রিঙ্কু সিং যতক্ষণ ক্রিজে রয়েছেন, ম্যাচ হালকাভাবে নেওয়া যাবে না। ইডেনে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতে এমনটাই উপলব্ধি লখনউ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়ক ক্রুণাল পান্ডিয়ার।
বাস্তবিকই তাই। আমদাবাদে গুজরাট টাইটানসের বিরুদ্ধে ম্যাচের শেষ ৫টি বলে ৫টি ছক্কা হাঁকিয়ে কলকাতাকে ম্যাচ জেতানোর পর থেকে প্রতিপক্ষ দলের আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছেন রিঙ্কু সিং। সেই একবারই নয়, বরং কঠিন পরিস্থিতিতে একাধিক ম্যাচে কেকেআরকে ব্যাট হাতে নির্ভরতা দিয়েছেন রিঙ্কু।
শনিবার ইডেনে জয়ের জন্য শেষ ২ ওভারে ৪১ রান দরকার ছিল কলকাতার। সেই পরিস্থিতি থেকে রিঙ্কু একাই লখনউকে হারিয়ে দিয়েছিলেন প্রায়। কোনও রকমে ১ রানে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে সুপার জায়ান্টস এবং সেই সঙ্গে প্লে-অফের টিকিট নিশ্চিত করে।
ম্যাচের শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ক্রুণাল পান্ডিয়া বলেন, ‘রিঙ্কু এবছর স্পেশাল পারফর্ম্যান্স উপহার দিয়েছে। সব ম্যাচে ও ভালো খেলেছে। রিঙ্কু যতক্ষণ ক্রিজে রয়েছে, ম্যাচ হালকাভাবে নেওয়া যাবে না। আজ ও আরও একবার সেটা বুঝিয়ে দিয়েছে।’
টানটান পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ জেতা প্রসঙ্গে ক্রুণাল পান্ডিয়া বলেন, ‘আমরা একবারের জন্যও হাল ছাড়িনি। রীতিমতো চাপে পড়ে গিয়েছিলাম। তবে ছেলেদের কৃতিত্ব দিতেই হয়। একটা পর্যায়ে ওরা ১ উইকেটে ৬১ রান তুলে ফেলে। তবে এই লেভেলের ক্রিকেটে এমন পরিস্থিতি থেকে বহু ম্যাচ ঘুরে যেতে দেখেছি। ২-৩টে টাইট ওভারই ম্যাচে ফেরাতে পারে। তাছাড়া পিচে স্পিনারদের বল থমকাচ্ছিল।’
ক্রুণাল আরও বলেন, ‘ডেথ ওভারে আমি বোলারদের সঙ্গে প্রতি বলের পরেই কথা বলছিলাম। আমি শুধু ওদেরকে এটাই বলি যে, পরিকল্পনা মতো বল করেতে। ব্যাটসম্যান যদি ভালো শট খেলে, তাতে কিছু করার নেই। তবে আমরা যেন লুজ বল না করি।’
আরও পড়ুন:- KKR vs LSG: রিঙ্কুর তাণ্ডব সত্ত্বেও ১ রানে হার কলকাতার, প্লে-অফের টিকিট নিশ্চিত লখনউয়ের
উল্লেখ্য, ইডেনে লখনউ সুপার জায়ান্টস শুরুতে ব্যাট করে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৬ রান সংগ্রহ করে। ৩০ বলে ৫৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন নিকোলাস পুরান। কুইন্টন ডি'কক ২৮, প্রেরক মানকড় ২৬ ও আয়ুষ বাদোনি ২৫ রান করেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে কলকাতা নাইট রাইডার্স ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৫ রান তোলে। রিঙ্কু সিং ৩৩ বলে ৬৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। জেসন রয় ৪৫, বেঙ্কটেশ আইয়ার ২৪ ও রহমানউল্লাহ গুরবাজ ১০ রানের যোগদান রাখেন।