ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের সেরা টুর্নামেন্ট হিসাবে আইপিএলকে গণ্য করা হয়। বিশ্বের সকল দেশেরই সেরা ক্রিকেটাররা এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে। তবে এই মেগা টুর্নামেন্টের বাড় বাড়ন্তে টেস্ট ক্রিকেটের অস্তিত্ব সংকটে পড়বে বলে অতীতেও বহু বিশেষজ্ঞ দাবি করেছেন। আইপিএলে দলের সংখ্যা বাড়ায় ফের একবার সেই আশঙ্কাই প্রকাশ করলেন মাইকেল আথারটন।
২০২২ সাল থেকে আট দলের বদলে ১০ দল অংশ নেবে আইপিএলে। সেই অনুয়ায়ী লখনউ এবং আমেদাবাদের দুই দলের মালিকানাও নির্ধারিত হয়ে গিয়েছে। বাড়তি দলের দরুণ বাড়বে টুর্নামেন্টের ম্যাচ সংখ্যা এবং সময়সীমা। ফলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বিশেষত টেস্ট ক্রিকেট যা জনপ্রিয়তার বিচারে এমনিই ধুঁকছে, তা আরও ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে বলেই মনে করছেন প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক।
The Times-র হয়ে আথারটন নিজের কলামে লেখেন, ‘এর (আইপিএলের) ফলে প্রতিকূল প্রভাব পড়বে ক্রিকেটে। ক্রিকেট ক্যালেন্ডার কোনোভাবেই আন্তর্জাতিক এবং বর্তমান যুগের ফ্রাঞ্চাইজ ক্রিকেটকে এক সঙ্গে ম্যানেজ করতে পারবে না। এমনিতেই আইপিএলের জন্য দুই মাসের উইন্ডো দেওয়া হয়, আর এখন তো ভারত আরও বড় উইন্ডোর দাবি করবে। ক্রিকেটাররাও অর্থের দিকেই ঝুঁকবে।’
টেস্ট ক্রিকেটকে বাঁচাতে এই গোটা বিষয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণের দাবিও জানান আথারটন। ‘যদি এই বাজারে কোন নিয়ন্ত্রণ না আনা হয়, তাহলে ক্রিকেটের যে সব অংশ থেকে কম মুনাফা হয়- বিশেষত সেইসব দেশ যেখানে টিভিতে টেস্ট ক্রিকেট দেখা দর্শকদের সংখ্যা কম, তারা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ক্রিকেটার এবং তাদের প্রধান নিয়োগকর্তাদের মধ্যেকার সম্পর্কেরও ক্ষতি হবে। নিউজিল্যান্ডের মতো ক্রিকেট বোর্ড তো ক্রিকেটারদের ওপরই তারা কোথায় কী খেলবে না খেলবে না তা বাছাইয়ের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছে।’ লেখেন তিনি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।