শুভব্রত মুখার্জি: চলতি মরশুমের আইপিএলে শুরুটা ভালো হয়নি মু্ম্বই ইন্ডিয়ান্স দলের। তবে শুরুর সেটব্যাক কাটিয়ে তারা এখন কামব্যাকের রাস্তায়। প্লে অফের লড়াইতেও রয়েছে তারা। তাদের এই কামব্যাকে যেমন একটা বড় ফ্যাক্টর তাদের তারকা ব্যাটার সূর্যকুমার যাদবের ফর্মে ফেরা তেমন আরও একটা বড় ব্যাপার হল তাদের দলের নয়া তারকা বাঁহাতি ব্যাটার নেহাল ওয়াধিরার ফর্ম। মুম্বইয়ের শেষ ম্যাচেও আরসিবির বিরুদ্ধে দুরন্ত অপরাজিত অর্ধশতরানের ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। এমন আবহে ছাত্রের ক্রিকেট কেরিয়ারের প্রথম দিকের কাহিনি তুলে ধরেছেন তাঁর ছেলেবেলার কোচ চরনজিত ভাঙ্গু। তাঁর মতে, 'নেহাল যখন প্রথম এসেছিল তখন বেশ মোটাসোটা ছিল'।
প্রসঙ্গত আরসিবির বিরুদ্ধে ম্যাচে মাত্র ৩৪ বলে ৫২ রান করে অপরাজিত থেকেছেন নেহাল। সূর্যকুমার যাদব ৮৩ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে মু্ম্বইয়ের জয়ের ভিত গড়ে দেওয়ার পরবর্তীতে ক্রিজে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন নেহাল। ২০২০ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ভারতীয় দলে জায়গা পাননি নেহাল। তার অন্যতম কারণ ছিল তাঁর অতিরিক্ত ওজন। সেই সময়টা যে নেহাল এবং তাঁর পরিবারের কাছে বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল তাও স্পষ্ট করে জানিয়েছেন নেহালের বাবা কমল ওয়াধিরা।
পঞ্জাবের এই ব্যাটার চলতি আইপিএলের মরশুমের আগে একটিও টি-২০ ম্যাচ খেলেননি। অথচ তিনিই এখন তাঁর দলের ব্যাটিংয়ের অন্যতম ভরসা। ২২ বছর বয়সি নেহালকে গত বছর ট্রায়ালে সুযোগ দিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। যদিও তিনি সেবার স্কোয়াডে জায়গা করে নিতে পারেননি। তবে এই মরশুমে তাঁর ভাগ্য খুলে গেছে মু্ম্বই ইন্ডিয়ান্সের প্রথম একাদশে সুযোগ পাওয়ার পরেই। তাঁর পারফরম্যান্সের মধ্যে দিয়েই নিজের ভাগ্য খুলে ফেলেছেন নেহাল। এমন আবহে তাঁর ছেলেবেলার কোচ চরনজিত ভাঙ্গু জানিয়েছেন, 'যখন প্রথম নেহাল আমার কাছে এসেছিল তখনও বেশ ছোটখাট চেহারার ছিল। পাশাপাশি বেশ মোটাসোটাও ছিল ও। খুব তাড়াতাড়ি সবকিছু শিখতে পারত ও। আমি ওঁকে যা যা পরামর্শ দিতাম তা ও নিজের খেলাতে প্রয়োগ করত। যখন কোনও ক্রিকেটার সেটা করে সে যেমন তাড়াতাড়ি শিখতে পারে ঠিক তেমন লোকের নজরেও পড়ে যায়। অনুশীলন শেষের পরে ও আমার ঘরে চলে আসত। আমাকে ওঁর বিষয়ে খুঁটিনাটি জিজ্ঞাসা করত। জানতে চাইত ভুলভ্রান্তিগুলো। যাতে নিজের খেলার উন্নতি ও ঘটাতে পারে। নিজের ব্যাটকে সবসময় নিজের কাছে রাখত। সুযোগ পেলেই শ্যাডো অনুশীলন করত। কখনও নিজেকে সন্দেহ করেনি ও। সময়টা ওর কাছে খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল। তবে সবসময় ও ভাবত কীভাবে এই কঠিন সময় পার করা যায়। আর এটাই ওঁকে দারুণভাবে সাহায্য করেছে।'