বাংলা নিউজ > ময়দান > আইপিএল-2023 > 'ওটা অধিনায়ক বিরাটের IPL জয়ের সুযোগ ছিল, ১ জঘন্য ওভারই আমায় চুরমার করে দিয়েছিল', বললেন প্রাক্তন অজি তারকা

'ওটা অধিনায়ক বিরাটের IPL জয়ের সুযোগ ছিল, ১ জঘন্য ওভারই আমায় চুরমার করে দিয়েছিল', বললেন প্রাক্তন অজি তারকা

২০১৬ সালে আইপিএলের স্বপ্নভঙ্গের পর বিরাট কোহলি। (ফাইল ছবি)

২০১৬ সালের আইপিএল ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ২০৮ রান তুলেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ইনিংসের শেষ ওভারে ২৪ রান দিয়েছিলেন শেন ওয়াটসন। সবমিলিয়ে চার উইকেটে ৬১ রান খরচ করেছিলেন। কোনও উইকেট পাননি। যে বছর বিরাট কোহলি স্বপ্নের ফর্ম ছিলেন।

অধিনায়ক হিসেবে আইপিএল জেতার সুবর্ণ সুযোগ ছিল বিরাট কোহলির কাছে। কিন্তু তাঁর একটা খারাপ ওভারের কারণে ২০১৬ সালে আইপিএল ট্রফি জয়ের স্বপ্নপূরণ হয়নি কোহলির। সেজন্য নিজে হতাশায় ভেঙে পড়েছিলেন। এমনটাই জানালেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন তারকা তথা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের প্রাক্তন অলরাউন্ডার শেন ওয়াটসন।

দিল্লি ক্যাপিটালসের পডকাস্টে ওয়াটসন বলেন, '২০১৬ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে আমি যে আইপিএল খেলেছিলাম, সেটার জন্য আমি সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। কারণ আমি জানতাম, ওই ফাইনালটা জেতা আরসিবির জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ঘরের মাঠ চিন্নস্বামীতে (স্টেডিয়ামে) খেলা হচ্ছিল। সেই বছর ভালো খেলেছিল আরসিবি। বিশেষত টুর্নামেন্টের শেষের দিকে দুর্দান্ত খেলেছিল। বিরাট তো আগুনে ফর্মে ছিল। অধরা আইপিএল ট্রফি জেতার সুযোগ ছিল অন্যতম সেরা খেলোয়াড়ের কাছে, তাও সেটা অধিনায়ক হিসেবে। কিন্তু ওই এক ওভার বোলিংই আমার ভেঙে চুরমার করে দিয়েছিল। মনে হয়েছিল যে দুনিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে।'

আরও পড়ুন: IPL 2022 Playoffs Scenario: LSG-র বিরুদ্ধে বড় জয়, সেই সঙ্গে দিল্লি ও RCB-র হার, KKR-এর প্লে-অফে যাওয়ার এটাই সমীকরণ

২০১৬ সালের আইপিএলে স্বপ্নের ফর্মে ছিলেন বিরাট। ১৬ ম্যাচে ৯৭৩ রান করেছিলেন। গড় ছিল ৮১.০৮। স্ট্রাইক রেট ছিল ১৫২.০৩। মূলত তাঁর সৌজন্যেই সেই বছর আইপিএল ট্রফি জয়ের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল ব্যাঙ্গালোর। সেই ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ২০৮ রান তুলেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ইনিংসের শেষ ওভারে ২৪ রান দিয়েছিলেন ওয়াটসন। সবমিলিয়ে চার উইকেটে ৬১ রান খরচ করেছিলেন। কোনও উইকেট পাননি।

সেই রান তাড়া করতে নেমে ক্রিস গেইল (৩৮ বলে ৭৬ রান) এবং বিরাট কোহলির (৩৫ বলে ৫৪ রান) সৌজন্যে সুবাদে বিনা উইকেটে ১০.২ ওভারেই ১১৪ রান তুলে ফেলেছিল। পরের বলে আউট হয়ে গিয়েছিলেন গেইল। তারপর মেরে খেলছিলেন বিরাট। কিন্তু ১২.৫ ওভারে কোহলি আউট হওয়ার পর ব্যাঙ্গালোরের ইনিংস ধরে গিয়েছিল। শেষপর্যন্ত আট রানে হেরে গিয়েছিল ব্যাঙ্গালোর। 

বন্ধ করুন