শুভব্রত মুখার্জি: রবিবাসরীয় রাতে জয়পুরের সোয়াই মানসিং স্টেডিয়ামের দর্শকরা সাক্ষী থেকেছেন এক রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের। যে ম্যাচে একেবারে শেষ বলে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দল। তাদের এই জয়ের অন্যতম নায়ক তাদের ব্যাটার আব্দুল সামাদ। জাভেদ মিয়াঁদাদের কায়দায় ম্যাচের শেষ বলে ছয় হাঁকিয়ে দলকে জয় এনে দেন আব্দুল সামাদ। ম্যাচের আগে সামাদ নাকি সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কোচকে বলেছিলেন যেহেতু দল তাঁকে এই মরশুমে রিটেন করেছে ফলে তাঁর কাছে বাড়তি তাগিদ রয়েছে নিজেকে প্রমাণ করার!
জয়পুরের ম্যাচে শেষ ওভারে হায়দরাবাদের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৭ রান। সেই রান তাড়া করে ম্যাচের একেবারে শেষ বলে হায়দরাবাদের হয়ে জয় নিশ্চিত করেন। সাম্প্রতিক সময়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ বরাবর নবীন প্রতিভাদের সাপোর্ট করেছে। এদের মধ্যে যেমন রয়েছে উমরান মালিক, তেমন রয়েছে সামাদও। আইপিএলের মেগা নিলামের আগে এই দুই ক্রিকেটারকে চার কোটি টাকা দিয়ে রিটেন করেছিল হায়দরাবাদ দল। সামাদ এবং উমরান দুজনেই তখন 'আনক্যাপড' ক্রিকেটার ছিলেন। অর্থাৎ সিনিয়র দলের হয়ে তখনও খেলা হয়নি তাদের। সেই সামাদই এই রবিবার সন্দীপ শর্মাকে শেষ বলে ছয় হাঁকিয়ে একেবারে হিরো হয়ে গিয়েছেন।
ম্যাচের আগে সামাদের সঙ্গে হওয়া কথোপকথন এবার জনসমক্ষে এনেছেন দলের ব্যাটিং কোচ হেমাঙ্গ বাদানি। তিনি জানিয়েছেন, 'সামাদকে পূর্ণ নম্বর দিতেই হবে। আমাদের শেষ ম্যাচের (কেকেআর) পর ও প্রথমে আমার কাছে আসে। আমাকে ও বলেছিল ম্যাচটা আমার শেষ করে আসা উচিত ছিল। এই দায়িত্বটা ও নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিল। শেষটা ওই কেকেআর ম্যাচে ও ভালোভাবে খেলতে না পারার কারণে বেশ অখুশি ছিল। ওর ভাবনা চিন্তা ছিল দল আমাকে রিটেন করেছে। দলকে আমার দেখাতেই হবে যে আমি এর যোগ্য। তাদের সময় এবং আমার পিছনে যে অর্থব্যয় করেছে আমি তাঁর যোগ্য। আমরা কঠোর অনুশীলন করেছি। আজকের ম্যাচে (রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচে) তার সুফল পেয়েছি আমরা।'