল খেলবে ভারত-অস্ট্রেলিয়াই, শ্রীলঙ্কাকে খাটো করলেন মঞ্জরেকর
বৃহস্পতিবার সিএবি-তে স্নেহাশিস বললেন, ‘কেকেআর এখানে ক্যাম্প করবে ২১ মার্চ থেকে। প্রথম তিন দিন করবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেক ক্যাম্পাসে। ওরা ১০ জন নেট বোলার চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। সব রকম সাহায্য সিএবি করবে। সেরা ১০ জন নেট বোলার পাঠানোর চেষ্টা করব। তবে ক্লাব ক্রিকেট চলছে। সেটাও মাথায় রাখতে হবে আমাদের। অনূর্ধ্ব-১৯ বোলারকেও পাঠানো হবে। সেখান থেকে যদি কেউ সুযোগ পায়ে সেটা ভাল ব্যাপার হবে।’
আরও পড়ুন: প্রোটিয়া বোলারদের দাপটে ২৫১-তে খেল খতম WI-এর,দ্বিতীয় দিনের শেষে SA এগিয়ে ৭৩ রানে
রঞ্জি ফাইনালে হারের পর বাংলা দলের সঙ্গে এখনও কোনও রকম আলোচনায় বসেননি বলেও জানিয়েছেন সিএবি সভাপতি। তিনি বলেছেন, ‘ক্লাবের খেলা চলছে। মরশুম এখনও শেষ হয়নি। এর মাঝে কারও সঙ্গে কথা বলিনি। ওপেনিং নিয়ে একটা সমস্যা চলছে। গত তিন মরসুম ধরেই চলছে। বাংলা দলে ওপেনার প্রয়োজন। ক্লাবগুলোকেও বলেছি। তবে আমি ফিজিয়োর সঙ্গে কথা বলেছি। ক্রিকেটারদের সুস্থ রাখা প্রয়োজন। সেই নিয়ে কথা হয়েছে। কোচদের সঙ্গে এক বছরের চুক্তি আছে। দল ভালো খেলেছে। এখনই কোচদের চুক্তি নিয়ে ভাবছি না। যেটা যে ভাবে চলছে আমরা চলতে দিতে চাই। কোনও রকম কিছু ঘেঁটে দেওয়ার পরিকল্পনা নেই।’
এ দিকে স্নেহাশিস জানিয়ে দিয়েছেন, ক্লাব ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টির ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটারের নিয়ম আনা হবে। বিসিসিআই আয়োজিত প্রতিযোগিতাগুলিতে ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটারের নিয়ম চালু হয়েছে। আর সেটাই নাকি বাংলার ক্রিকেটেও চালু করতে চলেছে সিএবি। পাশাপাশি সিএবি প্রেসিডেন্ট এও জানিয়েছেন, ‘আমরা মেয়র্স কাপের ফাইনাল দু’দিনের করার পরিকল্পনা করছি। গোলাপি বলে সেই ম্যাচ খেলা হবে। ইডেনেই হবে সেই ম্যাচ।’