আইপিএলের অন্যতম সফল দল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। পাঁচ বার তারা আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ২০১৯ এবং ২০২০ সালে পরপর দু'বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মুম্বই। তার আগে হয়েছিল আরও তিন বার। তার পর থেকে অবশ্য মুম্বইয়ে খরা চলছে। এই বার শিরোপার কাছাকাছি পৌঁছেও কোয়ালিফায়ার-টু থেকে ছিটকে যেতে হয়। গুজরাট টাইটান্সের কাছে বাজে ভাবে হেরে আইপিএলের লড়াই শেষ করে মুম্বই। এই বছর রোহিত শর্মা ব্রিগেডের সার্বিক পারফর্ম্যান্সে চোখ রাখা যাক। খুঁজে নেওয়া যাক ব্যর্থতার কারণ।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সেরা ব্যাটিং পারফরম্যান্স:
১. সূর্যকুমার যাদব- ১৬ ম্যাচে ৬০৫ রান, সর্বোচ্চ অপরাজিত ১০৩।
২. ইশান কিষাণ- ১৬ ম্যাচে ৪৫৪ রান, সর্বোচ্চ ৭৫।
৩. ক্যামেরন গ্রিন- ১৬ ম্যাচে ৪৫২ রান, সর্বোচ্চ অপরাজিত ১০০।
৪. তিলক বর্মা- ১১ ম্যাচে ৩৪৩ রান, সর্বোচ্চ অপরাজিত ৮৪।
৫. রোহিত শর্মা- ১৬ ম্যাচে ৩৩২ রান, সর্বোচ্চ ৬৫।
৬. নেহাল ওয়াধেরা- ১৪ ম্যাচে ২৪১ রান, সর্বোচ্চ ৬৪।
৭. টিম ডেভিড- ১৬ ম্যাচে ২৩১ রান, সর্বোচ্চ অপরাজিত ৪৫।
আরও পড়ুন: আইরিশদের বিরুদ্ধে ম্যাচে বোলিং, ব্যাটিং, কিপিং না করেও আজব নজির অধিনায়ক স্টোকসের
ব্যাটিংয়ে মুম্বইয়ের ফ্লপস্টার:
১. ত্রিস্টান স্টাবস- ২ ইনিংসে ২৫ রান।
২. বিষ্ণু বিনোদ- ৩ ইনিংসে ৩৭ রান।
মুম্বইয়ের সেরা বোলিং পারফরম্যান্স:
১. পিযূষ চাওলা- ১৬ ম্যাচে ২২ উইকেট।
২. আকাশ মাধওয়াল- ৮ ম্যাচে ১৪ উইকেট।
৩. জেসন বেহরেনডর্ফ- ১২ ম্যাচে ১৪ উইকেট।
৪. রিলি মেরিডিথ- ৫ ম্যাচে ৭ উইকেট।
২০২৩ আইপিএলে মুম্বইয়ের অবস্থান:
নিজেদের ১৪টি লিগ ম্যাচের মধ্যে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ৮টিতে জিতেছে। ৬টি ম্যাচে হেরেছে। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স চার নম্বরে শেষ করে প্লে-অফে জায়গা করে নেয়।
এর পর কোয়ালিফায়ার ওয়ানে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে তারা হারিয়ে পৌঁছয় কোয়ালিফায়ার-টু-তে। তবে কোয়ালিফায়ার-টু-তে গুজরাট টাইটান্সের কাছে তারা বাজে ভাবে হেরে যায়।
আরও পড়ুন: 2023 Asia Cup আয়োজনে SLC রাজি হওয়ায়, লঙ্কার বিরুদ্ধে ODI সিরিজ প্রত্যাখ্যান করল PCB
মুম্বইয়ের ইতিবাচক দিক:
১. আইপিএলের আগে সূর্যকুমার যাদব কিছুটা অফ-কালার ছিলেন। টুর্নামেন্টের শুরুর দিকেও সূর্যকে ছন্দে পাওয়া যায়নি। তবে ধীরে ধীরে তিনি ছন্দে ফেরেন। এবং পুরনো মেজাজে ফের পাওয়া যায় স্কাইকে।
২. এই মরশুমে পিযূষ চাওলার পারফরম্যান্স বাড়তি পাওনা মুম্বইয়ের। পিযূষের বোলিংয়ের সৌজন্যে নিঃসন্দেহে মুম্বই এ বার বহু ম্যাচেই সাফল্য পেয়েছে।
৩. নেহাল ওয়াধেরা কিন্তু এই মরশুমে নজর কেড়েছেন। ২২ বছরের তরুণ মুম্বইয়ের বড় অস্ত্র হয়ে উঠেছিলেন। পরবর্তীতেও ভরসা হবেন রোহিত ব্রিগেডের।
৪. মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এ বার বারবার হোঁচট খেলেও, ঘুরে দাঁড়ানোর মানসিকতা দেখিয়েছে। তারা টিম হিসেবে লড়াই করেছে। গত বারের লিগ টেবলের লাস্টবয়রা তাই এই মরশুমে কোয়াফায়ার-টু-তে পৌঁছে গিয়েছিল।
মুম্বইয়ের দুর্বলতা:
১. রোহিত শর্মার দুর্বল পারফরম্যান্স যেন বোঝা হয়ে গিয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। রোহিত একেবারে ভালো ছন্দে নেই। তিনি দলকে ব্যাটার হিসেবে ভরসা জোগাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
২. ধারাবাহিকতার অভাবই মূলত মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে কোয়ালিফায়ার টু থেকে ছিটকে দেয়। আসলে মুম্বই এ বার যেমন জ্বলে উঠেছে, তেমনই বৃষ্টি হয়ে ঝড়ে পড়ার প্রয়োজনে সব সময়ে সেটা হয়ে ওঠেনি। অতিরিক্ত তাপে নিজেরাই পুড়েছে মুম্বই।
৩. রোহিত এবং ইশান কিষাণ মুম্বইয়ের হয়ে ওপেন করলেও, বেশীর ভাগ ম্যাচেই ফ্লপ হয়েছে তাদের জুটি। যার প্রভাব পড়েছে খেলায়।
৪. জসপ্রীত বুমরাহ না থাকায় সকলে ভেবেছিলেন, জোফ্রা আর্চার বুঝি তাঁর অভাবটা পূরণ করবেন। কিন্তু জোফ্রাও নিজের চোট নিয়ে জেরবার হয়েছে। তিনিও ভালো পারফরম্যান্স করতে পারেননি। এমন কী তিনি পুরো আইপিএল-ই খেলতে পারেননি। ভালো পেসারের অভাবটা এ বার থেকেই গিয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স টিমে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।