এ বার আইপিএলে অবশেষে জয়ে ফিরল চেন্নাই সুপার কিংস। মঙ্গলবার ২৩ রানে তারা হারাল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে। সেই সঙ্গে আইপিএলের পয়েন্ট টেবলেও পুরো রদলবদল হয়ে গেল।
এ দিনের ম্যাচ হেরে লিগ টেবলের পাঁচে নেমে গেল আরসিবি। তারা বরং ম্যাচ হেরে সুবিধে করে দিল লখনউ সুপার জায়ান্টস এবং গুজরাট টাইটানসের। তিনে উঠে এল লখনউ। আর এক ধাপ উপরে উঠে চারে জায়গা করে নিল গুজরাট।
এ দিকে এই বছর আইপিএলের প্রথম ম্যাচ জিতে চেন্নাই সুপার কিংস লাস্টবয়ের তকমা মুছে নয়ে উঠে এল। দশে নেমে গেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। শীর্ষস্থানেই রয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। আর দুইয়ে থাকল কলকাতা নাইট রাইডার্স। বাকিদের অবস্থানও একই রয়েছে।
এক নজরে দেখে নিন পয়েন্ট টেবলের অবস্থা:
টসে জিতে চেন্নাইকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন আরসিবি অধিনায়ক ফ্যাফ ডু'প্লেসি। রবিন উত্থাপ্পা-শিবম দুবে তাণ্ডবে একেবারে ঝড়ের গতিতে রান তুলতে থাকে চেন্নাই। মাত্র ৭৩ বলে ১৬৫ রানের পার্টনারশিপ গড়ে এই জুটি। যা তৃতীয় উইকেটে বা তার নীচে সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ। ৫০ বলে ৮৮ রান করে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে বিরাট কোহলির হাতে যখন ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরছেন উত্থাপ্পা, তখন চেন্নাইয়ের স্কোর ২০০ পার করে গিয়েছে। উত্থাপ্পার ৮৮ রানের ইনিংসে ছিল ৪টি চার এবং ৯টি ছয়। ৪৬ বলে ৯৫ করে অপরাজিত থাকেন শিবম দুবে। তাঁর ইনিংসটি ৫টি চার এবং ৮টি ছয় দিয়ে সাজানো। এই দুই ব্যাটারের তাণ্ডবেই চেন্নাই ৪ উইকেটে ২১৬ রানের বড় ইনিংস গড়ে। যা এ বার আইপিএলে কোনও দলের করা সর্বোচ্চ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমেই বড় ধাক্কা খায় ব্যাঙ্গালোর। ৫০ রানের মধ্যেই দলের চার মহারথী সাজঘরে ফিরে যান। মাত্র ৮ রান করে আউট হন ফ্যাফ। তিনে বিরাট কোহলি ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩ বল খেলে ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এর পর অনুজ রাওয়াত ১২ রান করে আউট হন। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ঝড় তোলার চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। ১১ বলে ২৬ করে রবীন্দ্র জাদেজার বলে বোল্ড হন তিনি।
৪ উইকেট হারিয়েও অবশ্য হাল ছাড়েনি ব্যাঙ্গালোর। শাহবাজ আহমেদ এবং সুয়াশ প্রভুদেশাই দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন। অভিষেক ম্যাচে দুরন্ত ফিল্ডিং করে আগেই নজর কেড়েছিলেন সুয়াশ। এর পর দলের খারাপ সময়ে ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ১৮ বলে ৩৪ করেন তিনি। তবে মহেশ থিকসানা তাঁকে বোল্ড করেন। এর পর দীনেশ কার্তিক নামলে শাহবাজ তাঁর সঙ্গে জুটি বাঁধেন। কিন্তু ২৭ বলে ৪১ করে থিকসানার বলে বোল্ড হন শাহবাজ। এর পর চেন্নাইয়ের জয় যেন সময়ের অপেক্ষা ছিল। তবে দীনেশ কার্তিক কিন্তু চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পাশে কাউকে পাননি। ১৪ বলে ৩৪ করে ডোয়েন ব্র্যাভোর বলে জাদেজার হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন কার্তিক। সেই সঙ্গে আরসিবি-র ক্ষীণ আশাটুকুও শেষ হয়ে যায়। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রানে শেষ হয়ে যায় ব্যাঙ্গালোরের ইনিংস। লড়াই করেও ২৩ রানে হারতে হল আরসিবি-কে।