কলকাতা নাইট রাইডার্সের মতো আইপিএল দল, যার মালিক কিনা শাহরুখ খান, তার ক্যাপ্টেন হওয়া নিঃসন্দেহে গৌরবের। ক্যাপ্টেন হওয়ার আত্মগরিমাই অনেক সময় দলের বাকি ক্রিকেটারদের সঙ্গে প্রচ্ছন্ন দূরত্ব তৈরি করে দেয় দলনায়ককে। নীতীশ রানা যে অন্য ধাতুতে গড়া, সেটা বোঝা যায় তাঁর আচরণ ও কথাবার্তাতেই। সতীর্থের সাফল্যে যেভাবে উচ্ছ্বাসে ভাসেন রানা, সেটাই তাঁকে ক্যাপ্টেন হিসেবে আরও গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে দলের কাছে।
ইডেনে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে কেকেআর শেষ বলের থ্রিলারে জিতে ওঠার পরে তাই রানার গলায় অকৃত্রিম আবেগ ঝরে পড়ল রিঙ্কু ও রাসেলকে নিয়ে। রানা স্পষ্ট জানান যে, দীর্ঘদিন তিনি কেকেআর শিবিরের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তাই ইডেনের গ্যালারির রাসেল-রাসেল চিৎকার শুনে আপ্লুত হওয়া অভ্যাসে পরিণত হয়েছে তাঁর। এবার যখন সমর্থকরা রাসেলের পাশাপাশি রিঙ্কু-রিঙ্কু বলে চিৎকার করে, অনাবিল আনন্দ অনুভব করেন।
রানা বলেন, ‘আমি ওকে (রিঙ্কুকে) বলি, নিজের উপর বিশ্বাস রাখ। তুই যে কাজ করে দেখিয়েছিস (৫টি ছক্কায় ম্যাচ জেতানো), বহু বহু ক্রিকেটার কখনও করে দেখাতে পারবে না। তুই যখন ওই কাজটা করতে পেরেছিস, তাহলে তোর পক্ষে সব সম্ভব।’
আরও পড়ুন:- KKR vs PBKS: ফের সুপারহিট RRR, শেষ বলে চার মেরে কলকাতাকে ম্যাচ জেতালেন রিঙ্কু
নাইট দলনায়ক সঙ্গে যোগ করেন, ‘ও যখন ব্যাট করছিল, দর্শকরা রিঙ্কু-রিঙ্কু বলে চিৎকার করছিল। আমার মতে এবছর ও এটা অর্জন করে নিয়েছে। গ্যালারির ওই চিৎকার শুনে আমার গায়ে কাঁটা দেয়। ৬ বছর হয়ে গেল কেকেআরের হয়ে খেলছি। আগে যখন ইডেনের গ্যালারিকে রাসেল-রাসেল বলে চিৎকার করতে শুনতাম, ভালো লাগত। কেননা আমরা জানতাম রাসেল অনেক কিছু করেছে। এখন রাসেলের পাশাপাশি দর্শকরা যখন রিঙ্কু-রিঙ্কু বলে গলা ফাটায়, আমার ভীষণ ভালো লাগে।'
রাসেলকে নিয়ে রানা বলেন, ‘১০টা ম্যাচ হয়ে গিয়েছিল, আমরা অপেক্ষা করছিলাম রাসেলের ব্যাটে বড় ইনিংস কখন আসবে। কেননা আমরা জানি যে রাসেলের মতো ব্যাটসম্যানের থেকে বড় রান কেবল একটা ইনিংস দূরে। গত ৮-৯ ম্যাচ ধরে আমি ওকে এই কথাটাই বলছি। আজ ও সেটা করে দেখায় এবং আমাদের ২ পয়েন্ট এনে দেয়।'
উল্লেখ্য, সোমবার ইডেনে পঞ্জাব কিংসের ৭ উইকেটে ১৭৯ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে কলকাতা শেষ ওভারে চাপে পড়ে যায়। রিঙ্কু সিং শেষ বলে চার মেরে ম্যাচ জেতান কলকাতাকে। নাইট রাইডার্স ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৮২ রান তুলে ম্যাচ জেতে।