
LSG vs KKR: ১০০ টপকেই আত্মসমর্পণ, কলকাতার IPL 2022 অভিযান কার্যত শেষ
Updated: 07 May 2022, 10:55 PM IST- চলতি আইপিএলে রানের নিরিখে সব থেকে বড় ব্যবধানে হার মানতে হয় কলকাতা নাইট রাইডার্সকে।
টানা পাঁচ ম্যাচে হারের ধারা কাটিয়ে জয়ে ফিরেছিল কলকাতা। এবার তাদের সামনে চ্যালেঞ্জ ছিল নবাগত আইপিএল দল লখনউ সুপার জায়ান্টসের। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই ম্যাচে প্রতিপক্ষ শিবিরে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন নাইট অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর, যাঁর হাত ধরে জোড়া আইপিএল খেতাব জিতেছে নাইট রাইডার্স। কেকেআরের শক্তি-দুর্বলতা ভালো মতোই জানতেন গম্ভীর। সেকারণেই কলকাতার কাজ আরও কঠিন হয়ে দাঁড়ায় সন্দেহ নেই। শেষমেশ এতকরফাভাবে ম্যাচ হেরে মাঠ ছাড়তে হয় কেকেআরকে।
১৯ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন আবেশ খান।
লখনউয়ের ৭ উইকেটে ১৭৬ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে কলকাতা নাইট রাইডার্স ১৪.৩ ওভারে ১০১ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ৭৫ রানের বড় ব্যাবধানে ম্যাচ জেতে লখনউ সুপার জায়ান্টস। চলতি আইপিএলে রানের নিরিখে এটিই কোনও দলের সব থেকে বড় ব্যবধানে জায়। ১১ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট রয়েছে কলকাতার ঝুলিতে। খাতায়-কলমে প্লে-অফের দরজা খোলা থাকলেও বাস্তবে কলকাতার আইপিএল ২০২২ অভিযান কার্যত লিগ পর্বেই শেষ বলে মনে হচ্ছে।
১৪.৩ ওভারে হাস্যকরভাবে রান-আউট হন হর্ষিত রানা। কলকাতা ১০১ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ১ রান করে অপরাজিত থাকেন মাভি।
১৪.১ ওভারে সুনীল নারিনের নারিনের উইকেট তুলে নেন হোল্ডার। পরের বলে তিনি ফিরিয়ে দেন টিম সাউদিকে।
১২.৪ ওভারে আবেশের বলে ডি'ককের দস্তানায় ধরা পড়েন অনুকূল রায়। ২ বলে খাতা খোলার আগেই মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। কলকাতা ৮৫ রানে ৭ উইকেট হারায়। ব্যাট হাতে ক্রিজে আসেন শিবম মাভি। ১৩ ওভারে কলকাতার স্কোর ৮৮/৭।
১২.১ ওভারে আবেশ খানের বলে ছক্কা হাঁকান রাসেল। ঠিক পরের বলেই আউট হন তিনি। জেসন হোল্ডারের হাতে ধরা পড়েন দ্রে রাস। ৩টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ১৯ বলে ৪৫ রান করে মাঠ ছাড়েন রাসেল। কলকাতা ৮৫ রানে ৬ উইকেট হারায়। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান অনুকূল রায়।
১১.১ ওভারে রবি বিষ্ণোইয়ের বলে ক্রুণাল পান্ডিয়ার হাতে ধরা পড়েন রিঙ্কু সিং। ১০ বলে ৬ রান করে মাঠ ছাড়েন রিঙ্কু। কলকাতা ৬৯ রানে ৫ উইকেট হারায়। ব্যাট হাতে ক্রিজে আসেন সুনীল নারিন। তিনি ওভারের চতুর্থ বলে ছক্কা মারেন। পঞ্চম বলে চার মারেন। ১২ ওভারে কলকাতা স্কোর ৫ উইকেটে ৭৯ রান। জয়ের জন্য ৮ ওভারে ৯৮ রান দরকার কেকেআরের।
