শুভব্রত মুখার্জি: একটা সময়ে নিয়মিত প্রথম একাদশে খেলেছেন মোহিত শর্মা। তারপর তাঁর কেরিয়ারের কিছুটা হলেও খারাপ সময় আসে। একটা সময়ে নেট বোলার হিসেবেও খেলেছেন তিনি। সেখান থেকেই ফের গুজরাট টাইটানসের হয়ে কার্যত কামব্যাক হয় তাঁর। প্রথম একাদশে ফিরে এসেই তিনি একের পর এক দুরন্ত পারফরম্যান্স করে চলেছেন। শুক্রবার রাতেও ফের অনবদ্য পারফরম্যান্স তুলে ধরলেন তিনি। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে কোয়ালিফায়ার-২'এ মোহিত শর্মার দুরন্ত বোলিংয়ে ভর করেই পাচবারের চ্যাম্পিয়নকে হারালো গুজরাট। আর এই ম্যাচেই অনবদ্য বোলিং করে আইপিএলের ইতিহাসে একাধিক নজির গড়ে ফেললেন মোহিত শর্মা।
আইপিএলের ইতিহাসে গুজরাটের হয়ে সেরা বোলিং পারফরম্যান্স করার নজির গড়লেন তিনি। টপকে গেলেন মহম্মদ শামিকে। আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে রোহিতদের বিরুদ্ধে মোহিত মাত্র ১০ রান দিয়ে নিলেন পাচটি উইকেট। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন মহম্মদ শামি। দিল্লির ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে চলতি আইপিএলে আমদাবাদে মাত্র ১১ রান দিয়ে চার উইকেট নেন তিনি। তৃতীয় স্থানেও রয়েছেন ভারতীয় সিনিয়র দলের তারকা মহম্মদ শামি। চলতি বছরেই আমদাবাদে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে মাত্র ২১ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। চতুর্থ স্থানে রয়েছেন আফগানিস্তানের তারকা স্পিনার রশিদ খান। ২০২২ সালে পুনেতে লখনউ সুপার জায়আন্টস দলের বিরুদ্ধে তিনি ২৪ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ৪ টি উইকেট।
শুধুমাত্র এই নজিরটি গড়েই থেমে থাকেননি তিনি। আইপিএলের প্লে অফে সেরা বোলিং স্পেল করা বোলারদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন তিনি। অল্পের জন্য স্পর্শ করা সম্ভব হয়নি আকাশ মাধওয়ালের নজিরকে। চলতি বছরেই এলিমিনেটরে আমদাবাদে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে মাত্র পাচ রান দিয়ে পাচ উইকেট নিয়ে প্লে অফে সেরা বোলিংয়ের নজির গড়েছিলেন আকাশ। সেই ম্যাচের ঠিক পরের ম্যাচেই এবার সেই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলেন মোহিত শর্মা। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে দশ রান দিয়ে নিলেন পাচটি উইকেট। তালিকায় এর পরেই রয়েছেন ডাগ বোলিনজার।
২০১০ সালে মুম্বইতে সিএসকের হয়ে ডেকান চার্জার্সের বিরুদ্ধে ১৩ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। ২০২০ সালে দুবাইতে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ১৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন জসপ্রীত বুমরাহ। ২০১৬ সালে আরসিবির বিরুদ্ধে ১৪ রানে চার উইকেট নিয়ে তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন গুজরাট লায়ন্সের ধাওয়াল কুলকার্নি। ২.২ ওভার বল করে ১০ রান দিয়ে পাচ উইকেট নেন তিনি। সূর্যকুমার যাদব, বিষ্ণু বিনোদ, ক্রিস জর্ডন, পীযূষ চাওলা এবং কুমার কার্তিকেয়কে প্যাভিলিয়নে ফেরান তিনি। ফলে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ৬২ রানের বড় জয়ে পরপর দ্বিতীয়বার আইপিএলের ফাইনালে চলে গেল গুজরাট।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।