২০২৩ সালের আইপিএল-এর জন্য ২০২২ সালের চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটানসের পকেটে থাকবে ১৯.২৫ কোটি টাকা। এবারের নিলামে হার্দিক পাণ্ডিয়ার দল সর্বোচ্চ সাতজন ক্রিকেটারকে দলে নিতে পারবে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ তিনজন বিদেশিকে দলে নিতে পারবে গুজরাট। এর আগে ২০২২ সালের মরশুমে জয়ী হলেও দলে বেশ কিছু ক্ষেত্রে দুর্বলতা রয়েছে। পুরো মরশুম দলটি একজন কম ব্যাটার নিয়ে খেলেছে। ছয় এবং সাত নম্বরে ধারাবাহিক ভাবে যথাক্রমে রাহুল তেওয়াটিয়া এবং রশিদ খানকে খেলিয়েছেন আশিস নেহরারা। টপ অর্ডারে ধস নামলে হার্দিক পাণ্ডিয়া নিজের স্বাভাবিক আগ্রাসী ব্যাটিং বাদ দিয়ে অ্যাঙ্করের ভূমিকায় খেলতেন। এর থেকেই স্পষ্ট যে গুজরাটের ব্যাটিং বিভাগে গভীরতার অভাব রয়েছে। এমনকী গতবছর গুজরাটের তরফে প্রাথমিক ভাবে ম্যাথু ওয়েডকে ওপেনিংয়ে নামানো হয়েছিল। তবে তিনি ফর্মে না থাকায় ঋদ্ধিমান সাহাকে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।
নিলামের আগে রহমনউল্লাহ গুরবাজ এবং লকি ফারগুসনকে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সঙ্গে ট্রেড করে গুজরাট টাইটানস। এদিকে জেসন রয়, ডমিনিক ড্রেকস, গুরকীরাত সিং এবং বরুণ অ্যারনকে ছেড়ে দেয় দল। এদিকে ঋদ্ধিমান সাহাকে দলে রেখে গুজরাট ম্যানেজমেন্ট ইঙ্গিত দিয়েছে যে সম্ববত শুভমন গিল এবং ঋদ্ধমান সাহার জুটির সঙ্গেই ওপেনিংয়ে নামতে পারে তারা। তবে তা নির্ভর করবে নিলামে তারা অন্য কোনও ওপেনারের জন্য ঝাঁপায় কি না তার ওপর। এদিকে গত মরশুম অতটা ভালো না গেলেও বিজয় শঙ্করকে তারা আরও একটি সুযোগ দিয়েছে এবছর।
গুজরাট টাইটানের শক্তি - লকি ফারগুসনকে ছেড়ে দিলেও গুজরাটের পেস আক্রমণে ধার একটুও কমেনি। দলে আছেন মহম্মদ শামি, প্রদীপ সাঙ্গওয়ান, আলজারি জোসেফ, হার্দিক পাণ্ডিয়া, যশ দয়াল। এদিকে স্পিন বিভাগে একাই রাজা রশিদ খান। তাঁকে সঙ্গত দিতে দলে রয়েছেন আর সাই কিশোর, জয়ন্ত যাদব এবং রাহুল তেওয়াটিয়া। যদিও ২০২২ সালের আইপিএলে সাকুল্যে মাত্র ৬ ওভার বল করেন রাহুল তেওয়াটিয়া। এদিকে গত মরশুমে ওপেনিং জুটিতে বেশ ধারাবাহিক ছিলেন শুভমন গিল এবং ঋদ্ধিমান সাহা। অপরদিকে মিডল অর্ডারে হার্দিক পাণ্ডিয়া এবং ডেভিড মিলারও ধারাবাহিক ছিলেন। এদিকে দলে অভিনব মনোহর রয়েছেন। এদিকে বিজয় শঙ্কর যদি ফর্মে ফেরেন তাহলে দলের বিকল্প বাড়বে।
গুজরাট টাইটানের দুর্বলতা - ২০২২ সালের মরশুমে অতিরিক্ত বোলার খেলানোর তাড়নায় একজন কম ব্যাটার খেলিয়ে গিয়েছে গুজরাট। রাহুল তেওয়াটিয়া এবং রশিদ খানকে অলরাউন্ডার হিসেবে ব্যবহার করেছেন হার্দিক। তবে তেওয়াটিয়াকে সেবাবে বোলার হিসেবে ব্যবহারও করেননি হার্দিক। এদিকে রশিদের কোনও বিকল্প বোলার নেই গুজরাটে। পেস বিভাগেও মহম্মদ শামির সমকক্ষ কোনও ভারতীয় বোলার নেই। ব্যাটিং বিভাগে হার্দিক বাদে ভারতীয় কোনও ব্যাটার নেই মিডল অর্ডারে। ডেভিড মিলারের ফর্ম খারাপ চললে তাঁর বিকল্প খুঁজতে হিমশিম খেতে হতে পারে আশিস নেহরাদেরকে।
গুজরাট কাদের কিনতে পারে - ক্যামেরন গ্রিন, ফিল সল্ট, রাইলি রুসোদের মতো ক্রিকেটারদের জন্য ঝাঁপাতে পারে দল। এদিকে মহম্মদ নবি বা শাকিব আল হাসানের জন্য দল ঝাঁপাতে পারে। রশিদ খানকে যোগ্য সঙ্গত দিতে পারেন এই দু'জনের কোনও একজন। এদিকে লকি ফারগুসনের বদলি হিসেবে জর্জ কার্টন বা অ্যাডাম মিলনকে নিতে পারে গুজরাট। এদিকে টাইমাল মিলসের দিকেও দল নজর দিতে পারেন আশিস। তবে টাইমাল মিলস বড্ড বেশি চোট প্রবণ। তাছাড়া আইপিএল-এ ওভার পিছু ১০ রান করে খরচ করার রেকর্ড রয়েছে তাঁর। এদিকে ১৮ বছর বয়সি মারকুটে ব্যাটার-উইকেটরক্ষক দীনেশ বানাকে দলে নেওয়ার জন্য ঝাঁপাতে পারে গুজরাট।
গুজরাট টাইটানের দল - হার্দিক পান্ডিয়া (অধিনায়ক), মহম্মদ শামি, ঋদ্ধিমান সাহা, রশিদ খান, ডেভিড মিলার, শুভমান গিল, রাহুল তেওয়াটিয়া, অভিনব মনোহর, আলজারি জোসেফ, বি সাই সুধারসন, দর্শন নালকান্দে, জয়ন্ত যাদব, ম্যাথু ওয়েড, নূর আহমেদ, প্রদীপ সাঙ্গোয়ান, আর সাই কিশোর, বিজয় শঙ্কর, যশ দয়াল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।