অর্ধেক ইনিংস শেষ। ১০ ওভার শেষে কলকাতা নাইট রাইডার্স ৪ উইকেটের বিনিময়ে ৬৪ রান সংগ্রহ করেছে। জয়ের জন্য শেষ ১০ ওভারে তাদের দরকার ১১৩ রান। ১৫ বলে ৩৫ রান করেছেন রাসেল। তিনি ২টি চার ও ৪টি ছক্কা মেরেছেন।
নবম ওভারে জেসন হোল্ডারের বলে ৩টি ছক্কা ও ১টি চার মারেন আন্দ্রে রাসেল। ওভারে মোট ২৫ রান ওঠে। ৯ ওভার শেষে কলকাতার স্কোর ৪ উইকেটে ৫৫ রান। রাসেল ১১ বলে ২৮ রান করেছেন। ৩ বলে ৩ রান করেছেন রিঙ্কু সিং।
৬.৫ ওভারে নীতিশ রানাকে বোল্ড করেন আবেশ খান। ১১ বলে ২ রান করে মাঠ ছাড়েন রানা। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান আন্দ্রে রাসেল। কলকাতা ২৫ রানে ৪ উইকেট হারায়।
৫.৪ ওভারে জেসন হোল্ডারের বলে কুইন্টন ডি'ককের দস্তানায় ধরা পড়েন অ্যারন ফিঞ্চ। ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৪ বলে ১৪ রান করে মাঠ ছাড়েন অজি তারকা। কলকাতা ২৩ রানে ৩ উইকেট হারায়। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান রিঙ্কু সিং। পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারে নাইট রাইডার্সের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৫ রান।
৩.৪ ওভারে চামিরার বলে বাদোনির হাতে ধরা পড়েন শ্রেয়স। ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৯ বলে ৬ রান করে মাঠ ছাড়েন নাইট দলনায়ক। কলকাতা ১১ রানে ২ উইকেট হারায়। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান নীতিশ রানা।
৩ ওভার শেষে কলকাতা নাইট রাইডার্স ১ উইকেটের বিনিময়ে ৬ রান তুলেছে। প্রথম ওভারে কোনও রান ওঠেনি। দ্বিতীয় ওভারে চামিরা মোট ৪ রান খরচ করেন। তৃতীয় ওভারে মহসিন ১ রান দেন। ১টি রান আলে লেগ-বাই হিসেবে। ২ ওভারে ১টি মেডেন-সহ ১ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট নিয়েছেন মহসিন।
প্রথম ওভারে মহসিনের শেষ বলে বাদোনির হাতে ধরা পড়েন ইন্দ্রজিৎ। রানের খাতা খোলার আগে উইকেটের খাতা খুলল কলকাতা। শূন্য রানে মাঠ ছাড়েন বাবা। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান শ্রেয়স আইয়ার।
কলকাতার হয়ে ওপেন করতে নামেন বাবা ইন্দ্রজিৎ ও অ্যারন ফিঞ্চ। লখনউয়ের হয়ে বোলিং শুরু করেন মহসিন খান।
ইনিংসের শেষ বলে রান-আউট হন চামিরা। লখনউ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৬ রান তুলেছে। সুতরাং, জয়ের জন্য কলকাতার দরকার ১৭৭। ১৮ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন বাদোনি। কলকাতার হয়ে ২২ রানে ২টি উইকেট নেন রাসেল। ৫০ রানে ১টি উইকেট নিয়েছেন মাভি। এছাড়া ১টি করে উইকেট নিয়েছেন নারিন ও সাউদি।ইন্দ্রজিৎ
১৯.৪ ওভারে সাউদির বলে রিঙ্কুর হাতে ধরা পড়েন হোল্ডার। জোড়া ছক্কায় ৪ বলে ১৩ রান করেন জেসন। লখনউ ১৭৫ রানে ৫ উইকেট হারায়। ক্রিজে আসেন চামিরা।
