টি-২০ বিশ্বকাপজয়ী দলের ক্যাপ্টেন তিনি। মহাতারকা হয়েও মহাতারকাসুলভ আভিজাত্য দেখাতে কখনই রাজি নন জোস বাটলার। বরং তিনি বরাবরের যথার্থ টিমম্যান। ইডেনে কেকেআর বনাম রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচে বাটলার আরও একবার বোঝালেন, দলের জন্য ব্যক্তিগত স্বার্থত্যাগ করতে দু'বার ভাবেন না তিনি।
জোস বাটলার ক্রিজে থাকলে একার হাতে দলকে ম্যাচ জেতাতে পারেন, এটা আলাদা করে বলে দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। আইপিএলে বহুবার তেমনটা করে দেখিয়েছেন ব্রিটিশ তারকা। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচেই ৯৫ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, ফর্ম ও সেই সঙ্গে পরিচিত মেজাজ ফিরে পেয়েছেন তিনি। তাই ইডেনে কলকাতার বিরুদ্ধে তাঁর কাছ থেকে বড় রানের ইনিংস আশা করেছিলেন সবাই। তবে যশস্বীর ভুলে রান-আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় বাটলারকে।
আসলে বাটলার চাইলে তিনি নাও আউট হতে পারতেন। যশস্বীকে রান নিতে মানা করেছিলেন ব্রিটিশ তারকা। তবে জসওয়াল শোনেননি। তিনি কার্যত ব্যাটিং ক্রিজের কাছে পৌঁছে যান। বাটলার ছন্দে থাকা জুনিয়র ক্রিকেটারকে বাঁচাতেই নিজের উইকেটের মায়া ত্যাগ করেন। তাঁর এই স্বার্থত্যাগ দলের জয়ের পথ চওড়া করে বললে মোটেও ভুল বলা হয় না। কেননা বাটলার ব্যক্তিগত শূন্য রানে নিজের উইকেট ছুঁড়ে না দিলে যশস্বীকে রান-আউট হতে হতো ব্যক্তিগত ২৭ রানের মাথায়।
যশস্বীকে বাঁচাতে জোট বাটলারের রান-আউট হওয়ার ভিডিয়ো দেখতে ক্লিক করুন এখানে
বাটলারকে রান-আউট করানোর পরে যশস্বী নিজে দায়িত্ব নিয়ে দলকে ম্যাচ জেতান। জসওয়ালের ১৩ বলে হাফ-সেঞ্চুরির সর্বকালীন আইপিএল রেকর্ডকে তাই বাটলারের দান বললে অন্যায় হবে না মোটেও।
অবশ্য একা বাটলারই নন, বরং যশস্বীর জন্য স্বার্থত্যাগ করেন রাজস্থান দলনায়ক সঞ্জু স্যামসনও। যশস্বী যাতে শতরান পূর্ণ করতে পারেন, সেই জন্যই নিজের হাফ-সেঞ্চুরির মায়া ত্যাগ করেন সঞ্জু। কেননা জয়ের জন্য অল্প রান বাকি থাকায় স্যামসন যদি অর্ধশতরান পূর্ণ করতেন, তবে জসওয়ালের শতরানে পৌঁছনোর কোনও সুযোগই থাকত না। বিশেষ করে ১৩তম ওভারের শেষ বলে সুয়াশ শর্মা যখন ইচ্ছা করে ওয়াইড বল করার চেষ্টা করেন, সেটা যেভাবে আটকে দেন সঞ্জু, তা ক্যাপ্টেন হিসেবে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়িয়ে দেবে সন্দেহ নেই।
শেষমেশ যশস্বী অবশ্য শতরান পূর্ণ করতে পারেননি। তিনি ছক্কা মেরে ম্য়াচ ফিনিশ করলে তিন অঙ্কে পৌঁছে যেতে পারতেন। তবে ১৩.১ ওভারে চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন যশস্বী। তাই তাঁকে থেমে যেতে হয় ব্যক্তিগত ৯৮ রানে। স্যামসন নট-আউট থাকেন ৪৮ রানে।