শুভব্রত মুখার্জি: চলতি মরশুমে নিঃসন্দেহে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সবথেকে ধারাবাহিক পারফর্মারের নাম রিঙ্কু সিং। ঘরোয়া ক্রিকেটে উত্তরপ্রদেশের হয়ে খেলা বাঁহাতি এই ব্যাটার চলতি মরশুমে রয়েছেন স্বপ্নের ফর্মে। তাঁর এই ফর্মের ঝলক প্রথম দেখা গিয়েছিল গুজরাট টাইটানসের বিরুদ্ধে ম্যাচে। সেদিন নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ম্যাচের শেষ ওভারে যশ দয়ালকে পরপর পাঁচটি ছয় হাঁকিয়ে এক অবিশ্বাস্য জয় ছিনিয়ে এনেছিলেন কেকেআরের হয়ে। তবে এই ইনিংসের পরে তিনি থেমে যাননি। ঘরের মাঠে ইডেন হোক কিংবা অ্যাওয়ে ম্যাচে তিনি বেশ কিছু ভালো ইনিংস উপহার দেন। অনেক ম্যাচে অপরাজিতও থেকেছেন। তবে দলকে জয়ের দোড়গোড়াতে পৌঁছে দিয়েও জয় ছিনিয়ে নিতে পারছিলেন না। যদিও সেইসব এখন অতীত। ঘরের মাটিতে ইডেনের ২২ গজে কেকেআরের শেষ ম্যাচেও নায়ক তিনিই। আর এরপরেই রিঙ্কুকে নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে প্রাক্তন কিউয়ি তারকা সাইমন ডুল জানিয়েছেন। তাঁর মতে রিঙ্কু এক ম্যাচের 'চমক' যে ছিলেন না সেটা বারবার তিনি প্রমাণ করেছেন।
ইডেনে ঘরের মাঠে নিজেদের শেষ ম্যাচে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে জিততেই হত কেকেআরকে। না হলে শেষ হয়ে যেত কেকেআরের প্লে অফে যাওয়ার আশা। এমন আবহে দাঁড়িয়ে সেদিন জয়ের জন্য কেকেআরের সামনে ১৮০ রানের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছিল পঞ্জাব। ম্যাচের শেষ বলে এসে আর্শদীপ সিংকে বাউন্ডারি মেরে কেকেআরের হয়ে রুদ্ধশ্বাস জয় নিশ্চিত করেন রিঙ্কু সিং। ১০ বলে অপরাজিত ২১ রান করে দলকে এনে দেন মূল্যবান দুটি পয়েন্ট। এরপরেই রিঙ্কুর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সাইমন ডুল। তাঁর মতে রিঙ্কু একজন 'স্মার্ট' ফিনিশার। পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য রিঙ্কুকে কখনওই এক ম্যাচের 'চমক' বলা যাবে না। কারণ চলতি মরশুমেই রিঙ্কু একবার নন বেশ কয়েকবার দলকে ম্যাচ জিতিয়েছেন।
ইডেনে পঞ্জাব ম্যাচ শেষে ডুল, ক্রিকবাজকে বলেন 'ও (রিঙ্কু) এখন প্রায় দলের হয়ে ম্যাচ শেষ করে আসছে। তাই ওঁকে এখন আর কোনওমতেই এক ম্যাচের 'চমক' বলা যাবে না। চলতি আইপিএলে ও ৩০০+ রান করে ফেলেছে। এখন তো ও দলের হয়ে ঘনঘন ম্যাচ শেষ করে আসছে। আমার যতদূর মনে পড়ছে চলতি আইপিএলে রান তাড়া করার সময় দলের হয়ে এটা ওঁর চতুর্থবার অপরাজিত থাকা একটি ইনিংস। ফলে বলাই যায় ও বিষয়টা বেশ ভালোভাবেই অনুধাবন করতে পারছে। গত বছর ওঁকে দেখেছি মাঝেমধ্যে ইনিংস শেষ করে আসতে। সেই সময়েই একটা ভাবনা ছিল যে এই ছেলেটার মধ্যে ক্ষমতা রয়েছে ফিনিশার হওয়ার। ও একজন স্ট্রিট স্মার্ট ক্রিকেটার। জীবনে যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে ও গিয়েছে তা ওঁকে আরও কঠোর হতে সাহায্য করেছে।'