১৯তম ওভারে শিবম মাভির প্রথম তিন বলে পরপর তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে চতুর্থ বলে আউট হন মার্কাস স্টইনিস। ১টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ১৪ বলে ২৮ রান করে আইয়ারের হাতে ধরা পড়েন মার্কাস। লখনউ ১৬০ রানে ৫ উইকেট হারায়। ক্রিজে এসেই হোল্ডার ওভারের শেষ ২টি বলে পরপর ছয় মারেন। ওভারে মোট ৫টি ছক্কায় ৩০ রান ওঠে। লখনউয়েক স্কোর ৫ উইকেটে ১৭২।
১৮ ওভার শেষে লখনউ সুপাক জায়ান্টসের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৪২ রান। ১০ বলে ১০ রান করেছেন মার্কাস স্টইনিস। ১৫ বলে ১৩ রান করেছেন আয়ুষ বাদোনি।
১৪.৫ ওভারে আন্দ্রে রাসেলের বলে অ্যারন ফিঞ্চের হাতে দরা পড়েন ক্রুণাল পান্ডিয়া। ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৭ বলে ২৫ রান করে মাঠ ছাড়েন ক্রুণাল। লখনউ ১২২ রানে ৪ উইকেট হারায়। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান মার্কাস স্টইনিস। ১৫ ওভারে লখনউয়ের স্কোর ১২৩/৪।
১২.৪ ওভারে আন্দ্রে রাসেলের বলে শ্রেয়স আইয়ারের হাতে ধরা পড়েন দীপক হুডা। ৪টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ২৭ বলে ৪১ রান করে মাঠ ছাড়েন হুডা। ১০৭ রানে ৩ উইকেট হারায় লখনউ। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান আয়ুষ বাদোনি। ১৩ ওভারে সুপার জায়ান্টসের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১১০।
অর্ধেক ইনিংস শেষ। ১০ ওভার শেষে লখনউ সুপার জায়ান্টসের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৯০ রান। দীপক হুডা ২১ বলে ৩১ রান করেছেন। ১০ বলে ৮ রান করেছেন ক্রুণাল পান্ডিয়া।
৭.২ ওভারে সুনীল নারিনের বলে শিবম মাভির হাতে ধরা পড়েন কুইন্টন ডি'কক। ৪টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ২৯ বলে ৫০ রান করে মাঠ ছাড়েন তিনি। লখনউ ৭৩ রানে ২ উইকেট হারায়। ব্যাট হাতে ক্রিজে আসেন ক্রুণাল পান্ডিয়া। ৮ ওভার শেষে লখনউয়ের স্কোর ৭৬/২।
৪টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ২৭ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন কুইন্টন ডি'কক। ৭ ওভারে লখনউয়ের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৭৩ রান। কুইন্টন ৫০ ও হুডা ২৩ রানে ব্যাট করছেন।
৫.১ ওভারে হর্ষিত রানাকে বাউন্ডারি মেরে লখনউকে ৫০ রানের গণ্ডি পার করান ডি'কক। সেই ওভারে হর্ষিতকে আরও দু'টি ছক্কা মারেন কুইন্টন। পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারে লখনউয়ের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৬৬ রান। ৪টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ২৩ বলে ৪৪ রান করেছেন কুইন্টন। ৩টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৩ বলে ২২ রান করেছেন দীপক হুডা। পাওয়ার প্লেতে উমেশ যাদবের অভার টের পেল কলকাতা।
দ্বিতীয় ওভারে শিবম মাভির বলে ২টি চার মারেন দীপক হুডা। তৃতীয় ওভারে সাউজির বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন ডি'কক। ৩ ওভার শেষে লখনউয়ের সংগ্রহ ১ উইকেটে ২৯ রান। ১২ বলে ১৯ রান করেছেন কুইন্টন। ৬ বলে ১০ রান করেছেন হুডা।
