১৬ তম আইপিএল শুরু হতে বাকি আর কয়েক ঘণ্টা। সব দল থেকে সমর্থক সব মহলেই উত্তেজনা চরমে উঠেছে। নিজের দলের জন্য গলা ফাটাতে প্রস্তুত সমর্থকরা। ক্রিকেটাররাও নিজেদের মতো প্রস্তুতি সেরে নিয়েছে। অপেক্ষা শুধু মাঠে বল গড়ানোর। আইপিএল এর অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে বেগুনি টুপি এবং কমলা টুপি। যে বোলার টুর্নামেন্টে সব থেকে বেশি উইকেট নেয় তাঁর মাথায় থাকে বেগুনি টুপি। অন্যদিকে যে ক্রিকেটার বেশি রান করে তাঁর মাথায় শোভা পায় কমলা টুপি। এখনও পর্যন্ত আইপিএলে পাওয়া কোন কোন ক্রিকেটার বেগুনি পেয়েছেন সেই তালিকা দেখে নেওয়া যাক।
আইপিএলের উদ্বোধনী বছরে শিরোপা জেতে রাজস্থান রয়্যালস। সেইবার বেগুনি টুপির মালিক হন রাজস্থানের সোহেল তানভীর। পাকিস্তানের এই জোরে বোলার সেই বছর আইপিএলে ১১ টি ম্যাচ খেলে সংগ্রহ করেন ২২ টি উইকেট। টুর্নামেন্টের সেরা বোলিং করেন ১৪ রানে ৬ উইকেট দিয়ে। ইকোনমি রেট ছিল ৬.৪৬। তার পরের বছর ২০০৯ সালে বেগুনি টুপির মালিক হন দিল্লি ক্যাপিটালসের ভারতীয় জোরে বলার আরপি সিং। দিল্লির হয়ে ১৬ টি ম্যাচে নেন ২৩ টি উইকেট। তাঁর ইকোনমি রেট ৬.৯৮। ২২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের নিজের সেরা বোলিং করেন তিনি। এরপরের বছর ২০১০ সালে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন প্রজ্ঞান ওঝা। তিনিও দিল্লির হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন সেই আইপিএলে। ১৬ ম্যাচে তিনি মোট মোট ২১ টি উইকেট নেন। তাঁর সেরা বোলিং ছিল ২৬ রানে তিন উইকেট। ইকোনমি রেট রাখেন ৭.২৯।
২০১১ সাল। সদ্য ভারতীয় দল ওডিআই বিশ্বকাপ জিতেছে। ফলে ভারতীয় সমর্থকরা বেজায় মজে বিশ্বকাপ নিয়ে। সেই বছর আইপিএলের সেরা বোলার হন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের তারকা বোলার লাসিথ মালিঙ্গা। যিনি বিশ্ব ক্রিকেটকে ভয় ধরিয়ে দিতেন তাঁর বোলিং গতিতে। সেই মালিঙ্গা ১৬ টি ম্যাচ খেলে উইকেট নেন ২৮ টি। তাঁর ইকোনমি রেট ছিল ৫.৯৫। টুর্নামেন্টে ১৩ রানে ৫ উইকেট নিয়ে নিজের সেরা বোলিং করেন। ২০১২ সালে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের মর্নি মর্কেল বেগুনি টুপি নিজের দখলে রাখেন। দক্ষিণ আফ্রিকার এই পেসার ১৬ ম্যাচ খেলে সংগ্রহ করেন ২৫ টি উইকেট। তাঁর ইকোনমিক রেট ছিল ৭.১৯। ২০১৩ সালে চেন্নাই সুপার কিংসের ক্রিকেটার ডোয়েন ব্রাভো ১৮ টি ম্যাচ খেলে ৩২ টি উইকেট নিয়ে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। তাঁর ইকোনোমি রেট ছিল ৭.৯৫। ২০১৪ সালে চেন্নাইয়ের মোহিত শর্মা চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ১৬ টি ম্যাচ খেলে ২৩ উইকেট নিয়েছেন। তাঁর ইকোনোমিক রেট ৮.৩৯।
ফের একবার ডোয়েন ব্রাভো বেগুনি টুপি নেন চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে। ক্যারিবিয়ান এই পেসার ২০১৫ সালে ১৭ টি ম্যাচ খেলে ২৬ টি উইকেট নিয়েছেন। তাঁর ইকোনমি রেট ৮.১৪। পাশাপাশি ভুবেনশ্বর কুমার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে ২০১৬ সালে ১৭ টি ম্যাচ খেলে ২৩ টি উইকেট নিয়েছেন। তাঁর ইকোনমিক রেট ৭.৪২। ভুবির সেরা বোলিং ৪ উইকেটে ২৯। ২০১৬ সালের পর ২০১৭ সালেও ভুবেনশ্বর কুমার দায়দরাবাদের হয়েই ১৪ টি ম্যাচ খেলে ২৬ টি উইকেট নিয়েছেন। সেই বছর তাঁর ইকোনমিক রেট ছিল ৭.০৫। পরপর দুইবার এমন কৃতিত্ব অর্জন করেন ভারতীয় দলের এই পেসার। ২০১৮ সালে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের হয়ে অ্যান্ড্রু টাই ১৪ টি ম্যাচ খেলে ২৪ টি উইকেট নিয়েছেন। তাঁর ইকোনমিক রেট ৮.০০। তাঁর সেরা বোলিং ১৬ রানে ৪ উইকেট।
এরপর ইমরান তাহির ২০১৯ সালে চেন্নাইয়ের হয়ে ১৭ টি ম্যাচ খেলে ২৬ টি উইকেট নিয়ে বেগুনি টুপি নিজের দখলে নেন তিনি। তাঁর ইকোনমি রেট ছিল ৬.৬৯। সেই মরশুমে তিনি সেরা বোলিং করেন ১২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে। ২০২০ সালে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে পার্পেল ক্যাপ পান কাগিসো রাবাডা। তিনি ১৭ টি ম্যাচ খেলে ৩০ উইকেট নেন। তাঁর ইকোনমিক রেট ৮.৩৪। তিনি ২৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। ২০২১ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে বেগুনি টুপি পান হর্ষল প্যাটেল। তিনি ১৫ টি ম্যাচ খেলে ৩২ টি উইকেট নেন। তাঁর ইকোনোমি রেট ৮.১৪। ২০২২ সালে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে যুজবেন্দ্র চাহাল ১৭ টি ম্যাচ খেলে ২৭ টি উইকেট নিয়ে এই বেগুনি টুপির অধিকারী হন। তাঁর ইকোনমিক রেট ৭.৭৫। এই মরশুমে কোন বোলারের ভাগ্যে জোটে এই বেগুনি টুপি, সেটা সময় বলবে।
আইপিএলের আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে- https://bangla.hindustantimes.com/sports/ipl
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।