শুভব্রত মুখার্জি: ঘূর্ণিঝড় 'মোখা' যে পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানছে না, তা আবহাওয়াবিদরা আগেই জানিয়েছিলেন। তবে মোখা পশ্চিমবঙ্গকে এড়িয়ে গেলেও বৃহস্পতিবার রাজস্থান রয়্যালস ঝড়ের সাক্ষী থাকল দর্শকেরা। আর সেই ঝড়ে একেবারে বেসামাল হয়ে গেল কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্লে অফের নাইটদের যেটুকু আশা বেঁচে ছিল, তা কার্যত ধুলোয় মিশিয়ে দিলেন যশস্বী জয়সওয়াল।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ওয়াংখেড়েতে অনবদ্য শতরানের পরে এ দিন ফের একবার ব্যাট হাতে যশস্বীর তান্ডবের সাক্ষী থাকল ইডেন গার্ডেন্স। ম্যাচ শেষে রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনের গলাতেও ধরা পড়ল যশস্বীর ইনিংসের প্রতি মুগ্ধতা। তিনি অকপটে জানালেন, এ দিন তাঁকে ২২ গজে ব্যাট হাতে কার্যত কিছু করতেই হয়নি। ব্যাটে - বলে লাগিয়ে শুধু রান নিয়েছেন, আর অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে মুগ্ধতার সঙ্গে যশস্বীর ব্যাটিং দেখেছেন।
আমার পড়ুন: এক বালতি দুধে এক ফোঁটা চোনা- জরিমানার কবলে পড়তে হল জস বাটলারকে
ম্যাচের পর সঞ্জু স্যামসন বলেছেন, ‘আমাকে আজকে ব্যাট হাতে তো কিছুই করতে হয়নি। খালি ব্যাটে বল লাগিয়েছে আর ওকে (যশস্বীকে) ব্যাটিং করতে দেখেছি আমি। আমাদের এটা এখন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এমন কী বিপক্ষ বোলাররাও এটা জেনে গিয়েছে। ওরা জেনে গিয়েছে যে, কী ভাবে পাওয়ার প্লেতে ব্যাট করে যশস্বী। পাওয়ারপ্লেতে যশস্বী নিজের ব্যাটিংটা খুব উপভোগ করে।’
যুজবেন্দ্র চাহালের বিষয়ে বলতে গিয়ে সঞ্জু স্যামসন বলেছেন, ‘আমি মনে করি, সময় এসে গিয়েছে ওকে (যুজবেন্দ্র চাহালকে) কিংবদন্তি আখ্যা দেওয়ার। ফ্রাঞ্চাইজিতে ওকে পেয়ে আমরা কৃতজ্ঞ। ওর হাতে বল দেওয়ার পর আর ওর সঙ্গে আলাদা করে কথা বলার কোনও প্রয়োজন পড়ে না। বলটা খালি ওর হাতে তুলে দেওয়া হোক, এর পর ও জানে ঠিক কী করতে হবে। অধিনায়ক হিসেবে এটা আমার কাছে অত্যন্ত আনন্দের একটা বিষয়।’
আরও পড়ুন: DC-র মতো প্লে-অফের স্বপ্ন কার্যত শেষ KKR-এর, অক্সিজেন পেল RR
প্লে অফে কোয়ালিফাই করার বিষয়ে সঞ্জু বলেছেন, ‘আমাদেরকে আরও দু'টি কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ খেলতেই হবে। আইপিএলে কোনও সময়েই এমন যায় না, যখন চাপ নেই। প্রতি ম্যাচ, প্রতিটা ওভার গুরুত্বপূর্ণ। একটা ছোট্ট ঘটনা থেকে এটা আরও ভালো ভাবে বোঝা যায়, তা হল যশস্বীর জন্য জস বাটলারের নিজের উইকেট ছুঁড়ে দেওয়া। আমি খুব খুশি। তবে বেশ কয়েকটা ম্যাচ রয়েছে ।সে দিকে নজর দিতে হবে।’
এ দিন কলকাতা নাইট রাইডার্স প্রথমে ব্যাট করে আট উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান করে। বেঙ্কটেশ আইয়ার ৫৭ রান করেন। রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৩.১ ওভারেই ম্যাচটি জিতে যায় রাজস্থান। যশস্বী জয়সওয়াল ৪৭ বলে অপরাজিত ৯৮ রানের দুরন্ত একটি ইনিংস খেলেন। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিয়ে ২৯ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন সঞ্জু। ৪১ বল বাকি থাকতে ৯ উইকেটে ম্যাচ জয় নিশ্চিত করে রাজস্থান রয়্যালস।