লখনউয়ের হয়ে ওপেন করতে নামেন লোকেশ রাহুল ও কুইন্টন ডি'কক। কলকাতার হয়ে বোলিং শুরু করেন টিম সাউদি। তৃতীয় বলে ২ রান নিয়ে খাতা খোলেন কুইন্টন। পঞ্চম বলে লোকেশকে রান-আউট করেন শ্রেয়স। লখনউ ২ রানে ১ উইকেট হারায়। কোনও বল খেলার আগেই মাঠ ছাড়তে হয় রাহুলকে। ব্যাট হাতে ক্রিজে আসেন দীপক হুডা।
কুইন্টন ডি'কক (উইকেটকিপার), লোকেশ রাহুল (ক্যাপ্টেন), দীপক হুডা, মার্কাস স্টইনিস, আয়ুষ বাদোনি, ক্রুণাল পান্ডিয়া, জেসন হোল্ডার, আবেশ খান, মহসিন খান, দুষ্মন্ত চামিরা ও রবি বিষ্ণোই।
অ্যারন ফিঞ্চ, বাবা ইন্দ্রজিৎ (উইকেটকিপার), শ্রেয়স আইয়ার (ক্যাপ্টেন), নীতিশ রানা, রিঙ্কু সিং, আন্দ্রে রাসেল, অনুকূল রায়, সুনীল নারিন, টিম সাউদি, হর্ষিত রানা ও শিবম মাভি।
লখনউয়ের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগেই জোর ধাক্কা খেল কলকাতা নাইট রাইডার্স। কাফ মাসলে চোটের জন্য মাঠে নামতে পারছেন না উমেশ যাদব। তাঁর পরিবর্তে দলে ঢুকলেন হর্ষিত রানা। লখনউ এই ম্যাচে গৌতমের বদলে দলে ফেরায় আবেশ খানকে।
লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে আইপিএল ২০২২-এর মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস জিতল কলকাতা নাইট রাইডার্স। টস জিতে কেকেআর দলনায়ক শ্রেয়স আইয়ার শুরুতে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান লোকেশ রাহুলদের। সুতরাং পুণেতে টস জিতে রান তাড়া করার সিদ্ধান্ত নাইট রাইডার্সের।
মাতৃ দিবসে মায়েদের অভিনব উপায়ে কুর্নিশ জানাচ্ছে লখনউ সুপার জায়ান্টস। যদিও উপায়টা একেবারে নতুন নয়। অতীতে টিম ইন্ডিয়া যেভাবে মায়েদের শ্রদ্ধা জানিয়েছিল, এবার আইপিএলের মঞ্চে ঠিক সেই পথেই হাঁটতে চলেছেন লোকেশ রাহুলরা। বিস্তারিত পড়ুন:- LSG vs KKR: মাতৃ দিবসে অভিনব উপায়ে মায়েদের কুর্নিশ লখনউয়ের, জার্সিতে থাকছে চমক, ভিডিয়ো
১০ ম্যাচে কলকাতার সংগ্রহে রয়েছে মোটে ৮ পয়েন্ট। প্লে-অফের দৌড়ে টিকে থাকতে হলে কেকেআরের সামনে ম্যাচ হারের অবকাশ নেই সেই অর্থে। লখনউকে হারাতে না পারলে, কলকাতার শেষ চারে যাওয়ার রাস্তা খাতায়-কলমে খোলা থাকলেও বাস্তবে কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।
১. চেন্নাই সুপার কিংসকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দেয়।
২. আরসিবির কাছে ৩ উইকেটে হেরে যায়।
৩. পঞ্জাব কিংসকে ৬ উইকেটে পরাজিত করে।
৪. মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দেয়।
৫. দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে ৪৪ রানে হার মানে।
৬. সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে ৭ উইকেটে পরাজিত হয়।
৭. রাজস্থান রয়্যালসের কাছে ৭ রানে হেরে যায়।
৮. গুজরাট টাইটানসের কাছে ৮ রানে হার মানে।
৯. দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে ৪ উইকেটে পরাজিত হয়।
১০. রাজস্থান রয়্যালসকে ৭ উইকেটে পরাজিত করে।