প্রথম দু’ওভারে ২১ রান দেওয়ার পরেও শেষ ওভারে মহসিন খানের হাতেই বল তুলে দেন ক্রুণাল পাণ্ডিয়া। অধিনায়কের আস্থার পূর্ণ মর্যাদা দিলেন মহসিন। চাপের মধ্যে দুরন্ত বল করলেন মহসিন। শেষ ওভারে বাজিমাত করে দলকে ৫ রানে জিতিয়ে প্লে-অফে ওঠার লড়াইটা আরও জমিয়ে দিলেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের বাঁ-হাতি বোলার।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে জিততে হলে শেষ ওভারে করতে হত ১১ রান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৬ বলে ১১ রান করাটা কোনও বড় বিষয়ই নয়। ক্রিজে ক্যামেরন গ্রিন, টিম ডেভিডের মতো আন্তর্জাতিক মানের তারকারা ছিলেন। ডেভিড তো আগের ওভারেই নবীন-উল-হককে পিটিয়ে ১৯ রান নিয়েছিলেন। সেই পরিস্থিতিতে বল করতে এসেও মাথা একেবারে ঠাণ্ডা রাখলেন। একের পর এক ইয়র্কার করলেন। আর মহসিন খানের বলে একেবারে ভেবলে গেলেন টিম ডেভিড, ক্যামেরন গ্রিন। ডেভিড ১৯ বলে ৩২ রানে অপরাজিত থাকলেও, এ বার আর দলকে জেতাতে পারলেন না। মাত্র ৫ রান হল শেষ ওভারে। ৫ রানে জিতল সুপার জায়ান্টসরা।
আরও পড়ুন: স্কুপ খেলতে গিয়ে বল মারলেন উইকেটে, উড়ল স্টাম্প, ঠাকুরের দাপটে অস্তাচলে সূর্য- ভিডিয়ো
ম্যাচের পর মহসিন বলেন, ‘আমার লক্ষ্য ছিল, অনুশীলনে যে কাজটা করেছি, সেটাই শেষ ওভারে কার্যকর করা। আমি ক্রুনালকে বলেছিলাম, আমি সে ভাবেই বল করব, যেটা করে আসছি। আমার রানআপ ছোট ছিল না। সেটা নিযে আমি কিছু ভাবিওনি। আমি মাথা ঠাণ্ডা রাখার চেষ্টা করেছিলাম। আর স্কোরবোর্ডের দিকে তাকাচ্ছিলামই না। আমার লক্ষ্য ছিল, ছয় বল করা। কত কী দরকার, সেটা দেখার চেষ্টাই করিনি।’
সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, ‘আমি স্লোয়ার বল করার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু ব্যাটাররা বড় শট মারার চেষ্টা করছিল। কিন্তু ব্যর্থ হচ্ছিল। আমি ইয়র্কার করেছি। তবে ব্যাটার অনুযায়ী বোলিং পরিবর্তন করছিলাম।’
আরও পড়ুন: ৬-০-৪-৪-৬-৪- জর্ডনকে কাঁদিয়ে এক ওভারে ২৪ রান স্টইনিসের, শেষ তিন ওভারে ৫৪ করল লখনউ
এক বছর বাদে খেলতে নেমেই বাজিমাত করলেন মহসিন। চোটের জন্য বহু দিন ২২ গজের বাইরে ছিলেন। এ দিন তাই কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়েই বলছিলেন, ‘এক বছর পর খেলছি। আমার চোট ছিল। এবং একটি কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। আমি বল করতে পেরে খুশি।’
তবে সম্প্রতি মহসিনের বাবা গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। বহু দিন হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভর্তি ছিলেন। সবে ছুটি পেয়ে বাড়ি এসেছেন। আর মহসিন এ দিন বাবার জন্যই জানপ্রাণ লড়িয়ে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে জিতিয়েছেন। তিনি বলছিলেনও, ‘আমার বাবা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। আইসিইউতে ছিলেন তিনি। ওঁকে গতকালই (সোমবার) ছুটি দেওয়া হয়েছে এবং আমি আশা করছি, তিনি আমার খেলা দেখছেন। আমি আমার বাবার জন্যই খেলেছি। আমার উপর আস্থা রাখার জন্য দল এবং সহযোগী কর্মীদের ধন্যবাদ।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।