১ এপ্রিল নিজেদের প্রথম ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে কেএল রাহুলের লখনউ সুপার জায়ান্টস একটি দুর্দান্ত জয় পেয়েছে। দিল্লির বিরুদ্ধে ম্যাচে লখনউ বেশ ভালো পারফরম্যান্স করেছে। বিশেষ করে ফাস্ট বোলার মার্ক উডের ধারালো বোলিংয়ে একেবারে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছে দিল্লির ব্যাটিং লাইনআপ। তিনি দিল্লির পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন। ২০২৩ আইপিএলে প্রথম বোলার হিসেবে ৫ উইকেটে হলে প্রবেশ করেন মার্ক উড। মূলত মার্ক উডের বোলিংয়ের হাত ধরেই বড় জয় ছিনিয়ে নেয় লখনউ। এর পরেও ডেভিড ওয়ার্নারদের বিরুদ্ধে জয়ের কৃতিত্ব মার্ক উডকে দেননি এলএসজি অধিনায়ক কেএল রাহুল। বরং কাইল মেয়ার্সের প্রশংসায় তিনি পঞ্চমুখ হন।
আরও পড়ুন: KKR বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করল PBKS, তবু ১ উইকেট নিয়েই বড় নজির উমেশের
মেয়ার্স ওপেন করতে নেমে ৩৮ বলে ৭৩ রানের দুরন্ত একটি ইনিংস খেলেন। ম্যাচের শেষে কেএল রাহুল বলেন, যে কাইল মেয়ার্সের ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন।মেয়ার্সের প্রশংসা করে রাহুল বলেন, ‘এটি একটি দুর্দান্ত শুরু। আমরা পিচ সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। তবে এ ভাবে শুরু করার একটি ভালো উপায়। এই জয় আমাদের আরও আত্মবিশ্বাস জোগাবে। টস আমাদের হাতে নেই। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, আমরা আমাদের প্রিয় একাদশের সঙ্গে খেলতে পারব। বোলিং ও ব্যাটিংয়ে অনেক গভীরতা ছিল। আমি ভেবেছিলাম আমরা ৩০ রান অতিরিক্ত করেছি। কাইল (মেয়ার্স) যে ভাবে ব্যাটিং করেছে তা প্রশংসনীয়।’
আরও পড়ুন: ধোনির চোট নিয়ে উদ্বিগ্ন সবাই, কতটা গুরুতর, রহস্য ফাঁস CSK কোচের
দলের কৌশল প্রকাশ করে, কেএল বলেছেন যে দলের ব্যাটসম্যানদের লক্ষ্য ছিল স্পিনারদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক পন্থা অবলম্বন করা। যাতে বিপক্ষ চাপে পড়ে। রাহুল বলেছেন, ‘আমরা স্পিনারদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক পন্থা নিয়েছিলাম এবং তাদের চাপে রেখেছিলাম। আমি ভেবেছিলাম, ওরা (দিল্লি) ভালো শুরু করেছে, কিন্তু আমরা ভালো ভাবে খেলায় ফিরে আসি। আজ উডের দিন ছিল। যে ভাবে বোলিং করেছে ও, সেটা একজন ফাস্ট বোলার এবং দলের জন্য স্বপ্ন। সামগ্রিক ভাবে বোলিং লাইন আপ ভালো করেছে এবং ব্যাটসম্যানদের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে। এই পারফরম্যান্স আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। এটি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট, আপনাকে প্রতিদিন নতুন করে লড়াই করতে হবে। তাই আমরা এই জয় নিয়ে বেশি ভাবতে চাই না।’
শনিবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে এলএসজি ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রান করে। কাইল মেয়ার্স (৭৩) এবং নিকোলাস পুরান (৩৬) দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন। জবাবে দিল্লি ক্যাপিটালস নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান করতে পারে। যার নিট ফল, কেএল রাহুলের দল ৫০ রানে ম্যাচ পকেটে পুড়ে ফেলে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।